ভিয়েনা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাজিরপুরে প্রেমের বাধা দেওয়ায় প্রেমিক-প্রেমিকার একসাথে আত্মহত্যা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২
  • ১৭ সময় দেখুন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট;পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে প্রেমের বাধা দেওয়ায় প্রেমিক-প্রেমিকা একসাথে আত্ম হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের উত্তর কলারদোয়ানিয়া গ্রামের চানদকাঠী এলাকায়। তারা প্রেমিকার বাড়ির সামনের কবর স্থানে বসে বিষপান করে।

নিহত প্রেমিকা মোসা: মরিয়া খানম ওই গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের কন্যা। সে উপজেলার মুগারঝোর দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। আর প্রেমিক ইয়াছিন তালুকদার (১৮) জেলার নেছারবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের উলিবুনিয়া গ্রামের মো. হাফিজ তালুকদারের ছেলে। ইয়াছিন তার পিতার সাথে ধান-চালের ব্যবসা করেন। নিহতরা সম্পর্কে একে অপরের আত্মীয়। নিহত  ইয়াছিনের পিতা জানান, তার পুত্র গত ৩-৪ দিন আগে তার ফুফা
(ভগ্নিপতি) মোজাম্মেল হক হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে আসেন।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফুফাতো ভাই ছাব্বিরের সাথে তার দোকানে ঘুমাতে যায়। কিন্তু গরমের কথা বলে সেখান থেকে বের হয়। রাত ৩টার দিকে  ইয়াছিনের ফুফু (বোন) ছাবিনা ইয়াছমিন ফোন করে জানান, ইয়াছিন ও বাড়ির পাশের এক মেয়ে এক সাথে বিষ পান করেছে।

নিহত মারিয়া খানমের মা শামীমা নাছরিন জানান, তার কন্যা মারিয়া ওই রাতের খাবার খেয়ে ১০টার দিকে তার কক্ষে ঘুমাতে যায়। রাত ২টার দিকে  বাড়ির
সামনের কবর স্থান থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে ডাক চিৎকার পাই। পরে সেখানে গিয়ে কন্যা মারিয়া ও ইয়াছিনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

নিহতদের পরিবার সুত্র জানান, তাদের হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রেমিকা মারিয়াকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন। আর পরে চিকৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার অসিত মিস্ত্রী জানান, মারিয়াকে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আর ওই দিন ভোর
রাতে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে বসে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধীক সূত্র জানান, প্রেমিকা মারিয়ার পিতা বাড়িতে থাকেন না। মা শামীমা নাছরিন মেয়েকে প্রেমের বাধা  হয়ে দাঁড়ান এবং গত বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যার দিকে নিয়ে মেয়েকে গালমন্দ করেন। এর জের ধরে প্রেমিক-প্রেমিকা এক সাথে আত্মহত্যা করে।

নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রেমিক-প্রেমিকা একই সাথে বাড়ির সামনের কবর স্থানে গিয়ে বিষ পান করে
আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার কারন নিয়ে নিহতদের পরিবারের কেহই মুখ খুলছেন না। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

নাজিরপুরে প্রেমের বাধা দেওয়ায় প্রেমিক-প্রেমিকার একসাথে আত্মহত্যা

আপডেটের সময় ০৪:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট;পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে প্রেমের বাধা দেওয়ায় প্রেমিক-প্রেমিকা একসাথে আত্ম হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের উত্তর কলারদোয়ানিয়া গ্রামের চানদকাঠী এলাকায়। তারা প্রেমিকার বাড়ির সামনের কবর স্থানে বসে বিষপান করে।

নিহত প্রেমিকা মোসা: মরিয়া খানম ওই গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের কন্যা। সে উপজেলার মুগারঝোর দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। আর প্রেমিক ইয়াছিন তালুকদার (১৮) জেলার নেছারবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের উলিবুনিয়া গ্রামের মো. হাফিজ তালুকদারের ছেলে। ইয়াছিন তার পিতার সাথে ধান-চালের ব্যবসা করেন। নিহতরা সম্পর্কে একে অপরের আত্মীয়। নিহত  ইয়াছিনের পিতা জানান, তার পুত্র গত ৩-৪ দিন আগে তার ফুফা
(ভগ্নিপতি) মোজাম্মেল হক হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে আসেন।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফুফাতো ভাই ছাব্বিরের সাথে তার দোকানে ঘুমাতে যায়। কিন্তু গরমের কথা বলে সেখান থেকে বের হয়। রাত ৩টার দিকে  ইয়াছিনের ফুফু (বোন) ছাবিনা ইয়াছমিন ফোন করে জানান, ইয়াছিন ও বাড়ির পাশের এক মেয়ে এক সাথে বিষ পান করেছে।

নিহত মারিয়া খানমের মা শামীমা নাছরিন জানান, তার কন্যা মারিয়া ওই রাতের খাবার খেয়ে ১০টার দিকে তার কক্ষে ঘুমাতে যায়। রাত ২টার দিকে  বাড়ির
সামনের কবর স্থান থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে ডাক চিৎকার পাই। পরে সেখানে গিয়ে কন্যা মারিয়া ও ইয়াছিনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

নিহতদের পরিবার সুত্র জানান, তাদের হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রেমিকা মারিয়াকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন। আর পরে চিকৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার অসিত মিস্ত্রী জানান, মারিয়াকে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আর ওই দিন ভোর
রাতে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে বসে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধীক সূত্র জানান, প্রেমিকা মারিয়ার পিতা বাড়িতে থাকেন না। মা শামীমা নাছরিন মেয়েকে প্রেমের বাধা  হয়ে দাঁড়ান এবং গত বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যার দিকে নিয়ে মেয়েকে গালমন্দ করেন। এর জের ধরে প্রেমিক-প্রেমিকা এক সাথে আত্মহত্যা করে।

নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রেমিক-প্রেমিকা একই সাথে বাড়ির সামনের কবর স্থানে গিয়ে বিষ পান করে
আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার কারন নিয়ে নিহতদের পরিবারের কেহই মুখ খুলছেন না। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস