ভিয়েনা ১২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ভিসা অপব্যবহারের অভিযোগ ডেনমার্কের

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩৪১ সময় দেখুন

 ঢালাওভাবে সকল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একতরফা এই অভিযোগ বিভ্রান্তিকর বলছে বাংলাদেশ

ইউরোপ ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ দূতাবাস ডেনমার্কের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আনা ডেনমার্কের এমন অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাস৷ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলছে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এভাবে ঢালাও অভিযুক্ত করা বিভ্রান্তিকর এবং অন্যায্য৷

উল্লেখ্য যে, উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশসহ অনেক দেশের শিক্ষার্থীরা আসেন ইউরোপের দেশ ডেনমার্কে৷ কিন্তু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার নামে দেশটিতে বসবাসের সুযোগকে শ্রমবাজারে ঢোকার ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেছে ডেনমার্ক সরকার৷ ফলে,বাধ্য হয়ে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা নীতি কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি৷

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডেনমার্কের অভিবাসন ও অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ডেনমার্কে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে অবস্থানকে শ্রমবাজারে প্রবেশের পেছনের দরজা হিসেবে ব্যবহার করা ঠেকাতে সরকার একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে৷

দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে ডেনিশ অভিবাসন মন্ত্রণালয়৷ তারা বলছে, পড়াশোনার জন্য ডেনমার্কে বসবাসের সুযোগকে শ্রম অভিবাসনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে৷

যেসব পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ডেনমার্ক: এমন প্রেক্ষাপটে দেশটির সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে৷ অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে:

■ যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া তৃতীয় দেশের নাগরিকদের — যেমন বাংলাদেশ ও নেপালের — জন্য ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ অনেক বেশি কঠিন হবে ৷

■ ভর্তি প্রক্রিয়ার শর্ত কঠোর করা হবে এবং তৃতীয় দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনার সুযোগ বাতিল করা হবে ৷

■ বিদেশি শিক্ষাগত সনদের যাচাই-বাছাইয়ের নিয়ম আরো কঠোর করা হবে ৷

■ ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের ভর্তির শর্ত কঠোর করা হবে৷ যেমন: ভর্তির জন্য ভর্তি পরীক্ষা বা ভাষা পরীক্ষা যুক্ত করা হতে পারে ৷

■ জালিয়াতি নিয়ন্ত্রণে আরো কঠোর অবস্থান নেয়ার পাশাপাশি জালিয়াতির শাস্তিও কঠোর করা হবে ৷

■ ডেনমার্কের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থীর ভর্তি নিশ্চিত করার আগে তার শিক্ষাগত সনদ যাচাই করতে হবে ৷

সব প্রক্রিয়া পার করে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন এবং শিক্ষার্থী ভিসায় ডেনমার্কে বসবাসের অধিকার পাবেন, তাদেরকেও কড়া নজরদারিতে রাখা হবে ৷ যদি তারা ঠিকমতো পড়াশোনা না করেন, তাহলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে ৷

তৃতীয় দেশের শিক্ষার্থীদেরকে তাদের পড়াশোনার খরচের বড় অংশ শুরুতেই পরিশোধ করতে হবে ৷ ডেনমার্কে পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি খোঁজার সময়সীমাও কমানো হবে ৷ বর্তমানে, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি খোঁজার জন্য তিন বছর সময় পান৷ ভবিষ্যতে এই সময়সীমা কমিয়ে এক বছর করা হবে ৷

২০২৪ সালে ডেনমার্কে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি৷ গত বছর দুই হাজার ৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ডেনমার্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছেন ৷

প্রসঙ্গত, ডেনমার্কে তৃতীয় দেশের শিক্ষার্থীরা বলতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র, আইসল্যান্ড, লিশ্টেনস্টাইন, নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ড ছাড়া অন্য যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের বোঝানো হয় ৷

যাচাই করা হবে বিদেশি সনদ: অভিবাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশি শিক্ষাগত সনদের যাচাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সহায়তা দেবে ডেনমার্কের ন্যাশনাল আইডি সেন্টার৷ এর লক্ষ্য হলো, ভুয়া সনদের মাধ্যমে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী যাতে ডেনমার্কে থাকার সুযোগ না পান ৷

