শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল : দল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল–৮ (সখীপুর–বাসাইল) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা’ এবং ‘দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের’ অভিযোগ তুলে সখীপুর উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির পাঁচ জ্যেষ্ঠ নেতা একযোগে পদত্যাগ করেছেন। এতে সখীপুর উপজেলা বিএনপিতে হঠাৎ করে অভ্যন্তরীণ সংকট দেখা দিয়েছে।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন সখীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেদ মাস্টার,সহসভাপতি আব্দুল মান্নান,গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ,বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ মিয়া,উপজেলা বিএনপির সদস্য আশরাফুল ইসলাম বাদল।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দেওয়া পদত্যাগপত্রে অভিযোগ করা হয়, দল পুনর্গঠনের উদ্যোগের পর অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান ‘বিমাতা সুলভ আচরণ’ করেছেন এবং দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত ও আওয়ামী লীগপন্থী ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছেন—যা দলীয় আদর্শের পরিপন্থী।
পদত্যাগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে স্বেচ্ছাচারিতা, রাজনৈতিক হয়রানি এবং বাধার কারণে নেতারা কার্যকরভাবে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ব্যর্থ হচ্ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছেদ মাস্টার জানান, পুনর্গঠন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তিনি ‘অবমাননাকর আচরণের’ শিকার হয়েছেন। অন্য চারজন নেতার অভিযোগও প্রায় একই।
এদিকে সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলে পদত্যাগপত্র প্রকাশের পর বিষয়টি দ্রুত ভাইরাল হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা ও তীব্র সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সময় এমন গণপদত্যাগ সখীপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি, ঐক্য ও মাঠের প্রস্তুতিকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হয়ে যাওয়ায় উপজেলা কমিটির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে এখনো সখীপুর উপজেলা কিংবা টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি—এই পদত্যাগকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস























