ভিয়েনা ১২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে বিএনপির প্রার্থীর অডিও ফাঁস, মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:৪৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ৯৩ সময় দেখুন

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তাঁর বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মণ্ডলকে মারধর করার হুমকি এবং আপত্তিকর ভাষায় কথা বলার অভিযোগ উঠেছে।

তবে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খান ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওই অডিও এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে টাঙ্গাইল সদর, সখীপুর ও ভূঞাপুর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা কমান্ডের আয়োজনে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডলের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায়। তিনি ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডল জানান, গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে আহমেদ আযম খান তাঁকে ফোন করেন। তাঁদের কথোপকথন হয় ৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড। সেই কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডল বলেন, আহমেদ আযম খান আমাকে ফোন করে গালাগাল করেছেন। পিঠের চামড়া থাকবে না বলে হুমকি দিয়েছেন। তিনি আমার সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছেন, তার হুবহু রেকর্ডের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ওই অডিওতে বিএনপির মনোনিত এমপি প্রার্থী আহমেদ আযম খান বলেন, আপনি আমার নির্বাচনী এলাকায় কমিটি করবেন, আর আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না? আপনার বাড়ি কোথায়? আপনার সিএস আরএস কী। আপনি আমার নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত করবেন, এটা করতে দেওয়া হবে না। খামোশ। আপনার পিঠের চামড়া থাকবে না। কীভাবে আপনি বাসাইল আসেন, দেখব। ফাজিলের বাচ্চা। তিনি আরও বলেন, আপনি কি একা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন? আর কেউ করে নাই? ফাইজলামি পাইছেন। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পকেটে নিয়ে আইসেন, আমি দেখব। আপনি মুক্তিযোদ্ধার সভাপতি হয়ে দুর্নীতি করছেন। টাকার লোভে পাইছে। আপনাকে খাইয়ে দেব, একেবারে খাইয়ে দেব।

হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খান বলেন, আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি, তবে কোনো হুমকি দিইনি। অডিওতে এআই ব্যবহার করে অন্য রকম করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে উপর্যুপরি চক্রান্ত করছে। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে অডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সখীপুর-বাসাইল আমার নির্বাচনী এলাকা। খালেক মণ্ডল আমার সঙ্গে কথা না বলে তাঁর ব্যক্তিগত লোকজনকে দিয়ে ইউনিয়ন কমিটি দিয়েছেন। তাঁরা আমার নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত ও আমার ইমেজ নষ্ট করতে অডিও এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আমি অপেক্ষা করছি। আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডল বলেন, ওই অডিও স্পষ্ট। এখানে কোনো এআই ব্যবহার করা হয়নি। তিনি টাঙ্গাইল সদর থানায় অনলাইনে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড থেকে তাঁকে মামলা করতে বলা হয়েছে। তিনি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা ইউনিট কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মন্ডলকে মোবাইল ফোনে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা ও গালিগালাজের প্রতিবাদ জানিয়ে আহমেদ আযম খানের বিচার ও তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধনে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মন্ডলকে যেভাবে অপমান অপদস্ত করা হয়েছে, আমি মনে করি এটা আমাকেও করা হয়েছে। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশকে অপমান করা হয়েছে। সে যেই দলেরই হোক, বাংলাদেশে বসবাস করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা, এটা কাম্য নয়।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা কমান্ডের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হাবিব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল সদর উপজেলা কমান্ডের আহ্বায়ক নুরুজ্জামান, টাঙ্গাইল জেলা এডভোকেট বার সমিতির সাবেক সভাপতি আবু তালেব মিয়াসহ অন্যরা।

এ সময় বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট আহমেদ আহমদ আজম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যেভাবে মোবাইল ফোনে গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন সেটা কোনো ভালো মানুষের পরিচয় বহন করে না। এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তাকে সমগ্র জাতি ও বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। একইসঙ্গে দল থেকে তার মনোনয়ন বাতিল ও বহিষ্কারের দাবিও জানান মুক্তিযোদ্ধারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