ন্যাশনাল আইডি সেন্টার একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান৷ এর মূল কাজ হলো, ডেনমার্কে অবস্থানরত বিদেশিদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা ৷

অভিবাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে আসা শিক্ষার্থীদের বসবাসের অনুমতিপত্রও যাচাই করে দেখবে ন্যাশনাল আইডি সেন্টার৷ এই দুই দেশের শিক্ষার্থীরা কোনো ভুয়া সনদ দেখিয়ে ডেনমার্কে এসেছেন কিনা, তা যাচাই করবে সংস্থাটি ৷

অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি: ডেনমার্কের অভিবাসনমন্ত্রী কারে ডিভাড বিক বলেছেন, ‘‘দুঃখজনকভাবে, উচ্চশিক্ষাকে ডেনিশ শ্রমবাজারে যুক্ত হওয়ার পেছনের দরজা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে৷ আমরা এখন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে আসা শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে দেখেছি৷ আমরা জানি, এই দুই দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যান্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের তুলনায় ড্রপআউটের হার বেশি, এবং তাদের একাডেমিক ও ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷’’

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের তুলনায় বাংলাদেশি ও নেপালি শিক্ষার্থীরা বেশি কাজ করেন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা অদক্ষ শ্রম৷
কারে ডিভাড বিক বলেন, ‘‘যখন কেউ শিক্ষার জন্য ডেনমার্কে আসেন, তখন তাদের মূল উদ্দেশ্য অবশ্যই পড়াশোনা হওয়া উচিত৷’’

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সঙ্গে থাকা উচিত: ডেনমার্কের শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রী ক্রিস্টিনা এগেলুন্ড বলেন, ‘‘যারা পড়াশোনা করতে চান তাদের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে থাকা উচিত৷ কিন্তু এই সুযোগ তাদের জন্য নয়, যারা নিয়মের অপব্যবহার করে ডেনিশ শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে এটিকে ব্যবহার করেন ৷’’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা প্রতিবছর প্রতিভাবান আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসি, যা একটি বড় অর্জন – আমরা তা নষ্ট করতে পারি না৷’’ আর তাই প্রতারণা প্রতিরোধে লক্ষ্যভিত্তিক ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি ৷

মাস্টার্সে বাংলাদেশিদের সংখ্যা সবেচেয়ে বেশি ডেনমার্কে তৃতীয় দেশের শিক্ষার্থীদের সাধারণত নিজেদের শিক্ষা খরচ নিজেদের বহন করতে হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা ডেনিশ শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার যোগ্য নন ৷

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে ডেনমার্কে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি ৷ গত বছর দুই হাজার ৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ডেনমার্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছেন৷ এরপর রয়েছে জার্মানি ও ইতালির শিক্ষার্থীরা ৷

ডেনিশ সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, চীনা শিক্ষার্থীদের রেসিডেন্স পারমিটের মাত্র এক শতাংশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের রেসিডেন্স পারমিটের দুই শতাংশ তাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের এনেছেন ৷ কিন্তু সেখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই হার ৫৮ শতাংশ এবং নেপালি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ ৷

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা শোষণের শিকার, অপব্যবহারকারী নয়, বাংলাদেশ দূতাবাস: ডেনমার্কে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ভিসা অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে কোপেনহেগেনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ৷

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের এমন ঢালাও বা সাধারণভাবে অভিযুক্ত করা বিভ্রান্তিকর এবং অন্যায্য৷ এমন অভিযোগ ডেনমার্কে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করা বহু প্রকৃত শিক্ষার্থীর প্রতি অন্যায় বলেও মনে করে ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাস ৷

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কিছু প্রতিবেদনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভিসাকে শ্রমবাজারে প্রবেশের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে বলে তুলে ধরা হয়েছে৷ কিন্তু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যথাযথ ও আইনসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডেনমার্কে আসেন, ভর্তি ও আবাসনের সব শর্ত পূরণ করেন ৷

দূতাবাস বলছে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য উচ্চ টিউশন ফি পরিশোধের পাশাপাশি জীবনযাত্রার ব্যয়ও বহন করেন ৷

তবে বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, দুঃখজনকভাবে কিছু শিক্ষা পরামর্শক সংস্থার কারণে কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিভ্রান্ত হয়েছেন৷ কারণ, ওই প্রতিষ্ঠানগুলো ডেনমার্কের সুযোগ-সুবিধার অতিরঞ্জিত চিত্র তাদের সামনে তুলে ধরেছে ৷ ফলে, অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক চাপে পড়েন এবং খণ্ডকালীন চাকরিতে যুক্ত হন ৷ আর এটি ডেনিশ আইনে সম্পূর্ণভাবে বৈধ৷ এতে তাদের শিক্ষাজীবনে প্রভাব পড়লেও, তাদের মেধা, সততা বা উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না ৷

বাংলাদেশ দূতাবাস বেশ জোর দিয়ে বলেছে, বেশিরভাগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পরিশ্রমী, আইন মেনে চলেন এবং ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয় ও সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখছেন ৷ তাই, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নামে ঢালাও অভিযোগ ও দুর্নাম না ছড়াতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দূতাবাস ৷

যারা অসাধু মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে শোষণের শিকার হয়েছেন, তাদের অপব্যবহারকারী হিসেবে উপস্থাপন করা উচিত নয় বলেও মনে বাংলাদেশ দূতাবাস৷ বরং, তাদের যথাযথ সহায়তা ও দিকনির্দেশনা দেওয়া উচিত, যাতে তারা ডেনমার্কে আসার মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করতে পারেন ৷

বাংলাদেশ দূতাবাস আরো জানিয়েছে, অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে পড়ার জন্য পূর্ণ বৃত্তি পেয়েছেন, যা তাদের শিক্ষাগত উৎকর্ষতা, যোগ্যতা ও প্রস্তুতির স্মারক ৷

ডক্টরাল ও পোস্টডক্টরাল পর্যায়ে বাংলাদেশি গবেষক এবং শিক্ষকেরা ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা ও শিক্ষাদানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন বলেও উল্লেখ করেছে ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাস ৷

দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান দেওয়া এবং ডেনমার্কে পড়াশোনার সুযোগের অপব্যবহার কার্যকরভাবে মোকাবিলায় ডেনমার্ক কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মধ্য দিয়ে কাজ করতে দূতাবাস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ভিসা অপব্যবহারের অভিযোগ ডেনমার্কের

আপডেটের সময় ০৬:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

 ঢালাওভাবে সকল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একতরফা এই অভিযোগ বিভ্রান্তিকর বলছে বাংলাদেশ

ইউরোপ ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ দূতাবাস ডেনমার্কের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আনা ডেনমার্কের এমন অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাস৷ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলছে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এভাবে ঢালাও অভিযুক্ত করা বিভ্রান্তিকর এবং অন্যায্য৷

উল্লেখ্য যে, উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশসহ অনেক দেশের শিক্ষার্থীরা আসেন ইউরোপের দেশ ডেনমার্কে৷ কিন্তু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার নামে দেশটিতে বসবাসের সুযোগকে শ্রমবাজারে ঢোকার ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেছে ডেনমার্ক সরকার৷ ফলে,বাধ্য হয়ে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা নীতি কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি৷

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডেনমার্কের অভিবাসন ও অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ডেনমার্কে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে অবস্থানকে শ্রমবাজারে প্রবেশের পেছনের দরজা হিসেবে ব্যবহার করা ঠেকাতে সরকার একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে৷

দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে ডেনিশ অভিবাসন মন্ত্রণালয়৷ তারা বলছে, পড়াশোনার জন্য ডেনমার্কে বসবাসের সুযোগকে শ্রম অভিবাসনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে৷

যেসব পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ডেনমার্ক: এমন প্রেক্ষাপটে দেশটির সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে৷ অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে:

■ যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া তৃতীয় দেশের নাগরিকদের — যেমন বাংলাদেশ ও নেপালের — জন্য ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ অনেক বেশি কঠিন হবে ৷

■ ভর্তি প্রক্রিয়ার শর্ত কঠোর করা হবে এবং তৃতীয় দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনার সুযোগ বাতিল করা হবে ৷

■ বিদেশি শিক্ষাগত সনদের যাচাই-বাছাইয়ের নিয়ম আরো কঠোর করা হবে ৷

■ ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের ভর্তির শর্ত কঠোর করা হবে৷ যেমন: ভর্তির জন্য ভর্তি পরীক্ষা বা ভাষা পরীক্ষা যুক্ত করা হতে পারে ৷

