ভিয়েনা ০৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণকে হয়রানি না করে কর দিতে উৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:০২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ২১ সময় দেখুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে গত ১৪ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আমূল উন্নতি হয়েছে

ইবিটাইমস ডেস্কঃ রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাজস্ব সম্মেলন উদ্বোধনকালে এ আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি, জনগণকে হয়রানি না করে কর প্রদানে উৎসাহিত করতে কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে, জনগণকে কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে, তৃণমূলে প্রচারণা চালানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এর প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের জানিয়েছে,দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার উন্নয়নে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুই দিনব্যাপী প্রথম এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, “আপনি যদি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ভালোভাবে প্রচারণা চালান, তাহলে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর দিতে এগিয়ে আসবে। তারা (করদাতারা) এখন সেবা পাচ্ছেন। সুতরাং, পরিষেবাগুলো পেতে কর দিতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “গত ১৪ বছরে তৃণমূল সহ দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও এমন লোক আছে, যাদের কর দেওয়ার ক্ষমতা আছে।” এই প্রেক্ষাপটে, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সকল সক্ষম ব্যক্তিকে কর দেওয়ার জন্য আহবান জানান। তিনি বলেন, “কারণ সরকার পরিষেবা উন্নত করতে করের অর্থ ব্যয় করবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিদ্যমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে করের হার না বাড়িয়ে সরকার করের পরিধি বাড়াতে চায়।” তিনি বলেন, “আমাদের করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে। দেশে আয়কর দাতার সংখ্যা এখনও খুবই কম। প্রকৃতপক্ষে, এর কারণ হল মানুষ অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হয় এবং এখানে সচেতনতার অভাব রয়েছে।”

“কোনো জবরদস্তি করা উচিত নয়। জনগণকে যেন কোনো ভীতিকর পরিস্থিতিতে ফেলা না হয়। জনগণকে কর প্রদানে অনুপ্রাণিত করতে হবে;” বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর ফাঁকি বন্ধ করে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্যও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে আপনাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে।” তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিকভাবে কাজ করে, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, “করের পরিধি প্রসারিত করতে হবে এবং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, যাতে বৃহত্তর সংখ্যক মানুষ কর প্রদান করে।”

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

জনগণকে হয়রানি না করে কর দিতে উৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

আপডেটের সময় ০৭:০২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে গত ১৪ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আমূল উন্নতি হয়েছে

ইবিটাইমস ডেস্কঃ রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাজস্ব সম্মেলন উদ্বোধনকালে এ আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি, জনগণকে হয়রানি না করে কর প্রদানে উৎসাহিত করতে কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে, জনগণকে কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে, তৃণমূলে প্রচারণা চালানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এর প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের জানিয়েছে,দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার উন্নয়নে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুই দিনব্যাপী প্রথম এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, “আপনি যদি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ভালোভাবে প্রচারণা চালান, তাহলে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর দিতে এগিয়ে আসবে। তারা (করদাতারা) এখন সেবা পাচ্ছেন। সুতরাং, পরিষেবাগুলো পেতে কর দিতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “গত ১৪ বছরে তৃণমূল সহ দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও এমন লোক আছে, যাদের কর দেওয়ার ক্ষমতা আছে।” এই প্রেক্ষাপটে, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সকল সক্ষম ব্যক্তিকে কর দেওয়ার জন্য আহবান জানান। তিনি বলেন, “কারণ সরকার পরিষেবা উন্নত করতে করের অর্থ ব্যয় করবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিদ্যমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে করের হার না বাড়িয়ে সরকার করের পরিধি বাড়াতে চায়।” তিনি বলেন, “আমাদের করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে। দেশে আয়কর দাতার সংখ্যা এখনও খুবই কম। প্রকৃতপক্ষে, এর কারণ হল মানুষ অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হয় এবং এখানে সচেতনতার অভাব রয়েছে।”

“কোনো জবরদস্তি করা উচিত নয়। জনগণকে যেন কোনো ভীতিকর পরিস্থিতিতে ফেলা না হয়। জনগণকে কর প্রদানে অনুপ্রাণিত করতে হবে;” বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর ফাঁকি বন্ধ করে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্যও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে আপনাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে।” তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিকভাবে কাজ করে, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, “করের পরিধি প্রসারিত করতে হবে এবং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, যাতে বৃহত্তর সংখ্যক মানুষ কর প্রদান করে।”

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস