ভিয়েনা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমোহনে এবছর আমের মুকুল অনেক বেশি-বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৭ সময় দেখুন

জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ফাগুনের আগুন লেগেছে মনে হয় প্র্রকৃতিতে। সবুজের সমাহারের মধ্যে দেখা দিয়েছে সোনালী রঙের আমের মুকুল। এই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে। বাতাসে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করেছে। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রান।

এই দৃশ্য দেখা গেছে ভোলার লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আমের বাগান ও বাসা বাড়ীতে রোপন করা আম গাছগুলোতে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছেও দেখা দিয়েছে সোনালী মুকুল। প্রকৃতির নতুন সাজে যেন সেজেছে গ্রামগুলো।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বানিজ্যিক ভাবে আমের চাষ করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে।  তবে গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাড়ীতে অনান্য গাছের সাথে আম গাছও রয়েছে আগোছালো ভাবে। সেই সকল গাছগুলোতে অনান্য বছরের তুলনায় এবছর অনেক বেশি মুকুল দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলসিকদার এলাকার মোশারফ মিয়া বলেন, আমার বাড়ীতে অনান্য গাছের সাথে ২০টির মতো আম গাছ রয়েছে। এবছর আবহাওয়া ভালো থাকার কারনে অনেক মুকুল এসেছে। অনেক আগে যে গাছে সমস্ত গাছে মুকুল এসেছে সেগুলোতে এখন গুটিগুটি আমও দেখা যাচ্ছে। সব ঠিক থাকলে বেশি ফলন আসবে আশা করছি।

লালমোহন বদরপুর ইউনিয়নের নূরুন্নবী চৌধুরী মহাবিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দাড়িয়ে থাকা আম গাছগুলোতে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের মুকুল। দেখতে মনে হয় হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আম গাছের ডালগুলো। চারিদিকে ছরাচ্ছে মুকুলের সুবাশিত পাগল করা ঘ্রান। মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ জানান, কলেজের সৌন্দয্য বৃদ্ধি ও ফলের জন্য অনান্য গাছের সাথে আম গাছও রোপন করা হয়েছে। প্রতি বছরই আম গাছগুলোতে আম ধরছে। তবে প্রতি বছরের তুলনায় এবছর আম গাছে অনেক মুকুল দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এবছর ফলন অগের তুলনায় অনেক বেশি হবে।

লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু হাসাইন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ও পরামর্শে আমের বাগান করা হয়েছে। কিছু কিছু গাছ আছে বারো মাসেই আম আসে। বর্তমানে একই গাছে এক ডালে মুকুল অন্য ডালে আম এই রকম গাছও রয়েছে। অনান্য বছরের তুলনায় এবছর আমের মুকুল অনেক বেশি। তবে আম বড় হলে ফলন কমে যাবে। অনেক ঝড়ে যাবে। ঝড়ার পরও সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে লালমোহনে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

ভোলা/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে এবছর আমের মুকুল অনেক বেশি-বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আপডেটের সময় ০১:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ফাগুনের আগুন লেগেছে মনে হয় প্র্রকৃতিতে। সবুজের সমাহারের মধ্যে দেখা দিয়েছে সোনালী রঙের আমের মুকুল। এই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে। বাতাসে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করেছে। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রান।

এই দৃশ্য দেখা গেছে ভোলার লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আমের বাগান ও বাসা বাড়ীতে রোপন করা আম গাছগুলোতে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছেও দেখা দিয়েছে সোনালী মুকুল। প্রকৃতির নতুন সাজে যেন সেজেছে গ্রামগুলো।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বানিজ্যিক ভাবে আমের চাষ করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে।  তবে গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাড়ীতে অনান্য গাছের সাথে আম গাছও রয়েছে আগোছালো ভাবে। সেই সকল গাছগুলোতে অনান্য বছরের তুলনায় এবছর অনেক বেশি মুকুল দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলসিকদার এলাকার মোশারফ মিয়া বলেন, আমার বাড়ীতে অনান্য গাছের সাথে ২০টির মতো আম গাছ রয়েছে। এবছর আবহাওয়া ভালো থাকার কারনে অনেক মুকুল এসেছে। অনেক আগে যে গাছে সমস্ত গাছে মুকুল এসেছে সেগুলোতে এখন গুটিগুটি আমও দেখা যাচ্ছে। সব ঠিক থাকলে বেশি ফলন আসবে আশা করছি।

লালমোহন বদরপুর ইউনিয়নের নূরুন্নবী চৌধুরী মহাবিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দাড়িয়ে থাকা আম গাছগুলোতে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের মুকুল। দেখতে মনে হয় হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আম গাছের ডালগুলো। চারিদিকে ছরাচ্ছে মুকুলের সুবাশিত পাগল করা ঘ্রান। মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ জানান, কলেজের সৌন্দয্য বৃদ্ধি ও ফলের জন্য অনান্য গাছের সাথে আম গাছও রোপন করা হয়েছে। প্রতি বছরই আম গাছগুলোতে আম ধরছে। তবে প্রতি বছরের তুলনায় এবছর আম গাছে অনেক মুকুল দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এবছর ফলন অগের তুলনায় অনেক বেশি হবে।

লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু হাসাইন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ও পরামর্শে আমের বাগান করা হয়েছে। কিছু কিছু গাছ আছে বারো মাসেই আম আসে। বর্তমানে একই গাছে এক ডালে মুকুল অন্য ডালে আম এই রকম গাছও রয়েছে। অনান্য বছরের তুলনায় এবছর আমের মুকুল অনেক বেশি। তবে আম বড় হলে ফলন কমে যাবে। অনেক ঝড়ে যাবে। ঝড়ার পরও সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে লালমোহনে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

ভোলা/ইবিটাইমস