ভিয়েনা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মঠবাড়িয়ায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর মামলার প্রধান আসামী হলেন নৌকার মাঝি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১২:৩৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৩৪ সময় দেখুন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট: পিরোজপুর:  পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নৌকার মাঝি হলেন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর মামলার প্রধান আসামী মো. রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার ।তিনি পঞ্চম ধাপের (আগামী ২০২২ সালের ০৫ জানুয়ারী) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে  উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন  পেয়েছেন।তিনি উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

জানা গেছে,  গত ২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর  উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের বাইশকুড়া বাজারের একটি ক্লাবের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুবেল আকনকে মারধর ও ক্লাবটি ভাংচুরের   ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে প্রধান আসামী করা হয়।আহত ওই ছাত্রলীগ নেতার পিতা ও উপজেলার ভেচকি গ্রামের ওয়ার্ড আ’লীগ সদস্য  মো. পান্না আকন বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।এতে  ওই রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনকে নামীয় ও  আরো ১২-১৩জনকে অজ্ঞাত করে মামলাটি দায়ের করা হয়।ওই মামলার
তদন্ত কর্মকর্তা

মামলাটি তদন্ত করে পরে বছর (২৯১৭ সাল) ২০ আগষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম
রিপন জমাদ্দার সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসিট প্রদান করেন। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

ওই উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মঠবাড়িয়া পৌর মেয়র  মো. রফিক উদ্দিন ফেরদাউস বলেন, টিকিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ থেকে  মনোনয়ন পাওয়া মো. রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাংচুর মামলার আসামী বলে জানি।কিন্তু তার মনোয়নের তালিকায় নাম পাঠানোর সময় বিষয়টা আমার খেয়াল ছিলো না।তা ছাড়া কেহ মনেও করিয়ে দেয়ন নি।আর মনোনয়নের
তালিকা পাঠানোর প্রধান জেলা কমিটি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে ওই মামলা থেকে আদালত তাকে বাদ দিয়েছেন দাবী করে জানান, ওই ঘটনার সময় তিনি বরিশাল ছিলেন।স্থানীয় রাজনীতির কারনে তৎকালীন  উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগ সদস্য মো. আশ্রাফুর রহমানের  প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ওই মামলার আসামী হয়েছেন।মামলার বাদী পান্না আকন আ’লীগ করেন না। বরং তিনি ওই ইউনিয়ন
বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন মেম্বার-এর আপন ছোট ভাই। তিনি জেলা ছোটকাল থেকে আ’লীগের সাথে জড়িত।তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারান সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘এখন বুঝে দেখেন আমি  বঙ্গবন্ধু বা প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাঙ্গতে পারি কিনা’।

এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা  মো. আশ্রাফুর রহমানে সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নৌকার মনোনয়ন   পাওয়া রিপন জমাদ্দার বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করেছিলেন বলে জানি।তবে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার ব্যাপারে আমার কোন হাত ছিলো  না।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

মঠবাড়িয়ায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর মামলার প্রধান আসামী হলেন নৌকার মাঝি

আপডেটের সময় ১২:৩৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট: পিরোজপুর:  পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নৌকার মাঝি হলেন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর মামলার প্রধান আসামী মো. রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার ।তিনি পঞ্চম ধাপের (আগামী ২০২২ সালের ০৫ জানুয়ারী) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে  উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন  পেয়েছেন।তিনি উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

জানা গেছে,  গত ২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর  উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের বাইশকুড়া বাজারের একটি ক্লাবের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুবেল আকনকে মারধর ও ক্লাবটি ভাংচুরের   ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে প্রধান আসামী করা হয়।আহত ওই ছাত্রলীগ নেতার পিতা ও উপজেলার ভেচকি গ্রামের ওয়ার্ড আ’লীগ সদস্য  মো. পান্না আকন বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।এতে  ওই রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনকে নামীয় ও  আরো ১২-১৩জনকে অজ্ঞাত করে মামলাটি দায়ের করা হয়।ওই মামলার
তদন্ত কর্মকর্তা

মামলাটি তদন্ত করে পরে বছর (২৯১৭ সাল) ২০ আগষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম
রিপন জমাদ্দার সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসিট প্রদান করেন। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

ওই উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মঠবাড়িয়া পৌর মেয়র  মো. রফিক উদ্দিন ফেরদাউস বলেন, টিকিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ থেকে  মনোনয়ন পাওয়া মো. রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাংচুর মামলার আসামী বলে জানি।কিন্তু তার মনোয়নের তালিকায় নাম পাঠানোর সময় বিষয়টা আমার খেয়াল ছিলো না।তা ছাড়া কেহ মনেও করিয়ে দেয়ন নি।আর মনোনয়নের
তালিকা পাঠানোর প্রধান জেলা কমিটি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে ওই মামলা থেকে আদালত তাকে বাদ দিয়েছেন দাবী করে জানান, ওই ঘটনার সময় তিনি বরিশাল ছিলেন।স্থানীয় রাজনীতির কারনে তৎকালীন  উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগ সদস্য মো. আশ্রাফুর রহমানের  প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ওই মামলার আসামী হয়েছেন।মামলার বাদী পান্না আকন আ’লীগ করেন না। বরং তিনি ওই ইউনিয়ন
বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন মেম্বার-এর আপন ছোট ভাই। তিনি জেলা ছোটকাল থেকে আ’লীগের সাথে জড়িত।তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারান সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘এখন বুঝে দেখেন আমি  বঙ্গবন্ধু বা প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাঙ্গতে পারি কিনা’।

এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা  মো. আশ্রাফুর রহমানে সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নৌকার মনোনয়ন   পাওয়া রিপন জমাদ্দার বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করেছিলেন বলে জানি।তবে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার ব্যাপারে আমার কোন হাত ছিলো  না।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস