ভিয়েনা ০৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউক্রেন ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান চুরির চেষ্টার অভিযোগ কালিহাতীতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সিএনজিতে আগুন, এক যাত্রীর মৃত্যু টাঙ্গাইলে হাসপাতাল থেকে ১৩ দালাল আটক মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল শহর পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বােধন রাহেলা জাকির টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সভাপতি নির্বাচিত ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর আইএস বিরোধী জোটে যোগ দিচ্ছে সিরিয়া দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের তদন্ত করছে ফরেনসিক দল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী ইতালি নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার নিষিদ্ধ

সেচ খালে ‘দুর্ভোগ’

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:৪৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০ সময় দেখুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চার জেলায় আমন চাষে পানির ঘাটতি মেটাতে চালু করা হয় দেশের বৃহত্তম গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প। চাষাবাদ বাড়ানোই ছিল প্রকল্পটির লক্ষ্য। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঝিনাইদহ,কুষ্টিয়া,চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরা জেলায় সেচ খাল খনন করা হয়।

যার প্রথম কাজ শুরু হয় ১৯৫৫-৫৬ অর্থবছরে। ১৯৫১ সালে প্রাথমিক জরিপের পর ১৯৫৪ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। তবে চালু হয় ১৯৬২-৬৩ সালে। শুরুতে বছরের ১০ মাস (১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর) দিনরাত ২৪ ঘণ্টা তিনটি পাম্পের মাধ্যমে পানি তোলা হতো। বাকি দুই মাস চলত রক্ষণাবেক্ষণ। ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল ও ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খালের মাধ্যমে সেচ প্রকল্পের পানি কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার ১৩টি উপজেলায় সরবরাহ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় সেচযোগ্য এলাকা রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ১০৭ হেক্টর। তবে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এই সেচ খালটিই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঝিনাইদহের শৈলকুপার প্রায় ২০ গ্রামের কৃষকদের। খালের পানি নিষ্কাশনের স্লুইচগেটের মুখ সরু হওয়ায় ঠিকমতো পানি বের হতে পারছে না। ফলে ডুবে যাচ্ছে ফসলি জমি।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার দুধসর, নিত্যানন্দপুর ও উমেদপুর ইউনিয়নের দুধসর,মলমলি,পুকুরপাড়,ত্রিপুরাকান্দি,টংবিলা,বোয়ালিয়া,আগবোয়ালিয়া,কচুয়া,ভিক্ষাকর,ফলিয়া, খড়িবাড়িয়া,খালফলিয়া,বরইচারা,দক্ষিণ মনোহরপুর,সাবাশপুর,আশুরহাট,শেখরা, গোপালপুরসহ ২০ গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে জিকে সেচ খাল। এলাকায় এটি ‘বড় খাল’ নামে পরিচিত। এসব গ্রামের ফসলি জমির পানি জিকে সেচ খালের শেখড়া গ্রামের স্লুইসগেট দিয়ে বের হয়ে চলে যায় নবগঙ্গা নদীতে। তবে এ স্থানটির স্লুইচ গেটটি সংকুচিত হওয়ায় বৃষ্টিতে এলাকার ফসলি জমি ডুবে গেছে। এমনকি দুধসর ইউনিয়নের টংবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে পানি ঢুকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় স্কুল ।

খালফলিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক স্বপন কুমার অধিকারী বলেন,‘শেখড়া গ্রামের স্লুইচ গেটটি সংকুচিত হয়ে গেছে ও দীর্ঘদিন ধরে সেচ খাল সংস্কার না হওয়ায় ফসলি জমি ডুবে গিয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’

টংবিলা গ্রামের কৃষক অনিল রায় বলেন,‘আমার ৮ বিঘা জমিতে ধান ও পেঁয়াজ ছিল। এবারের বৃষ্টিতে সব ডুবে গেছে। শেখড়া এলাকার স্লুইচ গেটটি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ দুঃখ যাবে না।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান খান বলেন,‘নতুন প্রকল্প গ্রহণ করে শেখড়ায় চওড়া স্লুইচ গেট স্থাপন না করা পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হবে না। কৃষকদের হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল বাঁচাতে ও দুঃখ লাঘব করতে এ উদ্যোগ নেওয়া দরকার।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস বলেন,‘জিকে সেচ খাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন। শেখড়া নামক স্থানের স্লুইচগেটটি ভেঙে সংস্কার করে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।’

