ইবিটাইমস ডেস্ক : ইসরাইলি বাহিনী গতকাল শুক্রবার গাজায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে পরিণত একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলি বাহিনীর ওই বোমা হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের’ লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, ‘গাজা শহরের পূর্বে তুফাহ পাড়ায় অবস্থিত গাজা শহীদ স্কুলের আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরাইলি গোলাবর্ষণের ফলে পাঁচ ব্যক্তি শহীদ হয়েছেন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’
এএফপির পক্ষ থেকে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, ‘উত্তর গাজা উপত্যকার ইয়েলো লাইন বা হলুদ রেখা এলাকায় পরিচালিত অভিযানের সময়, ইয়েলো লাইনের পশ্চিমে অবস্থিত কমান্ড অবকাঠামোর ভেতরে কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়।’
গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরাইলি বাহিনী তথাকথিত ইয়েলো লাইনের পূর্ব দিকে অবস্থান নিয়েছে।
সামরিক বাহিনী জানায়, ‘শনাক্ত করার অল্প সময়ের মধ্যেই হুমকি দূর করতে সেনারা ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।’ তারা আরও জানায়, ‘এলাকায় হতাহতের বিষয়ে আমরা অবগত আছি, এবং বিষয়টি বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এমন ব্যক্তিদের কোনো ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
গত অক্টোবর মাসে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি এখনও নাজুক অবস্থায় রয়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে লঙ্ঘনের অভিযোগ করছে। আর মধ্যস্থতাকারীরা আশঙ্কা করছেন যে ইসরাইল ও হামাস উভয়েই ইচ্ছাকৃতভাবে প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত করছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে ইসরাইলি গুলিতে কমপক্ষে ৩৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরাইল বারবার হামাসকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে তিনজন সৈন্য নিহত হয়েছে।
ঢাকা/এসএস




















