ভিয়েনা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক কিশোরীকে একই‌দি‌নে দুই স্থা‌নে গণধর্ষণ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:০৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
  • ১৬ সময় দেখুন

এক কি‌শোরী দুই জেলায় গণ ধর্ষণের শিকার, এঘটনায় চারজন‌কে গ্রেপ্তার 

ইবিটাইমস ডেস্কঃ শনিবার (৬মে) ভোররাতে মধুপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে সজিব মিয়া ও হাফিজুর রহমান কিশোরীকে ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করেছে।
এরআ‌গে টাঙ্গাইল মধুপুর বনাঞ্চলের চাঁনপুর রাবার বাগানের কালারপাহাড় এবং জামালপুরের রশিদপুর ইউনিয়নের সর্দারবাড়ি এলাকায় একই দিনে পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন একই কিশোরী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাঘাডোবা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব মিয়া (২৮), একই ইউনিয়নের কালিয়াকুড়ি (কামারতাফাল) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৮), জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের ক্ষেত্রীপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মো. মামুন (২৬) ও একই ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩০)।
জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সি কিশোরী মাইসা (ছদ্মনাম) শেরপুর শহরে চাকুরির সুবাদে বসবাস করছেন।
জানা গে‌ছে, মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাঘাডোবা গ্রামের নাজমুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ওই কি‌শোরীর। গত শুক্রবার (৫ মে) নাজমুলের সাথে আলোচনা করে কিশোরীটি মধুপুরের ফুলবাগচালার বাঘাডোবা গ্রামে আসার কথা। নাজমুলের চাচাত ভাই  সজিব মিয়া (২৮) কিশোরীটিকে জামালপুরের রশিদপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা নামক স্থান থেকে নাজমুলের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ভিন্ন পথে মধুপুরের চাঁনপুর রাবার বাগানের কালাপাহাড় নামক স্থানে নিয়ে যায়।
শুক্রবার (৫মে) বিকেল পাঁচটার দিকে সজিবের সহযোগি মধুপুরের কালিয়াকুড়ি (কামারতাফাল) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমানকে সাথে নিয়ে কিশোরীকে পালাক্রমে তারা ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর সজিব ও হাফিজুর কিশোরীটিকে চানপুর রাবার বাগানের কালার পাহাড় থেকে একটি অটোরিক্সাযোগে জামালপুর জেলার রশিদপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা নামক স্থানে ছেড়ে দিয়ে আসে।
কিশোরীটি রাত সাড়ে আটটার দিকে অসুস্থ্য অবস্থায় রশীদপুর চৌরাস্তা থেকে জামালপুরের দিকপাইত যাওয়ার জন্য অটোস্ট্যান্ডের লাইনম্যান মামুন মিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। অটোস্ট্যান্ডের লাইনম্যান (মাস্টার) জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের ক্ষেত্রীপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মামুন সহযোগিতার কথা বলে কিশোরীকে রশীদপুর সর্দারপাড়ার খালপাড় এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একই ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম মিলে কিশোরীকে জোরপূর্বক খালপাড়ে ধানক্ষেতের বড়আইলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর মামুন ও হাফিজুল কিশোরীটিকে পুনরায় রশীদপুর চৌরাস্তা এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়।
এদিকে নাজমুল ইসলাম তার প্রেমিকা মাইসাকে (ছদ্মনাম) না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে শুরু করেন। নাজমুল রাত ১১টার দিকে জামালপুরের রশিদপুর চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে প্রেমিকার সন্ধান পান। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় গভীর রাতে মধুপুর থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে একাধিক দল ভিকটিমকে উদ্ধার এবং ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। প‌রে বি‌ভিন্ন জায়গা থে‌কে চারজন‌কে গ্রেপ্তার ক‌রে।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বলেন, পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইলের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে সজিব মিয়া ও হাফিজুর রহমান ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এদিকে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন/ইবিটাইমস 
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক কিশোরীকে একই‌দি‌নে দুই স্থা‌নে গণধর্ষণ

আপডেটের সময় ০৫:০৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

এক কি‌শোরী দুই জেলায় গণ ধর্ষণের শিকার, এঘটনায় চারজন‌কে গ্রেপ্তার 

ইবিটাইমস ডেস্কঃ শনিবার (৬মে) ভোররাতে মধুপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে সজিব মিয়া ও হাফিজুর রহমান কিশোরীকে ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করেছে।
এরআ‌গে টাঙ্গাইল মধুপুর বনাঞ্চলের চাঁনপুর রাবার বাগানের কালারপাহাড় এবং জামালপুরের রশিদপুর ইউনিয়নের সর্দারবাড়ি এলাকায় একই দিনে পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন একই কিশোরী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাঘাডোবা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব মিয়া (২৮), একই ইউনিয়নের কালিয়াকুড়ি (কামারতাফাল) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৮), জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের ক্ষেত্রীপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মো. মামুন (২৬) ও একই ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩০)।
জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সি কিশোরী মাইসা (ছদ্মনাম) শেরপুর শহরে চাকুরির সুবাদে বসবাস করছেন।
জানা গে‌ছে, মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাঘাডোবা গ্রামের নাজমুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ওই কি‌শোরীর। গত শুক্রবার (৫ মে) নাজমুলের সাথে আলোচনা করে কিশোরীটি মধুপুরের ফুলবাগচালার বাঘাডোবা গ্রামে আসার কথা। নাজমুলের চাচাত ভাই  সজিব মিয়া (২৮) কিশোরীটিকে জামালপুরের রশিদপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা নামক স্থান থেকে নাজমুলের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ভিন্ন পথে মধুপুরের চাঁনপুর রাবার বাগানের কালাপাহাড় নামক স্থানে নিয়ে যায়।
শুক্রবার (৫মে) বিকেল পাঁচটার দিকে সজিবের সহযোগি মধুপুরের কালিয়াকুড়ি (কামারতাফাল) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমানকে সাথে নিয়ে কিশোরীকে পালাক্রমে তারা ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর সজিব ও হাফিজুর কিশোরীটিকে চানপুর রাবার বাগানের কালার পাহাড় থেকে একটি অটোরিক্সাযোগে জামালপুর জেলার রশিদপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা নামক স্থানে ছেড়ে দিয়ে আসে।
কিশোরীটি রাত সাড়ে আটটার দিকে অসুস্থ্য অবস্থায় রশীদপুর চৌরাস্তা থেকে জামালপুরের দিকপাইত যাওয়ার জন্য অটোস্ট্যান্ডের লাইনম্যান মামুন মিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। অটোস্ট্যান্ডের লাইনম্যান (মাস্টার) জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের ক্ষেত্রীপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মামুন সহযোগিতার কথা বলে কিশোরীকে রশীদপুর সর্দারপাড়ার খালপাড় এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একই ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম মিলে কিশোরীকে জোরপূর্বক খালপাড়ে ধানক্ষেতের বড়আইলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর মামুন ও হাফিজুল কিশোরীটিকে পুনরায় রশীদপুর চৌরাস্তা এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়।
এদিকে নাজমুল ইসলাম তার প্রেমিকা মাইসাকে (ছদ্মনাম) না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে শুরু করেন। নাজমুল রাত ১১টার দিকে জামালপুরের রশিদপুর চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে প্রেমিকার সন্ধান পান। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় গভীর রাতে মধুপুর থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে একাধিক দল ভিকটিমকে উদ্ধার এবং ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। প‌রে বি‌ভিন্ন জায়গা থে‌কে চারজন‌কে গ্রেপ্তার ক‌রে।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বলেন, পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইলের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে সজিব মিয়া ও হাফিজুর রহমান ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এদিকে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন/ইবিটাইমস