স্বল্প পরিসরে আয়োজিত এই আকর্ষণীয় বিবাহ অনুষ্ঠানে কমিউনিটির তরুণদের প্রাধান্য ছিল বেশী
ভিয়েনা ডেস্কঃ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভিয়েনার ২১ নাম্বার ডিস্ট্রিক্টের একটি আফগান রেস্টুরেন্টে কমিউনিটির তরুণ ইমতিয়াজ আহমেদ শরীফ এর সাথে তাসনিম প্রেমা কবীরের শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
কমিউনিটির অল্প সংখ্যক বয়োজৈষ্ঠ ব্যক্তিগর্গকে নিয়ে বিবাহ পড়ান কমিউনিটির ইমাম শায়খ মুমিনুল ইসলাম। বিবাহে বড় পক্ষের সাক্ষী হন কমিউনিটির
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব নুরুল হোসাইন। আর কনে পক্ষের সাক্ষী হন কমিউনিটির দ্বিতীয় প্রজন্মের সিয়াম কামাল।
বিবাহ পড়ানোর পূর্বে শায়খ বর ও কনের পরিচয় পেশ করেন। বর শরীফের পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায়। বরের বাবার নাম হাজী নুরুল ইসলাম। বর শরীফের বাবা মা বাংলাদেশে থাকেন। আর কনে তাসনিম প্রেমা কবীর এর পৈতৃক বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায়। পিতা অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রয়াত আহমেদুল কবীর।
বিবাহের খুতবার পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শায়খ মুমিনুল ইসলাম আরও জানান বিবাহের মোহরানা বা দেনমোহর হলো ত্রিশ হাজার ইউরো (€৩০,০০০)
এবং ১৫ ভরি স্বর্ণ ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে নগদ তিন ভরি স্বর্ণ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন,ইসলাম ধর্মে মোহরানা বা দেনমোহর হলো বিবাহের একটি বাধ্যতামূলক অংশ, যেখানে স্বামী বিবাহের প্রতিদান হিসেবে স্ত্রীকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা অন্য কোনো সম্পদ প্রদান করে বা দেওয়ার অঙ্গীকার করে। এটি স্ত্রীর সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক এবং মুসলিম আইন অনুযায়ী এটি একটি বাধ্যতামূলক আইনি দায়, যা বিয়েকে বৈধতা দেয়। মোহরানা তাৎক্ষণিক বা বিলম্বিত হতে পারে, এবং মৃত্যু বা বিবাহ বিচ্ছেদের পর এটি পরিশোধ করা আবশ্যক। তিনি আরও বলেন বিবাহে দেনমোহর যত কম হবে,সেখানে ততো বেশী আল্লাহর রহমত ও বরকত বেশী নাযিল হয়।
তারপর শায়খ মুমিনুল ইসলাম বিবাহের খুতবা পড়েন। বর ও কনের সম্মতি এবং স্বাক্ষর নিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করেন। বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর বরের পক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া সমিতির সাবেক সভাপতি মামুন হাসান, আর কনের পক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন কনে তাসনিম প্রেমা কবীরের মা মিসেস কবীর।
অনুষ্ঠানে অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রিয়া কুমিল্লা সমিতির সভাপতি তাহের সরকার,ইউরো বাংলা টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক (আন্তর্জাতিক) কবির আহমেদ, ভিয়েনার তাওফিক সঞ্চয় সমিতির সাবেক ক্যাশিয়ার মোহাম্মদ হারুন,কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব রিয়াজুল করিম এবং মহসিন মোল্লা প্রমুখ।
বিবাহের আনুষ্ঠানিকতার পর উপস্থিত অতিথিদের আফগানিস্তানের ঐতিহ্যবাহী বুফেট দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। সবশেষে বাংলাদেশের মিষ্টান্ন খাবার
পরিবেশন করা হয়।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস