ভিয়েনা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী টাঙ্গাইলে প্রিণ্ট মিডিয়া আসোসিয়েশন নিন্দা ও প্রতিবাদ সিইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার এডাব ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি শাহ্ আলম, সম্পাদক হোসাইন আহমেদ ‎ ঝালকাঠির দুটি আসনে ৭ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন নির্বাচনের আগে যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিন বাহিনী প্রধান সুদানে শাহাদাত বরণকারী শান্তিরক্ষীদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত

সেপটিক ট্যাংকে ঢুকে বাড়ির মালিকসহ দুজনের মৃত্যু

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:৩০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১
  • ৩৪ সময় দেখুন

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার সদর উপজেলায় নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে ঢুকে বাড়ির মালিকসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অপর দুজন।

আজ শনিবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পণ্ডিতের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া দুজন হলেন বাড়ির মালিক আবদুল মালেক (৪৫) ও রাজমিস্ত্রি জসিম উদ্দিন (৩৫)। আবদুল মালেক পণ্ডিতের হাট এলাকার তজুমউদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে ও জসিম উদ্দিন একই এলাকার কালু মাঝির ছেলে।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান বলেন, আজ সকালে আবদুল মালেকের বাড়িতে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে সাটারিং খুলতে নামেন রাজমিস্ত্রি জসিম উদ্দিন। এ সময় বিষাক্ত গ্যাসে তিনি আক্রান্ত হন। তাঁকে উদ্ধার করতে বাড়ির মালিক আবদুল মালেক ভেতরে নামেন। তিনিও সেখানে গ্যাসে আক্রান্ত হন। পরে ওই দুজনকে উদ্ধার করতে পাশের বাড়ির মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. কবির হোসেন ভেতরে নামেন। পরে তাঁরাও বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ট্যাংকের ভেতর থেকে তাঁদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল মালেক ও জসিম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। শাহাবুদ্দিন ও কবির হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন।

ভোলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ঢাকা থাকায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরের অক্সিজেন ফুরিয়ে গেছে। সেখানে মনক্সাইড, কার্বন ডাই–অক্সাইড ও সালফার অক্সাইড গ্যাস সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিষাক্ত গ্যাস নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করা ব্যক্তির প্রতিরোধী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, দুজনের লাশ ভোলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আহত দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সাব্বির আলম বাবু /ইবি টাইমস

জনপ্রিয়

রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

সেপটিক ট্যাংকে ঢুকে বাড়ির মালিকসহ দুজনের মৃত্যু

আপডেটের সময় ০৪:৩০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার সদর উপজেলায় নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে ঢুকে বাড়ির মালিকসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অপর দুজন।

আজ শনিবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পণ্ডিতের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া দুজন হলেন বাড়ির মালিক আবদুল মালেক (৪৫) ও রাজমিস্ত্রি জসিম উদ্দিন (৩৫)। আবদুল মালেক পণ্ডিতের হাট এলাকার তজুমউদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে ও জসিম উদ্দিন একই এলাকার কালু মাঝির ছেলে।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান বলেন, আজ সকালে আবদুল মালেকের বাড়িতে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে সাটারিং খুলতে নামেন রাজমিস্ত্রি জসিম উদ্দিন। এ সময় বিষাক্ত গ্যাসে তিনি আক্রান্ত হন। তাঁকে উদ্ধার করতে বাড়ির মালিক আবদুল মালেক ভেতরে নামেন। তিনিও সেখানে গ্যাসে আক্রান্ত হন। পরে ওই দুজনকে উদ্ধার করতে পাশের বাড়ির মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. কবির হোসেন ভেতরে নামেন। পরে তাঁরাও বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ট্যাংকের ভেতর থেকে তাঁদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল মালেক ও জসিম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। শাহাবুদ্দিন ও কবির হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন।

ভোলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ঢাকা থাকায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরের অক্সিজেন ফুরিয়ে গেছে। সেখানে মনক্সাইড, কার্বন ডাই–অক্সাইড ও সালফার অক্সাইড গ্যাস সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিষাক্ত গ্যাস নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করা ব্যক্তির প্রতিরোধী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, দুজনের লাশ ভোলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আহত দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সাব্বির আলম বাবু /ইবি টাইমস