ভিয়েনা ১১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের রোমানিয়া-বুলগেরিয়ার যৌথ অভিযানে ৮ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার মাধবপুরে ইঞ্জিন বিকল, ৩ ঘন্টা পর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় যাত্রা বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় সেতুসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ভোলাবাসীর অবস্থান পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ৭০,৬৬০ প্রবাসীর নিবন্ধন বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে লালমোহনে বিক্ষোভ লালমোহনে এসটিএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জয়লাভ খাল–বিলহীন খিলগাতীতে সাড়ে ৯ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ, প্রশ্ন স্থানীয়দের

ভিয়েনায় যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১২:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
  • ২৬ সময় দেখুন

নিউজ ডেস্কঃ ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন কর্তৃক যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে । ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে দূতাবাস কর্তৃক একটি অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি,স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, ছাত্র এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। আলোচনাপর্বের শুরুতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে আলোচকরা মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ০৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে পাকিস্থানি শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামের যে পথ চলা শুরু হয়, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের গঠন ও ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। মুজিবনগর সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, বাংলাদেশের পক্ষে বৈশ্বিক জনমত সৃষ্টি ও বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছিল।

সমাপনী বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গণপরিষদ গঠন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার আলোকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র তৈরি ও বাস্তবায়ন, মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদান ও তাঁদের মনোবল বৃদ্ধি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক নেতৃত্ব প্রদান করা সহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুজিবনগর সরকারের অসামান্য অবদান ও এই সরকারের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন মুজিবনগর সরকার গঠিত হবার পরে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে যা স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছিল।

আলোচনা পর্বের শেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

নি ডে /ইবি টাইমস

Tag :
জনপ্রিয়

ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ভিয়েনায় যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

আপডেটের সময় ১২:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন কর্তৃক যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে । ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে দূতাবাস কর্তৃক একটি অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি,স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, ছাত্র এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। আলোচনাপর্বের শুরুতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে আলোচকরা মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ০৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে পাকিস্থানি শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামের যে পথ চলা শুরু হয়, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের গঠন ও ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। মুজিবনগর সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, বাংলাদেশের পক্ষে বৈশ্বিক জনমত সৃষ্টি ও বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছিল।

সমাপনী বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গণপরিষদ গঠন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার আলোকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র তৈরি ও বাস্তবায়ন, মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদান ও তাঁদের মনোবল বৃদ্ধি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক নেতৃত্ব প্রদান করা সহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুজিবনগর সরকারের অসামান্য অবদান ও এই সরকারের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন মুজিবনগর সরকার গঠিত হবার পরে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে যা স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছিল।

আলোচনা পর্বের শেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

নি ডে /ইবি টাইমস