জার্মানিতে বাতিল করা হলো মাত্র তিন বছরের মধ্যে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ
ইউরোপ ডেস্কঃ সোমবার (১৩ অক্টোবর) জার্মানির গণমাধ্যম জানায়, দেশের অভিবাসন আইনে আরও কড়াকড়ি আরোপ করলো সরকার। এবার দেশটির সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সম্মতিতে বাতিল করে দেওয়া হলো গেল বছরের জুনে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ সরকারের পাস করা সুদক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য নাগরিকত্বের আইন ফাস্ট ট্র্যাক। যার মাধ্যমে তিন বছরের মধ্যে দ্রুত নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ ছিল।
নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশটিতে আসা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুদক্ষ পেশাজীবীরা বিশেষ করে চিকিৎসক, গবেষক, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলীসহ নানা পেশার কর্মরতদের অনেকে নিয়মটি বাতিলের মুখোমুখি হচ্ছেন।
সম্প্রতি জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্জ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডব্রিন্ড দেশটির সংসদে আইনটি বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য যে,জার্মানিতে আসার পর ট্যাক্স দেওয়ার পাশাপাশি জার্মান ভাষায় দক্ষতা ও জার্মান মূল্যবোধকে ধারণের পরও আইনটি বাতিল করে দেওয়ায় বিষয়টিকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ভাবেই দেখছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসীরা।
জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইনে কড়াকড়ির অংশ হিসেবে আবেদনকারী কেউ যদি সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থক হন, দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন কিংবা ইহুদিবিদ্বেষী এবং উগ্র-ডানপন্থায় বিশ্বাস রাখেন তাহলেও সেসব আবেদনকারীর জার্মানির নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে।
জার্মানিতে দ্রুত নাগরিকত্ব পেয়ে বসবাস করছেন এমন সর্বোচ্চ পর্যায়ের দক্ষ পেশাজীবী কিংবা হাই স্কিল্ড প্রফেশনালদের দেশটির প্রতি আরও বেশি ইতিবাচক মনোভাব পোষণের পাশাপাশি জার্মান আইন ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে বলে মত জার্মানির কমিউনিটি নেতাদের।
জার্মানিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখ্যা তেমন একটা বেশী নী। তবে বিগত বছরগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য জার্মানিতে
এসেছেন। ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত কয়েক মাস পূর্বে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন যে, জার্মানিতে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রায় ৮০
হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ভিসা আবেদন করেছেন।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস
																			


















