শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় ১৪ বছরের নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো উদ্ধার হয়নি অপহৃতা স্কুল ছাত্রী। এ নিয়ে পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা।
গত (২৮ জুলাই) বিকেলে উপজেলার সুদামপাড়া মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে পার্শ্ববর্তী গ্রামের মহিলা ইউপি সদস্যের ছেলে জিহাদের (২০) বিরুদ্ধে। মেয়েকে উদ্ধার করতে নাগরপুর থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে কোন প্রকার সহযোগীতা পাননি অপহৃতা স্কুল ছাত্রীর বাবা সাদ্দাম হোসেন। নিরুপায় হয়ে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করেন নাবালিকার নানা আব্দুল বাতেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, সুদাম পাড়া মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১৪) ছিল ওই ছাত্রী। তার মা প্রবাসী ও বাবা চাকরীজীবি হওয়ায় ওই শিক্ষার্থী নানার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করে। মেয়েটি দেখতে সুন্দরি হওয়ায় পার্শ্ববর্তী গ্রাম খামার ধল্লার মহিলা ইউপি সদস্য শাহানাজ বেগমের বখাটে ছেলে জিহাদের সাথে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। নাবালিকা হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন নানা আব্দুল বাতেন। তার কয়েক দিন পর গত (২৮ জুলাই) মাদক সেবী বখাটে জিহাদ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সুদাম পাড়া মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা থেকে সিএনজি যোগে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে মেয়ের বাবাসহ আত্মীয়স্বজরা জিহাদের বাড়ি গেলে তাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন ইউপি সদস্য শাহানাজ। পরে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য মেয়ের বাবা সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। থানা পুলিশের কোন প্রকার সহযোগীতা না পেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে গত (৬ আগস্ট) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন অপহৃতা স্কুল ছাত্রীর নানা আব্দুল বাতেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তের মা মহিলা ইউপি সদস্য শাহানাজ বেগমের বাড়িতে গিয়ে ও তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস




















