ভিয়েনা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট দেশে অবতরণ করেছে লালমোহন পৌরসভার সাবেক মেয়র তুহিন গ্রেফতার হাদীর খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে টাঙ্গাইলে জামায়াতে বিক্ষোভ মিছিল ভোলা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হাফিজের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ সড়ক নির্মাণে অনিয়ম! বন্ধ থাকা কাজ শুরু করলেও জানেনা অফিস কর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন : ডা. জাহিদ ভোলা-৩ আসনে বিডিপি প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ নয়ানীগ্রাম যুব তাফসীর কমিটির উদ্যোগে দুই দিনের ইসলামী মহা সম্মেলন টাঙ্গাইলে ২৪ ঘণ্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগের ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

বাপ দাদাদের মত পিঁড়িতে বসিয়ে চুল দাড়ি কেটে চলছে জীবিকা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৩১ সময় দেখুন

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: নাপিত বা নরসুন্দর। নাপিত নামটি ছোট বড় সকল মানুষের কাছে পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের ধনী ও মধ্যবৃত্তদের বাড়ীতে গিয়ে নাপিতেরা বাৎসরিক ধানের চুক্তিতে চুল ও দাড়ি কাটার কাজ করতো। আধুনিকতার ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে নাপিতেরা এখন আর মানুষের বাড়ীতে গিয়ে চুল দাড়ি কাটেন না।

তাছাড়া এক সময় গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারগুলোতে খোলামেলা পরিবেশে পিঁড়িতে বসে চুল-দাড়ি কাটানো ও শেভ করা হতো। তাদের থাকতো একটি ছোট বাক্স যার মধ্যে থাকত কাচি, চিরুনি, রেজার, আয়নাসহ চুল দাড়ি কাটার যন্ত্রপাতি। এছাড়া সাথে থাকত এক জোড়া পিঁড়ি।

বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই দৃশ্য আর তেমন চোখে পড়ে না। যা এখন বিলীনের পথে। তবে পূর্বপুরুষ বাপ দাদাদের মত পিঁড়িতে বসিয়ে চুল দাড়ি কাটা গ্রামীণ সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন চিত্তরঞ্জন শীল ও নারায়ন শীল। নিয়ম করে গত প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোলার লালমোহনের গজারিয়া বাজারের পশুর হাটের কাছে ফুটপাতে পিঁড়িতে বসিয়ে তারা স্থানীয়দের চুল-দাড়ি কাটেন, করান শেভও। যার আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার। তাদের কাছে আসেন বিভিন্ন বয়সের লোকজন।

এ কাজের জন্য চিত্তরঞ্জন ও নারায়ন শীলের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বলতে রয়েছে; চিরুনি, কাপড়, ছোট আয়না, ক্ষুর ও কাঁচি। তারা পার্শ্ববর্তী চরফ্যাশন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের আলীগাঁও এলাকার বাসিন্দা।

নরসুন্দর চিত্তরঞ্জন শীল জানান, আগে মানুষজন পিঁড়িতে বসে খোলা আকাশের নিচে এভাবেই চুল-দাড়ি কাটাতেন ও শেভ করতেন। তার বাবা এবং বাবার বাবা (দাদা বাবু) ও এই ভাবে কাজ করে গেছেন। সেই ঐতিহ্য ধরে রেখে গত ৫০ বছর ধরে বিভিন্ন হাটে গিয়ে ফুটপাতে পিঁড়িতে বসিয়ে মানুষের চুল কাটান। করান শেভ। এ কাজ করে প্রতি হাটে তাদের গড়ে দেড়শত টাকার মতো আয় হয়। এ টাকা দিয়েই চলে তার ৬ সদস্যের পরিবার।

আরেক নরসুন্দর নারায়ন শীল বলেন, আমাদের কাছে বিভিন্ন বয়সের লোকরাই আসেন। তাদের চুল-দাড়ি কাটলে ও শেভ করালে কেউ ২০ টাকা, আবার কেউ ৪০ টাকা করে দেন। এতে করে প্রতি হাটে দেড়শত টাকার মতো আয় হয়। এই আয়ের টাকা দিয়েই চলে ৭ সদস্যের সংসার।

নরসুন্দর চিত্তরঞ্জন ও নারায়ন শীলের কাছে চুল কাটাতে ও শেভ করতে আসা কয়েকজন জানান, এদের কাছে কম দামে চুল-দাড়ি কাটানো যায়। শেভ করতেও তারা কম টাকা নেয়। এ জন্যই তাদের কাছে আসি। বাজারের সেলুনগুলোতে গেলে এক থেকে দেড়শত টাকা করে দিতে হয় চুল-দাড়ি কাটতে ও শেভ করতে। এক সময় খোলা পরিবেশে বসেই চুল-দাড়ি কাটাতে হতো। এখন আর এসব সচরাচর দেখা যায় না।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

বাপ দাদাদের মত পিঁড়িতে বসিয়ে চুল দাড়ি কেটে চলছে জীবিকা

আপডেটের সময় ০৮:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: নাপিত বা নরসুন্দর। নাপিত নামটি ছোট বড় সকল মানুষের কাছে পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের ধনী ও মধ্যবৃত্তদের বাড়ীতে গিয়ে নাপিতেরা বাৎসরিক ধানের চুক্তিতে চুল ও দাড়ি কাটার কাজ করতো। আধুনিকতার ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে নাপিতেরা এখন আর মানুষের বাড়ীতে গিয়ে চুল দাড়ি কাটেন না।

তাছাড়া এক সময় গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারগুলোতে খোলামেলা পরিবেশে পিঁড়িতে বসে চুল-দাড়ি কাটানো ও শেভ করা হতো। তাদের থাকতো একটি ছোট বাক্স যার মধ্যে থাকত কাচি, চিরুনি, রেজার, আয়নাসহ চুল দাড়ি কাটার যন্ত্রপাতি। এছাড়া সাথে থাকত এক জোড়া পিঁড়ি।

বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই দৃশ্য আর তেমন চোখে পড়ে না। যা এখন বিলীনের পথে। তবে পূর্বপুরুষ বাপ দাদাদের মত পিঁড়িতে বসিয়ে চুল দাড়ি কাটা গ্রামীণ সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন চিত্তরঞ্জন শীল ও নারায়ন শীল। নিয়ম করে গত প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোলার লালমোহনের গজারিয়া বাজারের পশুর হাটের কাছে ফুটপাতে পিঁড়িতে বসিয়ে তারা স্থানীয়দের চুল-দাড়ি কাটেন, করান শেভও। যার আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার। তাদের কাছে আসেন বিভিন্ন বয়সের লোকজন।

এ কাজের জন্য চিত্তরঞ্জন ও নারায়ন শীলের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বলতে রয়েছে; চিরুনি, কাপড়, ছোট আয়না, ক্ষুর ও কাঁচি। তারা পার্শ্ববর্তী চরফ্যাশন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের আলীগাঁও এলাকার বাসিন্দা।

নরসুন্দর চিত্তরঞ্জন শীল জানান, আগে মানুষজন পিঁড়িতে বসে খোলা আকাশের নিচে এভাবেই চুল-দাড়ি কাটাতেন ও শেভ করতেন। তার বাবা এবং বাবার বাবা (দাদা বাবু) ও এই ভাবে কাজ করে গেছেন। সেই ঐতিহ্য ধরে রেখে গত ৫০ বছর ধরে বিভিন্ন হাটে গিয়ে ফুটপাতে পিঁড়িতে বসিয়ে মানুষের চুল কাটান। করান শেভ। এ কাজ করে প্রতি হাটে তাদের গড়ে দেড়শত টাকার মতো আয় হয়। এ টাকা দিয়েই চলে তার ৬ সদস্যের পরিবার।

আরেক নরসুন্দর নারায়ন শীল বলেন, আমাদের কাছে বিভিন্ন বয়সের লোকরাই আসেন। তাদের চুল-দাড়ি কাটলে ও শেভ করালে কেউ ২০ টাকা, আবার কেউ ৪০ টাকা করে দেন। এতে করে প্রতি হাটে দেড়শত টাকার মতো আয় হয়। এই আয়ের টাকা দিয়েই চলে ৭ সদস্যের সংসার।

নরসুন্দর চিত্তরঞ্জন ও নারায়ন শীলের কাছে চুল কাটাতে ও শেভ করতে আসা কয়েকজন জানান, এদের কাছে কম দামে চুল-দাড়ি কাটানো যায়। শেভ করতেও তারা কম টাকা নেয়। এ জন্যই তাদের কাছে আসি। বাজারের সেলুনগুলোতে গেলে এক থেকে দেড়শত টাকা করে দিতে হয় চুল-দাড়ি কাটতে ও শেভ করতে। এক সময় খোলা পরিবেশে বসেই চুল-দাড়ি কাটাতে হতো। এখন আর এসব সচরাচর দেখা যায় না।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস