ভিয়েনা ১১:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের রোমানিয়া-বুলগেরিয়ার যৌথ অভিযানে ৮ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার মাধবপুরে ইঞ্জিন বিকল, ৩ ঘন্টা পর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় যাত্রা বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় সেতুসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ভোলাবাসীর অবস্থান পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ৭০,৬৬০ প্রবাসীর নিবন্ধন বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে লালমোহনে বিক্ষোভ লালমোহনে এসটিএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জয়লাভ খাল–বিলহীন খিলগাতীতে সাড়ে ৯ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ, প্রশ্ন স্থানীয়দের

নির্বাহী আদেশে তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিধান বাতিল

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:৩৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ২২ সময় দেখুন

মো. নাসরুল্লাহ, ঢাকা: গণশুনানি ছাড়া গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো যাবে না। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) আবারও গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন ৩৪ (ক) বিলুপ্ত করে অধ্যাদেশ জারি করার কথা জানানো হয়।

এখন থেকে এটি ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৪’ নামে অভিহিত হবে। এই আইনের ৩৪-এর ‘ক’ ধারা অনুযায়ী,‘ ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয়ের ক্ষমতা সরকারের। এই ধারা বিলুপ্ত হওয়ায় এখন থেকে গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হবে।

বিইআরসি’র সচিব (যুগ্মসচিব) ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান জানান, এতে করে যে কারণে রেগুলেটরি কমিশন গঠন করা হয়েছে তা পুরোপুরি কার্যকর হবে। দাম নির্ধারণের জনগণের সম্পৃক্ততা থাকবে। তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দাম নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া, সেটি আবার ফেরত এল। জনগণের ক্ষমতা আবার জনগণের কাছে ফেরত এল।

তিনি আরও বলেন, সব পর্যায়ের ভোক্তা এবং অংশীজনের সমন্বয়ে এখন থেকে শুনানি হবে। শুনানিতে তাদের পরামর্শ, মতামত, অভিযোগ আমলে নিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি দাম নির্ধারণ হবে। আগে এই কার্যক্রম শেষ করতে ৯০ দিন সময় লাগতো পরে তা কমিয়ে ৬০ দিন নির্ধারণ করা হয়। সেটিকে আমরা ৩০ দিন বা আরও কম সময়ের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করব।

গত ২২ আগস্ট উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে আইনটি সংশোধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ২০২২ সালের পহেলা ডিসেম্বর গণশুনানি ছাড়াই বিশেষ পরিস্থিতিতে সরাসরি জ্বালানির দাম সমন্বয় করার বিধান করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন-২০০৩ সংশোধন করে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বরে গণশুনানি ছাড়াই জ্বালানির দাম সমন্বয়ের বিধান রেখে আইন সংশোধনের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে জাতীয় সংসদে ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন), বিল পাস হয়।

গত ১৮ আগস্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়োজন হলে আবারও বিইআরসি আয়োজিত গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হবে। তিনি বলেন, বারবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। তাই দুর্ভোগ বাড়বে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না।

ঢাকা/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন

জনপ্রিয়

ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

নির্বাহী আদেশে তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিধান বাতিল

আপডেটের সময় ০৮:৩৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

মো. নাসরুল্লাহ, ঢাকা: গণশুনানি ছাড়া গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো যাবে না। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) আবারও গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন ৩৪ (ক) বিলুপ্ত করে অধ্যাদেশ জারি করার কথা জানানো হয়।

এখন থেকে এটি ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৪’ নামে অভিহিত হবে। এই আইনের ৩৪-এর ‘ক’ ধারা অনুযায়ী,‘ ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয়ের ক্ষমতা সরকারের। এই ধারা বিলুপ্ত হওয়ায় এখন থেকে গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হবে।

বিইআরসি’র সচিব (যুগ্মসচিব) ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান জানান, এতে করে যে কারণে রেগুলেটরি কমিশন গঠন করা হয়েছে তা পুরোপুরি কার্যকর হবে। দাম নির্ধারণের জনগণের সম্পৃক্ততা থাকবে। তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দাম নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া, সেটি আবার ফেরত এল। জনগণের ক্ষমতা আবার জনগণের কাছে ফেরত এল।

তিনি আরও বলেন, সব পর্যায়ের ভোক্তা এবং অংশীজনের সমন্বয়ে এখন থেকে শুনানি হবে। শুনানিতে তাদের পরামর্শ, মতামত, অভিযোগ আমলে নিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি দাম নির্ধারণ হবে। আগে এই কার্যক্রম শেষ করতে ৯০ দিন সময় লাগতো পরে তা কমিয়ে ৬০ দিন নির্ধারণ করা হয়। সেটিকে আমরা ৩০ দিন বা আরও কম সময়ের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করব।

গত ২২ আগস্ট উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে আইনটি সংশোধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ২০২২ সালের পহেলা ডিসেম্বর গণশুনানি ছাড়াই বিশেষ পরিস্থিতিতে সরাসরি জ্বালানির দাম সমন্বয় করার বিধান করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন-২০০৩ সংশোধন করে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বরে গণশুনানি ছাড়াই জ্বালানির দাম সমন্বয়ের বিধান রেখে আইন সংশোধনের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে জাতীয় সংসদে ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন), বিল পাস হয়।

গত ১৮ আগস্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়োজন হলে আবারও বিইআরসি আয়োজিত গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হবে। তিনি বলেন, বারবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। তাই দুর্ভোগ বাড়বে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না।

ঢাকা/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন