ঘরবন্দির পর এবার শ্রেণীকক্ষে বন্দি, স্কুল ক্যাম্পাস ইট-পাথরের পাহাড়

শেখ ইমন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দেড় বছর ঘরবন্দি থাকার পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বিদ্যালয়গুলিতে এসে শিশুরা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে একটি বিদ্যালয়ে। ঘরবন্দি শিশুরা বন্দি হয়ে পড়েছে শ্রেণীকক্ষে। পুরো স্কুল ক্যাম্পাস যেন ইট-বালি আর পাথরের পাহাড়। আর সেখানে সকাল থেকে ঘুরছে ভারী যানবাহন। যেকোন মুহুর্তে শিশুরা অঘটনের শিকার হতে পারে। তাদের খেলার মাঠে নেই দৌড়-ঝাপ আর খেলাধুলা। শ্রেণী কক্ষ থেকে করিডোরে আসাও তাদের জন্য অনিরাপদ। এ দৃশ্য ঝিনাইদহের শৈলকুপার ধলহরাচন্দ্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

বিদ্যালয়টি যেন ইট,কাঠ, পাথরের পাহাড়ের স্তুপ। সেই সাথে সড়ক- মহাসড়ক নির্মাণের ভারী সব যানবাহন। স্কুলটির ১শ শতক জমির খেলার মাঠ সহ পুরো স্কুলের জায়গা জুড়ে গত ৩মাস যাবত রাস্তা নির্মাণ সামগ্রীর ডিপো করে রাখা হয়েছে। স্কুল খুললেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের সামগ্রী সরিয়ে নেয়নি। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের রয়েছে গাছাড়া ভাব! বিদ্যালয়ে এসে শংকিত শিশুরা। দানবাকৃতির গাড়ির বে-পরোয়া চলাচল, ইট-খোয়া ভাঙ্গা, উচ্চ শব্দ, ধোয়ায় একাকার পুরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুলের দেড় শতাধিক শিশু বন্দি শ্রেণীকক্ষে !

শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, বড় ধরনের অঘটন আর আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে শিশুদের। দ্রত এসব ঠিকাদারী মালামাল সরাতে বলা হয়েছে।তবে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা ছাফাই গেয়ে বললেন, এখন তো খেলাধুলা হয় না, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসব দ্রত সরিয়ে নেবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন জানান, স্কুল ক্যাম্পাসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নির্মান সামগ্রী রাখার ঘটনাটি তিনি ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীর মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য জানিয়েছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দ্রত সরিয়ে নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মিজানুর রহমান মাসুম বলেন, তিনি ঢাকাতে আছেন স্কুলে মালামাল রাখার ব্যপারে কিছু জানেন না।

উল্লেখ্য ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের শেখপাড়া ভায়া শৈলকুপা ভায়া লাঙ্গলবাধ ২৬ কি.মি সড়কের নির্মানের কার্যাদেশ পান মিজানুর রহমান এন্ড মাইনুদ্দিন বাঁশি জেভি। সড়কটির নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে শত কোটি টাকা।

ঝিনাইদহ /ইবিটাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »