ইবিটাইমস ডেস্ক : ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে সমর্থন জানাতে সোমবার নিউইর্য়কে জাতিসংঘে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক ডজন বিশ্বনেতা। গাজা যুদ্ধের প্রায় দুই বছর পর এটি একটি যুগান্তকারী কূটনৈতিক পরিবর্তন, যা ইসরাইল এবং তার ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয় এসব তথ্য।
এদিকে, বিশ্বনেতাদের একত্রিত হওয়ার মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় ফ্রান্স। সৌদি আরবের সাথে তার আয়োজিত এক বৈঠকে এই ঘোষণা করবেন বলে আগেই জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই শান্তির পথ প্রশস্ত করতে হবে।’
বলেন, আমাদের অবশ্যই ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করতে হবে যাতে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন শান্তি ও নিরাপত্তায় পাশাপাশি বসবাস করে।’
এ সময় ম্যাক্রোঁ একটি নবায়নকৃত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য একটি কাঠামোর রূপরেখা তুলে ধরেন যার অধীনে ফ্রান্স সংস্কার, যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার জন্য একটি দূতাবাস খুলবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এদিকে, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, যার বামপন্থি সরকার ২০২৪ সালে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়, সোমবার রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে সাম্প্রতিক স্বীকৃতির পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আগে, সোমবার লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, বেলজিয়াম এবং মোনাকোও ১৯৩টি জাতিসংঘ সদস্যের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি সদস্যের সাথে যোগ দিয়েছে যারা ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এদিকে, ইসরাইলের ইতিহাসের সবচেয়ে উগ্র ডানপন্থি সরকার ঘোষণা করেছে যে কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থাকবে না। এই ধরনের পদক্ষেপ সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাপ্তির সম্ভাবনাকে দুর্বল করে দেবে বলেও জানিয়েছে তেল আবিব।
রয়টার্স জানায়, গাজায় সামরিক অভিযানের জন্য ইসরাইল বিশ্বব্যাপী নিন্দার মুখে পড়েছে, স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, যেখানে ৬৫,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরাইল গাজা সিটিতে দীর্ঘ-হুমকিপূর্ণ স্থল আক্রমণ শুরু করেছে, যেখানে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা খুবই কম।
অন্যদিকে, সোমবারের বৈঠক বয়কট করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগামী সপ্তাহে ইসরাইলে ফিরে আসার পর স্বীকৃতির ঘোষণার প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে তা নিয়ে ইসরাইল আলোচনা করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে বলেছে যে এই পদক্ষেপ আরও সমস্যা তৈরি করবে।
ঢাকা/এসএস