ভিয়েনা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রিয়ায় আজ করোনার লকডাউনের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:১৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১
  • ৯ সময় দেখুন

ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ার সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী আজ সোমবার অস্ট্রিয়ান সরকারের নীতিনির্ধারকরা পুনরায় সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ,বিরোধীদল ও সামাজিক অংশীদারদের সাথে বৈঠকে বসছেন দেশের চলমান লকডাউনের ভবিষ্যত নিয়ে।

অস্ট্রিয়ার জাতীয় সংবাদ পত্রের খবর অনুযায়ী সরকার দুই সপ্তাহ পূর্বে মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, মার্চের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল,ফিটনেস সেন্টার সহ ইন্ডোর স্পোর্টস এর বিভিন্ন ইভেন্ট খুলে দিবেন। তবে গত কয়েকদিনের দৈনিক সংক্রমণ পুনরায় ২,০০০ হাজারের উপরে উঠে যাওয়ায় এখন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। একটি স্থানীয় সংবাদ পত্র জানিয়েছেন যে,এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।

অবশ্য অস্ট্রিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক হ্যারাল্ড মাহের বলেছেন, সরকারের উচিৎ তথ্য ও তথ্য-উপাত্তের দিকে নজর দেওয়া। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এটি দেখিয়ে দেবে যে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে পরীক্ষার, দূরত্ব এবং মুখোশের প্রয়োজনীয়তা এবং ভ্যাকসিন ব্যবহার করে ক্যাটারিং এবং হোটেল শিল্পগুলি চালু করা সম্ভব হবে। ফেডারেল সরকার পূর্বে বলেছিল যে, সাংস্কৃতিক স্থান, ক্যাফে এবং রেস্তোঁরা কেবল ইস্টারকে ঘিরে “খুব শীঘ্রই” খোলা হবে।

সরকার প্রধান চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ দুই সপ্তাহ পূর্বে বলেছিলেন,স্কুল এবং হেয়ারড্রেসারদের অনুরূপ একটি পরীক্ষামূলক কৌশলসহ রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়া যেতে পারে। সরকার প্রধানের বক্তব্যের সময় করোনার দৈনিক সংক্রমণ ছিল হাজারের ঘরে কিন্ত এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,০০০ হাজারের উপরে।

গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়ান করোনা কমিশনও বলেছে,অস্ট্রিয়া বর্তমানে “খুব উচ্চ ঝুঁকিতে” রয়েছে। কমিশন করোনার বিধিনিষেধ শিথিলতার ব্যাপারে সরকারকে বাধা দেয়ার কথা বলে নি। তবে সতর্ক করেছেন যে, যদি ১,০০,০০০ জনপদে সংক্রমণ ২০০ জনের বেশী হয় তাহলে পুনরায় লকডাউনে ফিরে যেতে হতে পারে। করোনা কমিশন স্কুল অব্যাহত খোলা রাখার ব্যাপারে মত প্রকাশ করেছেন।

কমিশন বলেন,স্কুল তখনই পুন:রায় বন্ধ ঘোষণা করা যেতে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। অস্ট্রিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ORF জানিয়েছে যে, ভিয়েনা এবং উচ্চ অস্ট্রিয়ায় (OÖ) আগামী সপ্তাহে শিক্ষক এবং কিন্ডারগার্টেন কর্মীদের করোনার টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করা হবে। বর্তমানে, হাসপাতালের পরিসংখ্যানগুলি খুব উদ্বেগজনক বলে মনে হচ্ছে না,কেননা বর্তমানে দেশের আইসিইউ বেড মাত্র প্রায় ১৩% শতাংশ পূর্ণ আছে। কমিশন সরকারকে করোনার পরীক্ষা আরও ১০% থেকে ১৫% বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে গতকাল অস্ট্রিয়ায় নতুন করে  করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ২,১২৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ জন। রাজধানী ভিয়েনায় নতুন করে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৫০০ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ৫৪৯ জন,Steirmark রাজ্যে ৪০৮ জন, OÖ রাজ্যে ২৩০ জন,Salzburg রাজ্যে ১৩৮ জন, Kärnten রাজ্যে ১০২ জন,Tirol রাজ্যে ৯৮ জন, Burgenland রাজ্যে ৫৪ জন এবং Vorarlberg রাজ্যে ৪৪ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৫৯,৪৪০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৮,৫৬১ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৪,৩০,৪১৫ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০,৪৬৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২৭৯ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১,২৯১ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ /ইবি টাইমস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

অস্ট্রিয়ায় আজ করোনার লকডাউনের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত

আপডেটের সময় ০৬:১৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ার সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী আজ সোমবার অস্ট্রিয়ান সরকারের নীতিনির্ধারকরা পুনরায় সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ,বিরোধীদল ও সামাজিক অংশীদারদের সাথে বৈঠকে বসছেন দেশের চলমান লকডাউনের ভবিষ্যত নিয়ে।

অস্ট্রিয়ার জাতীয় সংবাদ পত্রের খবর অনুযায়ী সরকার দুই সপ্তাহ পূর্বে মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, মার্চের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল,ফিটনেস সেন্টার সহ ইন্ডোর স্পোর্টস এর বিভিন্ন ইভেন্ট খুলে দিবেন। তবে গত কয়েকদিনের দৈনিক সংক্রমণ পুনরায় ২,০০০ হাজারের উপরে উঠে যাওয়ায় এখন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। একটি স্থানীয় সংবাদ পত্র জানিয়েছেন যে,এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।

অবশ্য অস্ট্রিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক হ্যারাল্ড মাহের বলেছেন, সরকারের উচিৎ তথ্য ও তথ্য-উপাত্তের দিকে নজর দেওয়া। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এটি দেখিয়ে দেবে যে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে পরীক্ষার, দূরত্ব এবং মুখোশের প্রয়োজনীয়তা এবং ভ্যাকসিন ব্যবহার করে ক্যাটারিং এবং হোটেল শিল্পগুলি চালু করা সম্ভব হবে। ফেডারেল সরকার পূর্বে বলেছিল যে, সাংস্কৃতিক স্থান, ক্যাফে এবং রেস্তোঁরা কেবল ইস্টারকে ঘিরে “খুব শীঘ্রই” খোলা হবে।

সরকার প্রধান চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ দুই সপ্তাহ পূর্বে বলেছিলেন,স্কুল এবং হেয়ারড্রেসারদের অনুরূপ একটি পরীক্ষামূলক কৌশলসহ রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়া যেতে পারে। সরকার প্রধানের বক্তব্যের সময় করোনার দৈনিক সংক্রমণ ছিল হাজারের ঘরে কিন্ত এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,০০০ হাজারের উপরে।

গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়ান করোনা কমিশনও বলেছে,অস্ট্রিয়া বর্তমানে “খুব উচ্চ ঝুঁকিতে” রয়েছে। কমিশন করোনার বিধিনিষেধ শিথিলতার ব্যাপারে সরকারকে বাধা দেয়ার কথা বলে নি। তবে সতর্ক করেছেন যে, যদি ১,০০,০০০ জনপদে সংক্রমণ ২০০ জনের বেশী হয় তাহলে পুনরায় লকডাউনে ফিরে যেতে হতে পারে। করোনা কমিশন স্কুল অব্যাহত খোলা রাখার ব্যাপারে মত প্রকাশ করেছেন।

কমিশন বলেন,স্কুল তখনই পুন:রায় বন্ধ ঘোষণা করা যেতে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। অস্ট্রিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ORF জানিয়েছে যে, ভিয়েনা এবং উচ্চ অস্ট্রিয়ায় (OÖ) আগামী সপ্তাহে শিক্ষক এবং কিন্ডারগার্টেন কর্মীদের করোনার টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করা হবে। বর্তমানে, হাসপাতালের পরিসংখ্যানগুলি খুব উদ্বেগজনক বলে মনে হচ্ছে না,কেননা বর্তমানে দেশের আইসিইউ বেড মাত্র প্রায় ১৩% শতাংশ পূর্ণ আছে। কমিশন সরকারকে করোনার পরীক্ষা আরও ১০% থেকে ১৫% বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে গতকাল অস্ট্রিয়ায় নতুন করে  করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ২,১২৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ জন। রাজধানী ভিয়েনায় নতুন করে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৫০০ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ৫৪৯ জন,Steirmark রাজ্যে ৪০৮ জন, OÖ রাজ্যে ২৩০ জন,Salzburg রাজ্যে ১৩৮ জন, Kärnten রাজ্যে ১০২ জন,Tirol রাজ্যে ৯৮ জন, Burgenland রাজ্যে ৫৪ জন এবং Vorarlberg রাজ্যে ৪৪ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৫৯,৪৪০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৮,৫৬১ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৪,৩০,৪১৫ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০,৪৬৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২৭৯ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১,২৯১ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ /ইবি টাইমস