■ জালিয়াতি নিয়ন্ত্রণে আরো কঠোর অবস্থান নেয়ার পাশাপাশি জালিয়াতির শাস্তিও কঠোর করা হবে ৷

■ ডেনমার্কের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থীর ভর্তি নিশ্চিত করার আগে তার শিক্ষাগত সনদ যাচাই করতে হবে ৷

সব প্রক্রিয়া পার করে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন এবং শিক্ষার্থী ভিসায় ডেনমার্কে বসবাসের অধিকার পাবেন, তাদেরকেও কড়া নজরদারিতে রাখা হবে ৷ যদি তারা ঠিকমতো পড়াশোনা না করেন, তাহলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে ৷

তৃতীয় দেশের শিক্ষার্থীদেরকে তাদের পড়াশোনার খরচের বড় অংশ শুরুতেই পরিশোধ করতে হবে ৷ ডেনমার্কে পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি খোঁজার সময়সীমাও কমানো হবে ৷ বর্তমানে, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি খোঁজার জন্য তিন বছর সময় পান৷ ভবিষ্যতে এই সময়সীমা কমিয়ে এক বছর করা হবে ৷

২০২৪ সালে ডেনমার্কে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি৷ গত বছর দুই হাজার ৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ডেনমার্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছেন ৷

প্রসঙ্গত, ডেনমার্কে তৃতীয় দেশের শিক্ষার্থীরা বলতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র, আইসল্যান্ড, লিশ্টেনস্টাইন, নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ড ছাড়া অন্য যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের বোঝানো হয় ৷

যাচাই করা হবে বিদেশি সনদ: অভিবাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশি শিক্ষাগত সনদের যাচাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সহায়তা দেবে ডেনমার্কের ন্যাশনাল আইডি সেন্টার৷ এর লক্ষ্য হলো, ভুয়া সনদের মাধ্যমে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী যাতে ডেনমার্কে থাকার সুযোগ না পান ৷

ন্যাশনাল আইডি সেন্টার একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান৷ এর মূল কাজ হলো, ডেনমার্কে অবস্থানরত বিদেশিদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা ৷

অভিবাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে আসা শিক্ষার্থীদের বসবাসের অনুমতিপত্রও যাচাই করে দেখবে ন্যাশনাল আইডি সেন্টার৷ এই দুই দেশের শিক্ষার্থীরা কোনো ভুয়া সনদ দেখিয়ে ডেনমার্কে এসেছেন কিনা, তা যাচাই করবে সংস্থাটি ৷

অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি: ডেনমার্কের অভিবাসনমন্ত্রী কারে ডিভাড বিক বলেছেন, ‘‘দুঃখজনকভাবে, উচ্চশিক্ষাকে ডেনিশ শ্রমবাজারে যুক্ত হওয়ার পেছনের দরজা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে৷ আমরা এখন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে আসা শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে দেখেছি৷ আমরা জানি, এই দুই দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যান্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের তুলনায় ড্রপআউটের হার বেশি, এবং তাদের একাডেমিক ও ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷’’

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের তুলনায় বাংলাদেশি ও নেপালি শিক্ষার্থীরা বেশি কাজ করেন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা অদক্ষ শ্রম৷
কারে ডিভাড বিক বলেন, ‘‘যখন কেউ শিক্ষার জন্য ডেনমার্কে আসেন, তখন তাদের মূল উদ্দেশ্য অবশ্যই পড়াশোনা হওয়া উচিত৷’’

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সঙ্গে থাকা উচিত: ডেনমার্কের শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রী ক্রিস্টিনা এগেলুন্ড বলেন, ‘‘যারা পড়াশোনা করতে চান তাদের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে থাকা উচিত৷ কিন্তু এই সুযোগ তাদের জন্য নয়, যারা নিয়মের অপব্যবহার করে ডেনিশ শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে এটিকে ব্যবহার করেন ৷’’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা প্রতিবছর প্রতিভাবান আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসি, যা একটি বড় অর্জন – আমরা তা নষ্ট করতে পারি না৷’’ আর তাই প্রতারণা প্রতিরোধে লক্ষ্যভিত্তিক ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি ৷

