ভিয়েনা ১২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জার্মানি প্রতিদিন গড়ে ৬৫ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে ফেরত পাঠাচ্ছে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:১৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৮১ সময় দেখুন

বর্তমানে জার্মানি থেকে অনিয়মিত অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর হার ১৮ ভাগ বেড়েছে

ইউরোপ ডেস্কঃ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) জার্মানির বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে এতথ্য জানা গেছে। উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে জার্মানি থেকে অনিয়মিত অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮% বেড়েছে। জার্মানির সরকারের তথ্য মতে, চলতি বছরের ফেরত পাঠানোর এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময়ে মোট ১৯ হাজার ৫৩৮ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৷ সেই হেসেবে প্রতিদন গড়ে ৬৫ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফেরত পাঠানোর এই সংখ্যা ২০২৪ সালের প্রথম দশ মাসে ছিল ১৬ হাজার ৫৬৩জন।

এ সম্পর্কে যা বলছে জার্মানির সরকার: জার্মানির সংবাদমাধ্যম “বিল্ড আম সোনটাগকে’ (Bild am Sonntag) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ডট জানান, সরকার কঠোর অভিবাসন নীতি মেনে চলবে এবং বেআইনিভাবে জার্মানিতে বসাবসরত অভিবাসীদের নিজ দেশে পেরত পাঠানোর সংখ্যা বাড়াবে। অবশ্য এক্ষেত্রে তিনি সিরিয়া এবং আফগানিস্তানের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের পহেলা এপ্রিলের পরে জার্মানিতে আশ্রয় নেওয়া ইউক্রেনীয় শরণার্থীরা অন্যান্য শরণার্থীদের মতোই সুবিধা পাবেন। জার্মানির নাগরিকদের মতো তাদেরকে বেসিক আনএমপ্লয়মেন্ট সুবিধা প্রদান করা হবে না।

সরকারের কঠোর অভিবাসন ও আশ্রয় প্রদান নীতির কারণে অনিয়মিতভাবে জার্মানিতে অবস্থানরত অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সংখ্যা বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর সরকার গঠন করে ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার।

নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই অনিয়মিত অভিবাসন বিষয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন খৃস্টীয় গণতন্ত্রী দল বা সিডিইউর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের। এরই অংশ হিসেবে অনিয়মিত অভিবাসন এবং আশ্রয়প্রাদান বিষয়ে নানা আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে জার্মানির সরকার।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

জার্মানি প্রতিদিন গড়ে ৬৫ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে ফেরত পাঠাচ্ছে

আপডেটের সময় ০৭:১৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

বর্তমানে জার্মানি থেকে অনিয়মিত অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর হার ১৮ ভাগ বেড়েছে

ইউরোপ ডেস্কঃ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) জার্মানির বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে এতথ্য জানা গেছে। উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে জার্মানি থেকে অনিয়মিত অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮% বেড়েছে। জার্মানির সরকারের তথ্য মতে, চলতি বছরের ফেরত পাঠানোর এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময়ে মোট ১৯ হাজার ৫৩৮ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৷ সেই হেসেবে প্রতিদন গড়ে ৬৫ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফেরত পাঠানোর এই সংখ্যা ২০২৪ সালের প্রথম দশ মাসে ছিল ১৬ হাজার ৫৬৩জন।

এ সম্পর্কে যা বলছে জার্মানির সরকার: জার্মানির সংবাদমাধ্যম “বিল্ড আম সোনটাগকে’ (Bild am Sonntag) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ডট জানান, সরকার কঠোর অভিবাসন নীতি মেনে চলবে এবং বেআইনিভাবে জার্মানিতে বসাবসরত অভিবাসীদের নিজ দেশে পেরত পাঠানোর সংখ্যা বাড়াবে। অবশ্য এক্ষেত্রে তিনি সিরিয়া এবং আফগানিস্তানের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের পহেলা এপ্রিলের পরে জার্মানিতে আশ্রয় নেওয়া ইউক্রেনীয় শরণার্থীরা অন্যান্য শরণার্থীদের মতোই সুবিধা পাবেন। জার্মানির নাগরিকদের মতো তাদেরকে বেসিক আনএমপ্লয়মেন্ট সুবিধা প্রদান করা হবে না।

সরকারের কঠোর অভিবাসন ও আশ্রয় প্রদান নীতির কারণে অনিয়মিতভাবে জার্মানিতে অবস্থানরত অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সংখ্যা বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর সরকার গঠন করে ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার।

নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই অনিয়মিত অভিবাসন বিষয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন খৃস্টীয় গণতন্ত্রী দল বা সিডিইউর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের। এরই অংশ হিসেবে অনিয়মিত অভিবাসন এবং আশ্রয়প্রাদান বিষয়ে নানা আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে জার্মানির সরকার।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস