সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্টকে ইরাক যুদ্ধের প্রধান পরিকল্পনাকারী বা মাস্টারমাইন্ড হিসাবে মনে করা হয়
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ভোরবেলায় নিউমোনিয়া এবং হৃদরোগজনিত জটিলতায় মৃত্যু হয়েছে ডিক চেনির। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তার পরিবারের সদস্যরা এক বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতাহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ভাইস প্রেসিডেন্ট মনে করা হয় তাকে। উল্লেখ্য যে, ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করতে ২০০৩ সালে ইরাকে যে ভয়াবহ আগ্রাসন চালিয়েছিল মার্কিন-ন্যাটো বাহিনী, সেই আগ্রাসনের প্রধান পরিকল্পনাকারী বা মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ডিক চেনি।
প্রসঙ্গত,ইরাকের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম যুদ্ধ বাঁধে ১৯৯০ সালে। ওই বছর আগস্টে ইরাকের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ৪২টি দেশের জোটের। ইতিহাসে সেই যুদ্ধ ‘উপসাগরীয় যুদ্ধ’ নামে পরিচিত।
উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ। ডিক চেনি ছিলেন তার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। যুদ্ধের পরিকল্পনা, জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ— ইত্যাদি দায়িত্বগুলো তিনিই দেখতেন।
পরে ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট হন জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের ছেলে জর্জ ওয়াকার বুশ। তার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডিক চেনি। পরে ২০০৪ সালে ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জর্জ ওয়াাকার বুশ। সেই সরকারেও চেনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
অর্থাৎ বাবা বুশ এবং ছেলে বুশ— উভয়ের নেতৃত্বাধীন সরকারেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এই রিপাবলিকান রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয়, জর্জ ওয়াকার বুশের নেতৃত্বাধীন সরকারে সবচেয়ে ক্ষমতাবান কর্মকর্তাও ছিলেন চেনি। ধারণা করা হতো, সরকার মূলত চেনিই চালান এবং বুশ জুনিয়র তার পরামর্শ মেনে চলেন।
ডিক চেনির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াকার বুশ। এক শোকবার্তায় চেনিকে ‘ভদ্র, সম্মানিত মানুষ’ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “তার প্রজন্মের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে উজ্জল এবং নিবেদিতপ্রাণ জনসেবক। চেনি ছিলেন এমন একজন দেশপ্রেমিক, যার সততা, বুদ্ধিমত্তা এবং কর্মনিষ্ঠা ছিল দৃষ্টান্তযোগ্য।”
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস



