টাঙ্গাইলে বিএনপির প্রার্থীর অডিও ফাঁস, মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ

আপডেটের সময় ০১:৪৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তাঁর বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মণ্ডলকে মারধর করার হুমকি এবং আপত্তিকর ভাষায় কথা বলার অভিযোগ উঠেছে।

তবে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খান ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওই অডিও এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে টাঙ্গাইল সদর, সখীপুর ও ভূঞাপুর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা কমান্ডের আয়োজনে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডলের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায়। তিনি ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডল জানান, গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে আহমেদ আযম খান তাঁকে ফোন করেন। তাঁদের কথোপকথন হয় ৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড। সেই কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডল বলেন, আহমেদ আযম খান আমাকে ফোন করে গালাগাল করেছেন। পিঠের চামড়া থাকবে না বলে হুমকি দিয়েছেন। তিনি আমার সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছেন, তার হুবহু রেকর্ডের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ওই অডিওতে বিএনপির মনোনিত এমপি প্রার্থী আহমেদ আযম খান বলেন, আপনি আমার নির্বাচনী এলাকায় কমিটি করবেন, আর আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না? আপনার বাড়ি কোথায়? আপনার সিএস আরএস কী। আপনি আমার নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত করবেন, এটা করতে দেওয়া হবে না। খামোশ। আপনার পিঠের চামড়া থাকবে না। কীভাবে আপনি বাসাইল আসেন, দেখব। ফাজিলের বাচ্চা। তিনি আরও বলেন, আপনি কি একা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন? আর কেউ করে নাই? ফাইজলামি পাইছেন। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পকেটে নিয়ে আইসেন, আমি দেখব। আপনি মুক্তিযোদ্ধার সভাপতি হয়ে দুর্নীতি করছেন। টাকার লোভে পাইছে। আপনাকে খাইয়ে দেব, একেবারে খাইয়ে দেব।

হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খান বলেন, আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি, তবে কোনো হুমকি দিইনি। অডিওতে এআই ব্যবহার করে অন্য রকম করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে উপর্যুপরি চক্রান্ত করছে। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে অডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সখীপুর-বাসাইল আমার নির্বাচনী এলাকা। খালেক মণ্ডল আমার সঙ্গে কথা না বলে তাঁর ব্যক্তিগত লোকজনকে দিয়ে ইউনিয়ন কমিটি দিয়েছেন। তাঁরা আমার নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত ও আমার ইমেজ নষ্ট করতে অডিও এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আমি অপেক্ষা করছি। আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডল বলেন, ওই অডিও স্পষ্ট। এখানে কোনো এআই ব্যবহার করা হয়নি। তিনি টাঙ্গাইল সদর থানায় অনলাইনে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড থেকে তাঁকে মামলা করতে বলা হয়েছে। তিনি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা ইউনিট কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মন্ডলকে মোবাইল ফোনে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা ও গালিগালাজের প্রতিবাদ জানিয়ে আহমেদ আযম খানের বিচার ও তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধনে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মন্ডলকে যেভাবে অপমান অপদস্ত করা হয়েছে, আমি মনে করি এটা আমাকেও করা হয়েছে। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশকে অপমান করা হয়েছে। সে যেই দলেরই হোক, বাংলাদেশে বসবাস করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা, এটা কাম্য নয়।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা কমান্ডের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হাবিব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল সদর উপজেলা কমান্ডের আহ্বায়ক নুরুজ্জামান, টাঙ্গাইল জেলা এডভোকেট বার সমিতির সাবেক সভাপতি আবু তালেব মিয়াসহ অন্যরা।

এ সময় বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট আহমেদ আহমদ আজম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যেভাবে মোবাইল ফোনে গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন সেটা কোনো ভালো মানুষের পরিচয় বহন করে না। এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তাকে সমগ্র জাতি ও বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। একইসঙ্গে দল থেকে তার মনোনয়ন বাতিল ও বহিষ্কারের দাবিও জানান মুক্তিযোদ্ধারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস