ভিয়েনা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট দেশে অবতরণ করেছে লালমোহন পৌরসভার সাবেক মেয়র তুহিন গ্রেফতার হাদীর খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে টাঙ্গাইলে জামায়াতে বিক্ষোভ মিছিল ভোলা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হাফিজের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ সড়ক নির্মাণে অনিয়ম! বন্ধ থাকা কাজ শুরু করলেও জানেনা অফিস কর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন : ডা. জাহিদ ভোলা-৩ আসনে বিডিপি প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ নয়ানীগ্রাম যুব তাফসীর কমিটির উদ্যোগে দুই দিনের ইসলামী মহা সম্মেলন টাঙ্গাইলে ২৪ ঘণ্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগের ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

পটুয়াখালীতে শসা আবাদে বাজিমাত

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৩০ সময় দেখুন

গত বছর আবাদ হয়েছিল ৮ হেক্টর জমিতে, এবার হয়েছে ১৩৬ হেক্টরে

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ সাম্প্রতিক বছর গুলোতে পটুয়াখালী জেলায় বাড়ছে জনপ্রিয় সবজী শসা’র আবাদ। এর ফলে এখানকার কৃষকরা এখান মাঠে সারা বছরই শসা আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়ায় অনেক কৃষক শসা আবাদে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ফলে এই এলাকার কৃষকদের আর্থ সামাজিক অবস্থার যেমন উন্নতি হচ্ছে পাশপাশি জেলার বাহিরেও এখন পটুয়াখালীর উৎপাদিত শসা সরবরাহ করা হচ্ছে।

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী আ লিক সড়কের পাশে ১১ একর জমি ইজারা নিয়ে শসার আবাদ করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা সীরাজ মীর। বাড়ি ভোলা জেলার নীলকমল ইউনিয়নের হলেও এবার তিনি এই এলাকায় শসা আবাদ করে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সারা ফেলেছেন। নিয়মিত পরিচর্জা ও আধুনিক পদ্বতিতে চাষাবাদের কারনে এবার ফলনও হয়েছে বেশ ভালো।

কৃষি উদ্যোক্তা সীরাজ মীর বলেন, ‘আমাদের এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ ভালো না। তাই এই এলাকায় শসা আবাদ করছি। এখানে বিকেলে শসা তুলে তা রাতের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠানো যায়, বিশেষ করে ঢাকার বাজার ধরতেই বেশি চেষ্টা করি। আর এখানে নারী পুরুষ সহ অনেকে কৃষি শ্রমিক পাওয়া যায়। যে কারেন এখানে কৃষি কাজের পরিবেশ ভালো।’

এবার এই এলাকায় ১১ একর জমিতে শসা আবাদে প্রায় ২৩ থেকে ২৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। যদি প্রতিকেজী শসা ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি করা যায় তবে অর্ধকোটি টাকার শসা বিক্রি করা সম্ভব হবে। আর যদি শসার কেজি ১২ থেকে ১৩ টাকায় নেমে আসে তবে চালান টাকা আসবে, আর ১০ টাকার নিচে দাম আসলে লস হবে বলেও জানান এই কৃষি উদ্যোক্তা।

শুধু সীরাজ মীর নয়, এই এলাকার অনেকেই তার দেখা দেখি শসা আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন। অনেকেই আধুনিক কৃষিতে নিজেদের নিয়োজিত করছেন। এ ছাড়া বানিজ্যিক ভাবে শসা আবাদের কারনে কৃষি ক্ষেত্রে অনেকের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

পটুয়াখালী সহ দক্ষিণ অ লের কৃষকরা গিরস্থ বাড়িতে শসা আবাদ করলে সেটা মাচা পদ্বতিতে আবাদ করে থাকেন, তবে সীরাজ মীর সরাসরি জমিতেই শসার লতা বিছিয়ে দিচ্ছেন এবং সেখান থেকেই শসা সংগ্রহ করছেন। এ কারনে কৃষকদের কাছে এই পদ্বতিটি বেশ জনপ্রিয় এবং লাভজনক।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, জেলায় শীতকালীন তরমুজের পাশাপাশি কৃষক হাইব্রিড জাতের ডেইজি, ময়নামতি, সুপ্রিম প্লাস ও সুমাইয়া জাতের শসার চাষ করছেন। গেল বছর জেলায় আট হেক্টর জমিতে শসার চাষ হলেও, চলতি বছর ১৬৩ হেক্টর জমিতে শসা আবাদ করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় তা এখন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।

পটুয়াখালীর বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজী শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজীতে বিক্রি হলেও কৃষকরা মাঠ পর্যায়ে এখন ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজীতে প্রতি কেজী শসা বিক্রি করছেন। আর আগামী রমজান মাসকে উদ্দেশ্য করে অনেকেই নতুন করে শসার আবাদ করছেন।

আব্দুস সালাম আরিফ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

পটুয়াখালীতে শসা আবাদে বাজিমাত

আপডেটের সময় ০৪:১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

গত বছর আবাদ হয়েছিল ৮ হেক্টর জমিতে, এবার হয়েছে ১৩৬ হেক্টরে

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ সাম্প্রতিক বছর গুলোতে পটুয়াখালী জেলায় বাড়ছে জনপ্রিয় সবজী শসা’র আবাদ। এর ফলে এখানকার কৃষকরা এখান মাঠে সারা বছরই শসা আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়ায় অনেক কৃষক শসা আবাদে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ফলে এই এলাকার কৃষকদের আর্থ সামাজিক অবস্থার যেমন উন্নতি হচ্ছে পাশপাশি জেলার বাহিরেও এখন পটুয়াখালীর উৎপাদিত শসা সরবরাহ করা হচ্ছে।

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী আ লিক সড়কের পাশে ১১ একর জমি ইজারা নিয়ে শসার আবাদ করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা সীরাজ মীর। বাড়ি ভোলা জেলার নীলকমল ইউনিয়নের হলেও এবার তিনি এই এলাকায় শসা আবাদ করে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সারা ফেলেছেন। নিয়মিত পরিচর্জা ও আধুনিক পদ্বতিতে চাষাবাদের কারনে এবার ফলনও হয়েছে বেশ ভালো।

কৃষি উদ্যোক্তা সীরাজ মীর বলেন, ‘আমাদের এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ ভালো না। তাই এই এলাকায় শসা আবাদ করছি। এখানে বিকেলে শসা তুলে তা রাতের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠানো যায়, বিশেষ করে ঢাকার বাজার ধরতেই বেশি চেষ্টা করি। আর এখানে নারী পুরুষ সহ অনেকে কৃষি শ্রমিক পাওয়া যায়। যে কারেন এখানে কৃষি কাজের পরিবেশ ভালো।’

এবার এই এলাকায় ১১ একর জমিতে শসা আবাদে প্রায় ২৩ থেকে ২৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। যদি প্রতিকেজী শসা ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি করা যায় তবে অর্ধকোটি টাকার শসা বিক্রি করা সম্ভব হবে। আর যদি শসার কেজি ১২ থেকে ১৩ টাকায় নেমে আসে তবে চালান টাকা আসবে, আর ১০ টাকার নিচে দাম আসলে লস হবে বলেও জানান এই কৃষি উদ্যোক্তা।

শুধু সীরাজ মীর নয়, এই এলাকার অনেকেই তার দেখা দেখি শসা আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন। অনেকেই আধুনিক কৃষিতে নিজেদের নিয়োজিত করছেন। এ ছাড়া বানিজ্যিক ভাবে শসা আবাদের কারনে কৃষি ক্ষেত্রে অনেকের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

পটুয়াখালী সহ দক্ষিণ অ লের কৃষকরা গিরস্থ বাড়িতে শসা আবাদ করলে সেটা মাচা পদ্বতিতে আবাদ করে থাকেন, তবে সীরাজ মীর সরাসরি জমিতেই শসার লতা বিছিয়ে দিচ্ছেন এবং সেখান থেকেই শসা সংগ্রহ করছেন। এ কারনে কৃষকদের কাছে এই পদ্বতিটি বেশ জনপ্রিয় এবং লাভজনক।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, জেলায় শীতকালীন তরমুজের পাশাপাশি কৃষক হাইব্রিড জাতের ডেইজি, ময়নামতি, সুপ্রিম প্লাস ও সুমাইয়া জাতের শসার চাষ করছেন। গেল বছর জেলায় আট হেক্টর জমিতে শসার চাষ হলেও, চলতি বছর ১৬৩ হেক্টর জমিতে শসা আবাদ করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় তা এখন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।

পটুয়াখালীর বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজী শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজীতে বিক্রি হলেও কৃষকরা মাঠ পর্যায়ে এখন ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজীতে প্রতি কেজী শসা বিক্রি করছেন। আর আগামী রমজান মাসকে উদ্দেশ্য করে অনেকেই নতুন করে শসার আবাদ করছেন।

আব্দুস সালাম আরিফ/ইবিটাইমস