শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পশ্চিম টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত বন্ধপ্রায় এনজিও সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সংসদ (এসডিএস)–এর বিশাল ক্রয়কৃত ভূমি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০১ সালে কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে তৎকালীন চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সিরাজী কারাগারে যান এবং হাজার হাজার গ্রাহকের আমানত আটকে পড়ে।
পরবর্তীতে গ্রাহকদের অধিকার আদায়ে আব্দুস সালাম চাকলাদার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ইসমাইল হোসেন সিরাজীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, প্রেসক্লাব, জেলা বাস মালিক সমিতি, সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)–কে অবহিত করে গ্রাহকের টাকা ফেরত প্রদানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। গ্রাহকদের তালিকাও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়।
তখন সিদ্ধান্ত হয়—এসডিএসের স্থাবর সম্পদ বিক্রি করে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কিছু সম্পদ বিক্রির অর্থ টাঙ্গাইল আদালত ভবনস্থ সোনালী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব নং ৬০০ ৬১ ৩৪ ০১ ৬২১১–এ জমা রাখা হয়েছে। ‘এসডিএস বাংলাদেশ প্রত্যার্পিত তহবিল’ নামে ওই হিসাবে বর্তমানে ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ৭৩২ টাকা রয়েছে, যা এসডিএসের পক্ষে মো. নুরুল ইসলাম এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যৌথভাবে পরিচালনা করেন।
প্রায় ২২ বছর পর গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও সোনালী ব্যাংক হিসাবের অর্থ উত্তোলন নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। গত ৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে মো. নুরুল ইসলাম জেলা প্রশাসকের কাছে টাকা উত্তোলনের আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে ২৬ আগস্ট সকাল ১১টায় এ সংক্রান্ত সভা আহ্বান করা হলেও আজ পর্যন্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান এটি দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়। টাকা উত্তোলনে কোনো আইনগত জটিলতা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে সময় লাগছে।
এদিকে গ্রাহকরা দ্রুত অর্থ ফেরতের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস
























