ভিয়েনা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে তরুণীকে গ্রেফতার করে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ হবিগঞ্জে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে তরুণীকে গ্রেফতার টাঙ্গাইল আদালতে বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ের পানি শোধনাগার চার বছর ধরে বন্ধ রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে সামনে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে : ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল শুরু আরও ১৬ দেশের পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইসির ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা গণহত্যার জন্য নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি তিন দফা দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান

লালমোহনে বসতঘর পুড়ে ছাই

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১২:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • ২৮ সময় দেখুন

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ: ভোলার লালমোহনে অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চরকচ্চপিয়া এলাকার আব্দুল আজিজ মুন্সি বাড়ির মো. হারুন মুন্সির (৫৫) বসত ঘরটি গ্যাস সিলিণ্ডার বিস্ফোরণে পুরোপুরি ভাবে পুড়ে যায়।
হারুন মুন্সির মেয়ে মোসাম্মদ নাহার জানান, ঈদ উপলক্ষে আমি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ গ্যাস সিলিণ্ডার বিস্ফোরণে আমাদের ঘরে আগুন লেগে পুরোপুরি ভাবে পুড়ে যায়। অগ্নিকান্ডের সময় বাবা দোকানে ছিলেন, মা আর আমি ঘরের বাহিরে এক প্রতিবেশির সঙ্গে কথা বলছিলাম। এরই মধ্যে ঘরের ভিতর আগুন জ্বলতে দেখে ডাক চিৎকার দেই। আমাদের ডাকচিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। তারা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসও আসে। তবে ৩০ মিনিটের ভিতরে ঘরে থাকা আমার বোন জামাই এর জমি কেনার জন্য রাখা ৭ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা ঘরের চাল, ডাল, জামা কাপড়সহ সবকিছুই পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। এ দৃশ্য দেখে আমার বৃদ্ধ বাবা ও মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। আমার বাবা ছোট্র একটি মুদি দোকান করে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছেন। তার ওই আয় থেকে গত তিন বছর আগে নতুন করে একটি টিনসেট ঘর করেন।

তিনি আরো জানান, বিকেল ৩টায়ও বাবা মায়ের জ্ঞান ফিরেনি। এছাড়া অগ্নিকান্ডে আমাদের শরীরের জামা কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই। আমাদের কোনো ভাই নেই। আমরা কেবল চার বোন। সব বোনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। বাবা অনেক কস্ট করে মাকে নিয়ে সংসারটা চালাচ্ছেন। এখন পুড়ে ছাই হওয়া ঘরটি আমার বাবার পক্ষে নতুন করে তোলা কোনো ভাবেই সম্ভব না। তাই সরকারের কাছে ঘরটি পুনঃর্নির্মানের জন্য আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রতিবেশি কবির, মিরাজ ও তাজউদ্দিন মুন্সি জানান, আমরা খবর পেয়ে আমরা এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও এসে চেষ্টা করে। কিন্তু মূহুর্তের মধ্যে আগুনে সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আগুনের লেলিহান শিখার কাছে আমরা কিছুই করতে পারিনাই। হারুন মুন্সি অনেক কস্ট করে সংসার পরিচালনা করতেন। এই ঘরের ভিটেটুকু ছাড়া তার আর কোনো সম্পদ নেই। ব্রিজের পাশে সামান্য মুদি দোকানই ছিল তার আয়ের উৎস। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করবো হারুন মুন্সির পাশে দাড়ানোর জন্য।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

Tag :
জনপ্রিয়

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে তরুণীকে গ্রেফতার করে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে বসতঘর পুড়ে ছাই

আপডেটের সময় ১২:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ: ভোলার লালমোহনে অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চরকচ্চপিয়া এলাকার আব্দুল আজিজ মুন্সি বাড়ির মো. হারুন মুন্সির (৫৫) বসত ঘরটি গ্যাস সিলিণ্ডার বিস্ফোরণে পুরোপুরি ভাবে পুড়ে যায়।
হারুন মুন্সির মেয়ে মোসাম্মদ নাহার জানান, ঈদ উপলক্ষে আমি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ গ্যাস সিলিণ্ডার বিস্ফোরণে আমাদের ঘরে আগুন লেগে পুরোপুরি ভাবে পুড়ে যায়। অগ্নিকান্ডের সময় বাবা দোকানে ছিলেন, মা আর আমি ঘরের বাহিরে এক প্রতিবেশির সঙ্গে কথা বলছিলাম। এরই মধ্যে ঘরের ভিতর আগুন জ্বলতে দেখে ডাক চিৎকার দেই। আমাদের ডাকচিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। তারা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসও আসে। তবে ৩০ মিনিটের ভিতরে ঘরে থাকা আমার বোন জামাই এর জমি কেনার জন্য রাখা ৭ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা ঘরের চাল, ডাল, জামা কাপড়সহ সবকিছুই পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। এ দৃশ্য দেখে আমার বৃদ্ধ বাবা ও মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। আমার বাবা ছোট্র একটি মুদি দোকান করে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছেন। তার ওই আয় থেকে গত তিন বছর আগে নতুন করে একটি টিনসেট ঘর করেন।

তিনি আরো জানান, বিকেল ৩টায়ও বাবা মায়ের জ্ঞান ফিরেনি। এছাড়া অগ্নিকান্ডে আমাদের শরীরের জামা কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই। আমাদের কোনো ভাই নেই। আমরা কেবল চার বোন। সব বোনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। বাবা অনেক কস্ট করে মাকে নিয়ে সংসারটা চালাচ্ছেন। এখন পুড়ে ছাই হওয়া ঘরটি আমার বাবার পক্ষে নতুন করে তোলা কোনো ভাবেই সম্ভব না। তাই সরকারের কাছে ঘরটি পুনঃর্নির্মানের জন্য আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রতিবেশি কবির, মিরাজ ও তাজউদ্দিন মুন্সি জানান, আমরা খবর পেয়ে আমরা এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও এসে চেষ্টা করে। কিন্তু মূহুর্তের মধ্যে আগুনে সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আগুনের লেলিহান শিখার কাছে আমরা কিছুই করতে পারিনাই। হারুন মুন্সি অনেক কস্ট করে সংসার পরিচালনা করতেন। এই ঘরের ভিটেটুকু ছাড়া তার আর কোনো সম্পদ নেই। ব্রিজের পাশে সামান্য মুদি দোকানই ছিল তার আয়ের উৎস। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করবো হারুন মুন্সির পাশে দাড়ানোর জন্য।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।