নতুন ইইউ “প্রবেশ-প্রস্থান ব্যবস্থা” এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম ভিয়েনা বিমানবন্দরে শুরু হচ্ছে – ভবিষ্যতে আঙুলের ছাপ এবং মুখের স্বীকৃতি পরীক্ষা করা হবে
ভিয়েনা ডেস্কঃ বুধবার (৮ অক্টোবর) ভিয়েনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরহার্ড কার্নার (ÖVP), ইইউ মাইগ্রেশন কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার (ÖVP), মহাপরিচালক ফ্রাঞ্জ রুফ এবং ভিয়েনা বিমানবন্দরের ব্যবস্থপনা পরিচালক (সিইও) গুন্থার অফনার সাথে নতুন “প্রবেশ-প্রস্থান ব্যবস্থা” উপস্থাপন করেছেন। ভিয়েনায় এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে।
তবে এই নতুন নিয়মে অস্ট্রিয়ান নাগরিকরা সরাসরি প্রভাবিত হবেন না। কঠোর নিয়ন্ত্রণগুলি তৃতীয় দেশের নাগরিকদের লক্ষ্য করে, অর্থাৎ যারা ইইউতে বাস করেন না।
সিস্টেমটি ইইউ জুড়ে নেটওয়ার্কযুক্ত: নতুন নিয়ম উপস্থাপনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরহার্ড কার্নার বলেন,এই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে, অবৈধ অভিবাসীদের আরও সহজে সনাক্ত করা যাবে। তিনি বলেন, বায়োমেট্রিক ডেটা পরিমাপ, আঙুলের ছাপ নেওয়া এবং প্রবেশের সময় মুখের স্বীকৃতি স্ক্যান করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, এর ফলে ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণদের সনাক্তকরণও সহজ হবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: সিস্টেমটি ইইউ জুড়ে নেটওয়ার্কযুক্ত।
এছাড়াও ভবিষ্যতে এই স্থানগুলোতে ভিডিও পর্যবেক্ষণ করা হবে।নতুন “প্রবেশ-প্রস্থান ব্যবস্থা” অর্জন করতে ১৬ মিলিয়ন ইউরোর বিশাল খরচ হয়েছে – কেবল ভিয়েনা বিমানবন্দরের জন্য। কর্তৃপক্ষেরও ডেটা সুরক্ষা নিয়ে কোনও উদ্বেগ নেই।
“আরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ”: কার্নার স্পষ্ট করে বলেছেন যে অস্ট্রিয়ানদের প্রবেশের ওপর এই পরিবর্তনের কোনও প্রভাব পড়বে না। পরিবর্তে, নতুন ব্যবস্থা “আরও নিরাপত্তা” তৈরি করবে। ইইউ কমিশনার ও অস্ট্রিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী ব্রুনার আরও জোর দিয়ে বলেন যে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক আইটি সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা। “আমরা একটি পরিবর্তন শুরু করেছি”।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরহার্ড কার্নার আরও জানান, ভিয়েনার পর আগামী মাসগুলিতে অস্ট্রিয়ার আরও বিমানবন্দরকে এই নতুন নিয়মের আওতায় আনা হবে।
সালজবুর্গ এবং ইনসব্রুক বিমানবন্দরে আগামী নভেম্বর মাস থেকে এবং তারপরে ডিসেম্বরে গ্রাজ ও লিনজ বিমানবন্দর এই নতুন নিয়মের আওতায়
আনা হবে।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস