জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : কয়েকদিন আগেও হুইল চেয়ারে বসে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করতেন ৪২ বছর বয়সী মো. নূরে আলম। দুই হাতে একটি হুইল চেয়ারের চাকা ঘুরিয়ে নূরে আলম ছুটে বেড়াতেন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। তার এ সংগ্রাম ছিল কেবল বৃদ্ধ মা-বাবা আর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কোনো রকমে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার।
ভোলার লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহেষখালি এলাকার বাকলাই বাড়ির মো. ইমাম হোসেনের ছেলে মো. নূরে আলমের সেই কষ্ট এখন লাঘব হয়েছে। জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের অর্থায়নে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় পঙ্গু নূরে আলমকে ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের আবুগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসার জন্য অর্ধলাখ টাকার মুদি মালামাল তুলে দিয়ে দোকানের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাসুদ।
কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হওয়ায় খুশি অসহায় নূরে আলম। তিনি বলেন, আমি ১০ বছর আগে এক দুর্ঘটনায় দুই পা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ি। সংসার চালানোর জন্য বেছে নিই ভিক্ষার পেশা। তবে হুইল চেয়ারে বসে বিভিন্ন জায়গায় যেতে আমার অনেক কষ্ট হতো। আমার কষ্ট লাঘবে ও ভিক্ষার পেশা বন্ধে এগিয়ে এসেছে লালমোহন উপজেলা সমাজ সেবা অফিস। এই দোকানের জন্য অর্ধলাখ টাকার মালামাল পেয়েছি। উপজেলা প্রশাসন ও সমাজ সেবা অফিস থেকে এই টাকা দেওয়া হয়েছে। ইউএনও স্যার আমার দোকানটি উদ্বোধন করেছেন। তিনিসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবাই দোয়া করবেন, এই দোকানটি পরিচালনা করে আমি যেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুন্দরভাবে চলতে পারি।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস
























