কঙ্কাল মহাসড়ক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ-পাথর উঠে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ভাঙাচোরা থাকায় ৪৫ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে যানবাহনগুলোর প্রায় ৯০ মিনিট সময় লেগে যাচ্ছে। সড়কের এই দুরবস্থার কারণে প্রতিদিন যাতায়াত করতে গিয়ে ঝিনাইদহ ও যশোর জেলার লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঝিনাইদহ অংশের ২৭ কিলোমিটারসহ সড়কটির যশোর পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কিলোমিটার অংশের অবস্থা বেহাল।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সড়কটির ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। তাঁরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনায়েম লিমিটেডকে সড়ক বুঝিয়ে দিয়েছেন, আর ঠিকাদারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা এখনো সেভাবে কাজ শুরু করতে পারেনি। এ ছাড়া সংস্কার কাজে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই। তারপরও তাঁরা চেষ্টা করছেন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে। সে লক্ষ্যে ইট বিছিয়ে আপাতত চলার উপযোগী করে তুলছেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কিছু স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, দীর্ঘ তিন–চার মাস সড়কটির এ অবস্থা বিরাজ করলেও যান চলাচলের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে কিছু স্থানে ইটের খোয়া বিছিয়ে দেওয়া হলেও চলাচলের উপযোগী সেভাবে হচ্ছে না। নতুন নতুন গর্ত তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় সড়কটি দিয়ে রিকশা-ভ্যান চলাচল করতে পারছে না। বড় গাড়িগুলো সড়কে চলাচল করলেও গর্তে পড়ে মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল থেকে কালীগঞ্জ শহর হয়ে যশোর পালবাড়ি পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থান ভেঙে গেছে। সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে সওজের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, মহাসড়কটির ছয় লেনে উন্নিতকরণকাজ শুরু হয়েছে। এটি একটি প্রকল্পের আওতায় চলে গেছে, এখানে তাদের পক্ষ থেকে নতুন করে কিছু করার নেই।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনায়েম লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আবদুল সালাম জানান, তাঁরা সেভাবে এখনো কাজ শুরু করেননি। তারপরও যাত্রীদের যাতে ভোগান্তি না হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

শেখ ইমন/ইবিটাইমস 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »