ভিয়েনা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের রোমানিয়া-বুলগেরিয়ার যৌথ অভিযানে ৮ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার মাধবপুরে ইঞ্জিন বিকল, ৩ ঘন্টা পর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় যাত্রা বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় সেতুসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ভোলাবাসীর অবস্থান পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ৭০,৬৬০ প্রবাসীর নিবন্ধন বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে লালমোহনে বিক্ষোভ লালমোহনে এসটিএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জয়লাভ খাল–বিলহীন খিলগাতীতে সাড়ে ৯ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ, প্রশ্ন স্থানীয়দের

জাতির পিতার খুনিদের পাশে যারা ছিল, তারাও সমান দোষি: প্রধানমন্ত্রী

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:১৯:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১
  • ২৬ সময় দেখুন

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার খুনিদের পাশে যারা ছিল, যারা হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, সবাই সমানভাবে দোষী।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, পাশে যারা ছিল, আর যারা এভাবে ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, সবাই কিন্তু সমানভাবে দোষী। আমি আরও অনেক ঘটনা জানি। কিন্তু আমি শুধু আগে হত্যার বিচার করাটা খুবই জরুরি ছিল, সেটা করেছি। ধীরে ধীরে একদিন কারা জড়িত সেটাও বের হবে এবং সেদিনও খুব বেশি দূরে না।

শেখ হাসিনা বলেন, সেই ৭২ সাল থেকেই কিন্তু ষড়যন্ত্র শুরু। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভক্তি হল, জাসদ সৃষ্টি হল, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর, যারা বড় বড় নেতা ছিল, তারা তো পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে অনেকেই চলে গেছে। যারা এদেশে ছিল তারা কোথায় গেল? তারা যেন হঠাৎ উধাও হয়ে গেল? তারা সব গিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির সাথে মিশে গেল।

স্বাধীনতার এক বছর না যেতেই বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা শুরু এই ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই মনে করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। কারা লিখেছিল? কাদের খুশি করতে? কারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য একটা অবস্থা তৈরি করছিল? সে প্রশ্নের উত্তর জসবার জানা দরকার বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াই এখন ব্রত হিসেবে নিয়েছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, তাদের ক্ষুধা-দারিদ্র থেকে মুক্তি দেওয়া, তাদের জীবনটা উন্নত করা, প্রত্যেকটা ঘরে আলো জ্বালা, তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা, খাদ্যের ব্যবস্থা বা চিকিৎসার ব্যবস্থা, সেটা যখন করতে পারব, আমি মনে করব এই হত্যার প্রকৃত প্রতিশোধ সেই দিনই আমরা নিতে পারব।

ঢাকা/ইবিটাইমস/আরএন

জনপ্রিয়

ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

জাতির পিতার খুনিদের পাশে যারা ছিল, তারাও সমান দোষি: প্রধানমন্ত্রী

আপডেটের সময় ০৬:১৯:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার খুনিদের পাশে যারা ছিল, যারা হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, সবাই সমানভাবে দোষী।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, পাশে যারা ছিল, আর যারা এভাবে ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, সবাই কিন্তু সমানভাবে দোষী। আমি আরও অনেক ঘটনা জানি। কিন্তু আমি শুধু আগে হত্যার বিচার করাটা খুবই জরুরি ছিল, সেটা করেছি। ধীরে ধীরে একদিন কারা জড়িত সেটাও বের হবে এবং সেদিনও খুব বেশি দূরে না।

শেখ হাসিনা বলেন, সেই ৭২ সাল থেকেই কিন্তু ষড়যন্ত্র শুরু। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভক্তি হল, জাসদ সৃষ্টি হল, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর, যারা বড় বড় নেতা ছিল, তারা তো পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে অনেকেই চলে গেছে। যারা এদেশে ছিল তারা কোথায় গেল? তারা যেন হঠাৎ উধাও হয়ে গেল? তারা সব গিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির সাথে মিশে গেল।

স্বাধীনতার এক বছর না যেতেই বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা শুরু এই ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই মনে করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। কারা লিখেছিল? কাদের খুশি করতে? কারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য একটা অবস্থা তৈরি করছিল? সে প্রশ্নের উত্তর জসবার জানা দরকার বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াই এখন ব্রত হিসেবে নিয়েছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, তাদের ক্ষুধা-দারিদ্র থেকে মুক্তি দেওয়া, তাদের জীবনটা উন্নত করা, প্রত্যেকটা ঘরে আলো জ্বালা, তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা, খাদ্যের ব্যবস্থা বা চিকিৎসার ব্যবস্থা, সেটা যখন করতে পারব, আমি মনে করব এই হত্যার প্রকৃত প্রতিশোধ সেই দিনই আমরা নিতে পারব।

ঢাকা/ইবিটাইমস/আরএন