মাস্টার্সে বাংলাদেশিদের সংখ্যা সবেচেয়ে বেশি ডেনমার্কে তৃতীয় দেশের শিক্ষার্থীদের সাধারণত নিজেদের শিক্ষা খরচ নিজেদের বহন করতে হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা ডেনিশ শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার যোগ্য নন ৷

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে ডেনমার্কে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি ৷ গত বছর দুই হাজার ৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ডেনমার্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছেন৷ এরপর রয়েছে জার্মানি ও ইতালির শিক্ষার্থীরা ৷

ডেনিশ সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, চীনা শিক্ষার্থীদের রেসিডেন্স পারমিটের মাত্র এক শতাংশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের রেসিডেন্স পারমিটের দুই শতাংশ তাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের এনেছেন ৷ কিন্তু সেখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই হার ৫৮ শতাংশ এবং নেপালি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ ৷

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা শোষণের শিকার, অপব্যবহারকারী নয়, বাংলাদেশ দূতাবাস: ডেনমার্কে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ভিসা অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে কোপেনহেগেনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ৷

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের এমন ঢালাও বা সাধারণভাবে অভিযুক্ত করা বিভ্রান্তিকর এবং অন্যায্য৷ এমন অভিযোগ ডেনমার্কে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করা বহু প্রকৃত শিক্ষার্থীর প্রতি অন্যায় বলেও মনে করে ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাস ৷

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কিছু প্রতিবেদনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভিসাকে শ্রমবাজারে প্রবেশের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে বলে তুলে ধরা হয়েছে৷ কিন্তু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যথাযথ ও আইনসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডেনমার্কে আসেন, ভর্তি ও আবাসনের সব শর্ত পূরণ করেন ৷

দূতাবাস বলছে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য উচ্চ টিউশন ফি পরিশোধের পাশাপাশি জীবনযাত্রার ব্যয়ও বহন করেন ৷

তবে বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, দুঃখজনকভাবে কিছু শিক্ষা পরামর্শক সংস্থার কারণে কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিভ্রান্ত হয়েছেন৷ কারণ, ওই প্রতিষ্ঠানগুলো ডেনমার্কের সুযোগ-সুবিধার অতিরঞ্জিত চিত্র তাদের সামনে তুলে ধরেছে ৷ ফলে, অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক চাপে পড়েন এবং খণ্ডকালীন চাকরিতে যুক্ত হন ৷ আর এটি ডেনিশ আইনে সম্পূর্ণভাবে বৈধ৷ এতে তাদের শিক্ষাজীবনে প্রভাব পড়লেও, তাদের মেধা, সততা বা উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না ৷

বাংলাদেশ দূতাবাস বেশ জোর দিয়ে বলেছে, বেশিরভাগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পরিশ্রমী, আইন মেনে চলেন এবং ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয় ও সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখছেন ৷ তাই, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নামে ঢালাও অভিযোগ ও দুর্নাম না ছড়াতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দূতাবাস ৷

যারা অসাধু মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে শোষণের শিকার হয়েছেন, তাদের অপব্যবহারকারী হিসেবে উপস্থাপন করা উচিত নয় বলেও মনে বাংলাদেশ দূতাবাস৷ বরং, তাদের যথাযথ সহায়তা ও দিকনির্দেশনা দেওয়া উচিত, যাতে তারা ডেনমার্কে আসার মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করতে পারেন ৷

বাংলাদেশ দূতাবাস আরো জানিয়েছে, অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে পড়ার জন্য পূর্ণ বৃত্তি পেয়েছেন, যা তাদের শিক্ষাগত উৎকর্ষতা, যোগ্যতা ও প্রস্তুতির স্মারক ৷

ডক্টরাল ও পোস্টডক্টরাল পর্যায়ে বাংলাদেশি গবেষক এবং শিক্ষকেরা ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা ও শিক্ষাদানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন বলেও উল্লেখ করেছে ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাস ৷

দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান দেওয়া এবং ডেনমার্কে পড়াশোনার সুযোগের অপব্যবহার কার্যকরভাবে মোকাবিলায় ডেনমার্ক কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মধ্য দিয়ে কাজ করতে দূতাবাস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস