ভিয়েনা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রিয়ায় করোনার চতুর্থ প্রাদুর্ভাবে পুনরায় লকডাউনের সম্ভাবনা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
  • ১১ সময় দেখুন

করোনার বিস্তার শীঘ্রই নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে পুনরায় শীতে লকডাউনের কথা জানালেন সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ

ইউরোপ ডেস্কঃঅস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ার Tirol রাজ্যের রাজধানী Innsbruck মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ (Virologin) Dorothee Von Laer এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। যদি চতুর্থ তরঙ্গ “শীঘ্রই বন্ধ না হয়”, ভাইরোলজিস্ট ডরোথি ভন লেয়ার আশঙ্কা করছেন অস্ট্রিয়ায় আরেকটি করোনার লকডাউন দিতে হতে পারে।

তিনি অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন Profil এর সাথে এক সাক্ষাৎকারের এর কারণ হিসাবে ব্যাখ্যায় বলেন,দেশে বর্তমানে কম টিকা দেওয়ার হার এবং অত্যন্ত সংক্রামক ডেল্টা বৈকল্পিকের সাথে বয়স্কদের ক্রমবর্ধমান সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আবারও লকডাউনের পথ বেছে নিতে হতে পারে। বিশেষজ্ঞ Dorothee Von Laer অস্ট্রিয়ায় ১২ থেকে ১৬ বছরের শিশুদের টিকার বৃদ্ধির পরামর্শ দেন এবং তিনি আরও জানান আগামী শীতে ইইউ ১২ বছরের নীচে শিশুদেরও টিকার অনুমোদন দেয়ার কথা রয়েছে।

ভাইরোলজিস্ট আরও জানান যদি সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউনে যেতে হয় তখন ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের টিকা দিতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে। সাক্ষাৎকারে ভাইরোলজিস্ট জোর দিয়েছিলেন যে,দেশের লোকজনদের কিভাবে করোনার প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য একটি বিস্তারিত অ্যান্টিবডি গবেষণা করা উচিত।

মেডিকেল ইউনিভার্সিটি অফ ইন্সব্রুকের এই বিশেষজ্ঞ সরকারের পরিকল্পিত ১-জি অর্থাৎ সর্বত্র করোনার টিকা বাধ্যতামূলক এর প্রসঙ্গে বলেন, এই ১-জি নিয়ম “একেবারেই অর্থহীন নয়”, কারণ এটি যারা করোনার থেকে সুস্থ হয়েছে তাদের বাদ দেয়।  সাক্ষাৎকারের আগে “প্রোফিল” রিপোর্ট করেছিল যে যারা করোনার প্রতিষেধক টিকা নিয়েছে তাদের তুলনায় যারা করোনার থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন তারা পুনরায় সংক্রামিত হওয়া থেকে আরও বেশী সুরক্ষিত।

আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ১,৩২২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন।রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৪৩ জন। গত সাত দিনে অস্ট্রিয়ায় দৈনিক গড় সংক্রমণ ১,৩০৫ জন। জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে অস্ট্রিয়ার অনেক জেলাই করোনার লাল জোনের মধ্যে আছে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহের শেষে অস্ট্রিয়ার করোনার ট্র্যাফিক লাইট কমিশন তাদেরকে করোনার সংক্রমণের বিস্তারের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজনক লাল জোন ঘোষণা করবেন।

অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে OÖ রাজ্যে ২৯৯ জন,NÖ রাজ্যে ১৯৫ জন, Steiermark রাজ্যে ১৪৩ জন, Salzburg রাজ্যে ১০৪ জন,Tirol রাজ্যে ৯০ জন, Vorarlberg রাজ্যে ৬৪ জন, Kärnten রাজ্যে ৫৪ জন এবং Burgenland রাজ্যে ৩০ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী আজ সমগ্র অস্ট্রিয়ায় করোনার প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়েছে ১৬,৮৪০ ডোজ এবং এই পর্যন্ত দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজার ৪০৮ ডোজ। অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনার প্রতিষেধক টিকার সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন মোট ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৭১৫ জন,যা দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৫৮,০১ শতাংশ।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৮৪,৫৪১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১০,৭৭৭ জন।করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৬,৫৯,০৫৩ জন। এর মধ্যে ক্রিটিক্যাল অবস্থার মধ্যে আইসিইউতে আছেন ১০৯ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪২৯ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ/ ইবিটাইমস /এম আর

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

অস্ট্রিয়ায় করোনার চতুর্থ প্রাদুর্ভাবে পুনরায় লকডাউনের সম্ভাবনা

আপডেটের সময় ০৭:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১

করোনার বিস্তার শীঘ্রই নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে পুনরায় শীতে লকডাউনের কথা জানালেন সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ

ইউরোপ ডেস্কঃঅস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ার Tirol রাজ্যের রাজধানী Innsbruck মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ (Virologin) Dorothee Von Laer এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। যদি চতুর্থ তরঙ্গ “শীঘ্রই বন্ধ না হয়”, ভাইরোলজিস্ট ডরোথি ভন লেয়ার আশঙ্কা করছেন অস্ট্রিয়ায় আরেকটি করোনার লকডাউন দিতে হতে পারে।

তিনি অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন Profil এর সাথে এক সাক্ষাৎকারের এর কারণ হিসাবে ব্যাখ্যায় বলেন,দেশে বর্তমানে কম টিকা দেওয়ার হার এবং অত্যন্ত সংক্রামক ডেল্টা বৈকল্পিকের সাথে বয়স্কদের ক্রমবর্ধমান সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আবারও লকডাউনের পথ বেছে নিতে হতে পারে। বিশেষজ্ঞ Dorothee Von Laer অস্ট্রিয়ায় ১২ থেকে ১৬ বছরের শিশুদের টিকার বৃদ্ধির পরামর্শ দেন এবং তিনি আরও জানান আগামী শীতে ইইউ ১২ বছরের নীচে শিশুদেরও টিকার অনুমোদন দেয়ার কথা রয়েছে।

ভাইরোলজিস্ট আরও জানান যদি সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউনে যেতে হয় তখন ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের টিকা দিতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে। সাক্ষাৎকারে ভাইরোলজিস্ট জোর দিয়েছিলেন যে,দেশের লোকজনদের কিভাবে করোনার প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য একটি বিস্তারিত অ্যান্টিবডি গবেষণা করা উচিত।

মেডিকেল ইউনিভার্সিটি অফ ইন্সব্রুকের এই বিশেষজ্ঞ সরকারের পরিকল্পিত ১-জি অর্থাৎ সর্বত্র করোনার টিকা বাধ্যতামূলক এর প্রসঙ্গে বলেন, এই ১-জি নিয়ম “একেবারেই অর্থহীন নয়”, কারণ এটি যারা করোনার থেকে সুস্থ হয়েছে তাদের বাদ দেয়।  সাক্ষাৎকারের আগে “প্রোফিল” রিপোর্ট করেছিল যে যারা করোনার প্রতিষেধক টিকা নিয়েছে তাদের তুলনায় যারা করোনার থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন তারা পুনরায় সংক্রামিত হওয়া থেকে আরও বেশী সুরক্ষিত।

আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ১,৩২২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন।রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৪৩ জন। গত সাত দিনে অস্ট্রিয়ায় দৈনিক গড় সংক্রমণ ১,৩০৫ জন। জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে অস্ট্রিয়ার অনেক জেলাই করোনার লাল জোনের মধ্যে আছে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহের শেষে অস্ট্রিয়ার করোনার ট্র্যাফিক লাইট কমিশন তাদেরকে করোনার সংক্রমণের বিস্তারের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজনক লাল জোন ঘোষণা করবেন।

অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে OÖ রাজ্যে ২৯৯ জন,NÖ রাজ্যে ১৯৫ জন, Steiermark রাজ্যে ১৪৩ জন, Salzburg রাজ্যে ১০৪ জন,Tirol রাজ্যে ৯০ জন, Vorarlberg রাজ্যে ৬৪ জন, Kärnten রাজ্যে ৫৪ জন এবং Burgenland রাজ্যে ৩০ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী আজ সমগ্র অস্ট্রিয়ায় করোনার প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়েছে ১৬,৮৪০ ডোজ এবং এই পর্যন্ত দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজার ৪০৮ ডোজ। অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনার প্রতিষেধক টিকার সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন মোট ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৭১৫ জন,যা দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৫৮,০১ শতাংশ।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৮৪,৫৪১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১০,৭৭৭ জন।করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৬,৫৯,০৫৩ জন। এর মধ্যে ক্রিটিক্যাল অবস্থার মধ্যে আইসিইউতে আছেন ১০৯ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪২৯ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ/ ইবিটাইমস /এম আর