ভিয়েনা ০৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সিটিটিসি’র অভিযান, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:১৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • ২৮ সময় দেখুন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অভিযান চালিয়ে ১৫ টি রকেট প্রোফোল গ্রেনেড (রকেট লঞ্চার), লং রেঞ্জ অটোমেটিক মেশিন গানের ৫১০ রাউন্ড গুলি এবং ২৫ টি রকেট লেঞ্চার বুস্টার উদ্ধার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

সোমবার ভোর রাত থেকে টানা ১০ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে তারা। এর আগে রবিবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১ টি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি এবং ১ টি ম্যাগাজিন সহ আবেল ত্রিপুরা অমিত (২৮) নামে একব্যক্তিকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।আটককৃত ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি এলাকার বাসিন্দা।

সোমবার বিকালে চুনারুঘাট থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান।

এসময় তিনি জানান, আবেল ত্রিপুরাকে পিস্তল ও গুলিসহ আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অস্ত্র মজুদের কথা জানায়। ওইরাতেই তাকে সাথে নিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অভিযান শুরু করি। তার দেখানো ৩ টি স্পট থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। কি উদ্দেশ্যে এবং কোথা থেকে এসব অস্ত্র এসেছে এর পেছনে আরও কেউ আছে কি না? এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তাকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী এবং চুনারুঘাট থানায় পৃথক মামলা করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় দফায় অভিযান চালিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান এবং প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র‌্যাব।
এর পর একই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহিন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে ৩টি মেশিনগান, ৪টি ব্যারেল, ৮টি ম্যাগাজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৮টি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।

পঞ্চম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়। ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। গত ২ মার্চ বিজিবি অভিযান চালিয়ে ১৮ ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট গোলা উদ্ধার করে।

সর্বশেষ গত ১৩ আগস্ট হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানসংলগ্ন একটি ব্রিজের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯টি একনলা বন্দুক, ৩টি পিস্তল ও ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে বিজিবি।

মোতাব্বির হোসেন কাজল/ইবিটাইমস

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

হবিগঞ্জে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সিটিটিসি’র অভিযান, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার

আপডেটের সময় ০১:১৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অভিযান চালিয়ে ১৫ টি রকেট প্রোফোল গ্রেনেড (রকেট লঞ্চার), লং রেঞ্জ অটোমেটিক মেশিন গানের ৫১০ রাউন্ড গুলি এবং ২৫ টি রকেট লেঞ্চার বুস্টার উদ্ধার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

সোমবার ভোর রাত থেকে টানা ১০ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে তারা। এর আগে রবিবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১ টি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি এবং ১ টি ম্যাগাজিন সহ আবেল ত্রিপুরা অমিত (২৮) নামে একব্যক্তিকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।আটককৃত ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি এলাকার বাসিন্দা।

সোমবার বিকালে চুনারুঘাট থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান।

এসময় তিনি জানান, আবেল ত্রিপুরাকে পিস্তল ও গুলিসহ আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অস্ত্র মজুদের কথা জানায়। ওইরাতেই তাকে সাথে নিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অভিযান শুরু করি। তার দেখানো ৩ টি স্পট থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। কি উদ্দেশ্যে এবং কোথা থেকে এসব অস্ত্র এসেছে এর পেছনে আরও কেউ আছে কি না? এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তাকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী এবং চুনারুঘাট থানায় পৃথক মামলা করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় দফায় অভিযান চালিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান এবং প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র‌্যাব।
এর পর একই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহিন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে ৩টি মেশিনগান, ৪টি ব্যারেল, ৮টি ম্যাগাজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৮টি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।

পঞ্চম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়। ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। গত ২ মার্চ বিজিবি অভিযান চালিয়ে ১৮ ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট গোলা উদ্ধার করে।

সর্বশেষ গত ১৩ আগস্ট হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানসংলগ্ন একটি ব্রিজের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯টি একনলা বন্দুক, ৩টি পিস্তল ও ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে বিজিবি।

মোতাব্বির হোসেন কাজল/ইবিটাইমস