শেখ ইমন/ইবিটাইমস 
জনপ্রিয়

ইউক্রেন ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান চুরির চেষ্টার অভিযোগ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

সেচ খালে ‘দুর্ভোগ’

আপডেটের সময় ০৫:৪৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চার জেলায় আমন চাষে পানির ঘাটতি মেটাতে চালু করা হয় দেশের বৃহত্তম গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প। চাষাবাদ বাড়ানোই ছিল প্রকল্পটির লক্ষ্য। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঝিনাইদহ,কুষ্টিয়া,চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরা জেলায় সেচ খাল খনন করা হয়।

যার প্রথম কাজ শুরু হয় ১৯৫৫-৫৬ অর্থবছরে। ১৯৫১ সালে প্রাথমিক জরিপের পর ১৯৫৪ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। তবে চালু হয় ১৯৬২-৬৩ সালে। শুরুতে বছরের ১০ মাস (১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর) দিনরাত ২৪ ঘণ্টা তিনটি পাম্পের মাধ্যমে পানি তোলা হতো। বাকি দুই মাস চলত রক্ষণাবেক্ষণ। ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল ও ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খালের মাধ্যমে সেচ প্রকল্পের পানি কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার ১৩টি উপজেলায় সরবরাহ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় সেচযোগ্য এলাকা রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ১০৭ হেক্টর। তবে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এই সেচ খালটিই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঝিনাইদহের শৈলকুপার প্রায় ২০ গ্রামের কৃষকদের। খালের পানি নিষ্কাশনের স্লুইচগেটের মুখ সরু হওয়ায় ঠিকমতো পানি বের হতে পারছে না। ফলে ডুবে যাচ্ছে ফসলি জমি।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার দুধসর, নিত্যানন্দপুর ও উমেদপুর ইউনিয়নের দুধসর,মলমলি,পুকুরপাড়,ত্রিপুরাকান্দি,টংবিলা,বোয়ালিয়া,আগবোয়ালিয়া,কচুয়া,ভিক্ষাকর,ফলিয়া, খড়িবাড়িয়া,খালফলিয়া,বরইচারা,দক্ষিণ মনোহরপুর,সাবাশপুর,আশুরহাট,শেখরা, গোপালপুরসহ ২০ গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে জিকে সেচ খাল। এলাকায় এটি ‘বড় খাল’ নামে পরিচিত। এসব গ্রামের ফসলি জমির পানি জিকে সেচ খালের শেখড়া গ্রামের স্লুইসগেট দিয়ে বের হয়ে চলে যায় নবগঙ্গা নদীতে। তবে এ স্থানটির স্লুইচ গেটটি সংকুচিত হওয়ায় বৃষ্টিতে এলাকার ফসলি জমি ডুবে গেছে। এমনকি দুধসর ইউনিয়নের টংবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে পানি ঢুকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় স্কুল ।

খালফলিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক স্বপন কুমার অধিকারী বলেন,‘শেখড়া গ্রামের স্লুইচ গেটটি সংকুচিত হয়ে গেছে ও দীর্ঘদিন ধরে সেচ খাল সংস্কার না হওয়ায় ফসলি জমি ডুবে গিয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’

টংবিলা গ্রামের কৃষক অনিল রায় বলেন,‘আমার ৮ বিঘা জমিতে ধান ও পেঁয়াজ ছিল। এবারের বৃষ্টিতে সব ডুবে গেছে। শেখড়া এলাকার স্লুইচ গেটটি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ দুঃখ যাবে না।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান খান বলেন,‘নতুন প্রকল্প গ্রহণ করে শেখড়ায় চওড়া স্লুইচ গেট স্থাপন না করা পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হবে না। কৃষকদের হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল বাঁচাতে ও দুঃখ লাঘব করতে এ উদ্যোগ নেওয়া দরকার।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস বলেন,‘জিকে সেচ খাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন। শেখড়া নামক স্থানের স্লুইচগেটটি ভেঙে সংস্কার করে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।’

শেখ ইমন/ইবিটাইমস