ভিয়েনা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাতাল ও উড়াল মেট্রোরেলের দুইটি লাইনের নির্মাণ কাজ প্রশাসনিক জটিলতার কারণে অনিশ্চিত

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১২:১৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৫৪ সময় দেখুন

নুরুল আলম আজাদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ পাতাল ও উড়াল মেট্রোরেলের দুইটি লাইনের নির্মাণ কাজ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড এর অযোগ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ এর কারণে এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মেট্রোরেল -১ এবং মেট্রোরেল -৫ (উত্তর লাইন) প্রকল্পের নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাপান দূতাবাস। জাপানের রাষ্ট্র দূত সাইদা শিনিচি স্বাক্ষরিত সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার মূখ্য সচিব, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানসহ আরো কয়েকটি দপ্তরেও পৃথক চিঠিতে এ আহবান জানানো হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে ও এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে জাপান দূতাবাস। চিঠিতে জাপান দূতাবাস বলেছে, বিভিন্ন জটিলতায় প্রকল্প দুটির বাস্তবায়ন পর্যায়ে বিলম্ব হচ্ছে। প্রকল্পের ঋণের অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আলাদা করে রাখা আছে। এ অর্থ ব্যবহার না হলে তাদের ঋণ শৃঙ্খলায় সমস্যা হচ্ছে। চিঠিতে জরুরী ভিত্তিতে কাজের গতি বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়। প্রকল্প দুটির জন্য জাপানি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্প দুটি নগর যোগাযোগ সহজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় প্রকল্প দুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা প্রয়োজন।

মেট্রোরেল-১ প্রকল্পের রুট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত। ২০৩০ সালে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা।

এমআরটি লাইন-১ এর প্যাকেজ-১ ডিপো উন্নয়ন কাজ শেষ। অন্যদিকে মেট্রোরেল-৫ (উত্তর লাইন) এর রুট হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত। প্রকল্পটি কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৮ সালে। এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর) এর প্যাকেজ-১ ডিডো উন্নয়ন কাজ চলমান। ২০১৯ সালের অক্টোবর এবং ডিসেম্বর একনেক বৈঠকে প্রকল্প দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এমআরটি -১ এর দৈর্ঘ্য ৩১.৫৪২ কিলোমিটার যা দুটি অংশে বিভক্ত। বিমানবন্দর রুট (বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর) এবং পূর্বাচল রুট (নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো)। বিমানবন্দর রুটেই বাংলাদেশের প্রথম পাতাল বা আন্ডারগ্রাইন্ড মেট্রোরেল নির্মিত হতে যাচ্ছে। বিমানবন্দর রুটের দৈর্ঘ্য ১৫.৫২৬ কিলোমিটার ও পাতাল স্টেশন সংখ্যা ১২টি। পূর্বাচল রুটের দৈর্ঘ্য ১৬.০১৬ কিলোমিটার এবং ৭টি উড়াল ও ২টি পাতাল স্টেশন। এই রুটের নদ্দা ও নতুন বাজার স্টেশনন্বয় বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে পাতালে নির্মিত হবে। এমআরটি-১ এর সর্বমোট পাতাল অংশের দৈর্ঘ্য ১৭.৪৫০ কিলোমিটার এবং উড়াল অংশের দৈর্ঘ্য ১২.৩১৪ কিলোমিটার। নদ্দা ও নতুন বাজার স্টেশনের আন্ত:রুট সংযোগ ব্যবহার করে বিমানবন্দর রুট থেকে পূর্বাচল রুটে এবং পূর্বাচল রুট থেকে বিমানবন্দর রুটে যাওয়া যাবে। এমআরটি-১ চালু হলে এবং উভয় রুটে দৈনিক ৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর) এর আওতায় হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন নির্মাণের কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করা কথা। এই পথে পাতাল রেলের দৈঘ্য হওয়ার কথা সাড়ে ১৩ কিলোমিটার। বাকিটা উড়াল অংশ। মোট ১৪টি স্টেশনের মধ্যে পাতালে থাকবে ৯টি এবং ৫টি থাকবে উড়াল পথে। ২০২২ সালের জুনে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা এমআরটি-৫ উত্তর লাইন নির্মাণে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিশ্চিত করে। এমটিআর-১ প্রকল্পে জাইকার প্রতিশ্রুত ঋণের পরিমাণ ৫৪ কোটি ডলার। জানা গেছে, এমআরটি -১ এবং এমআরটি-৫ উত্তর লাইন নির্মাণ কাজ বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বিলম্ব হচ্ছে।

এমআরটি লাইন -১ (এয়ারপোর্ট টু কমলাপুর) স্টেশন: এয়ারপোর্ট, এয়ারপোর্ট ট্রার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ, কমলাপুর, বসুন্ধরা, পূর্বাচাল পশ্চিম, পূর্বাচাল সেন্ট্রাল, পূর্বাচাল সেক্টর-৭ এবং পূর্বাচল ট্রার্মিনাল।
এমআরটি লাইন -৫ (হেমায়েতপুর টু ভাটারা) স্টেশন: হেমায়েতপুর, বালিয়াপুর, আমিনবাজার, গাবতলী, দারুসসালাম, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২, নতুন বাজার ও ভাটারা।

ডিএমটিসিএল এর অযোগ্য এমডি ফারুক আহমেদ কার্যকরী উক্ত বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে অন্যের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য চতুর ফারুক আহমেদ সময় ক্ষেপন করে যাচ্ছে। বিষয়টির সাথে জাতীয় স্বার্থ জড়িত থাকায় ডিএমটিসিএল অযোগ্য এমডি ফারুক আহমেদ কে অব্যাহতি দিয়ে মেট্রোরেলের মতো সার্ভিস- অরিয়েন্টেড ও সুচারু (Sophisticated)প্রতিষ্ঠানে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কাঠামো ও সরকারি আইন কানুন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল একজন অভিজ্ঞ সরকারি কর্মকর্তা-ই প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে।

বর্তমান এমডি প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র অফিসারদের সাথে পরামর্শ না নিয়ে শুধু তার পিএস এবং হাতে গোনা কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি (যেমন জিএম সিগন্যালিং, কোম্পানীর সচিব) এর মতামতের ভিত্তিতে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

তাদের পরামর্শে এমডি সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজন (জিএম-অ্যাডমিন নাসির উদ্দিন তরফদার, জিএম-ফাইন্যান্স কামাল আনোয়ার, জিএম-পিও রমজান আলী, জিএম অপারেশন ইফতেখার আহমেদ এবং ডাইরেক্টর অপারেশন নাসির উদ্দিন আহমেদ) এর বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ও অন্যায্যভাবে পদ শূন্য ঘোষণা করে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন, যুক্তি হিসাবে দেখিয়েছেন তাদের কর্মদক্ষতা ভালো নয়। কিন্তু তিনি কোন ভিত্তিতে তাদের কর্মদক্ষতা পরিমাপ করেছেন, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। তার হঠকারী এই সিদ্ধান্তে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি, একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কেবল এই কারণেই বরখাস্ত করা হয়েছে যে তিনি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়ার প্রচলিত সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে এই অপকর্মের সাথে যুক্ত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, যা আইনত এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরখাস্তের জন্য বাধ্যতামূলক।

একটি টানেল নির্মাণ প্যাকেজ সহ ৩টি প্যাকেজের জন্য ঠিকাদাররা গত ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করার জন্য অপেক্ষা করছে। তবে, বর্তমান ব্যবস্থাপনা ইচ্ছাকৃতভাবে সেই চুক্তিগুলি বাতিল করার চেষ্টা করছে।

এই এমডি এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের অফিস আগারগাঁও হতে দিয়াবাড়ীতে স্থানান্তর এবং এমআরটি লাইন-১ পরামর্শকের অফিস চলতি মাসের শেষে দিয়াবারীতে স্থানান্তর করে ও পরামর্শকের জনবল ছাঁটাই করে প্রকল্পের অগ্রগতিতে স্থবিরতা আণয়ন করে যাতে প্রকল্পদ্বয় সরকার বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দেয়।
সরকারি দাপ্তরিক কাজে অনভিজ্ঞ এই ব্যক্তি ডিএমটিসিএল এর এমডি পদে নিয়োগ পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করেছেন। তাঁর মত অনভিজ্ঞ ব্যক্তিকে এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠাটিকে ধ্বংশের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দাখিলকৃত আবেদনে যে ভুল, মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর তথ্য প্রদানের মাধ্যমে হলেও চাকুরি হতে অপাসারণযোগ্য।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার ক্ষেত্রে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) হইতে সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আইনের দৃষ্টিতে বৈধ নয় এবং সরকারি চাকুরি আইন ২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন অনুযায়ী অবৈধ।

কার খুঁটির জোরে এবং স্বার্থে অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্টধারী (পাসপোর্ট নাম্বার RA6237296) নাগরিক এবং ভারতীয় আধার কার্ডধারী (কার্ড নাম্বার ২৬৬৬২০৯১৯১৬২) অনভিজ্ঞ ফারুক আহমেদ (বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র নং ৭৩০৬০২৪২২০) কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে নিয়োগ পেল তা খতিয়ে দেখা দরকার।

ঢাকা/ইবিটাইমস/এম আর 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

পাতাল ও উড়াল মেট্রোরেলের দুইটি লাইনের নির্মাণ কাজ প্রশাসনিক জটিলতার কারণে অনিশ্চিত

আপডেটের সময় ১২:১৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

নুরুল আলম আজাদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ পাতাল ও উড়াল মেট্রোরেলের দুইটি লাইনের নির্মাণ কাজ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড এর অযোগ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ এর কারণে এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মেট্রোরেল -১ এবং মেট্রোরেল -৫ (উত্তর লাইন) প্রকল্পের নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাপান দূতাবাস। জাপানের রাষ্ট্র দূত সাইদা শিনিচি স্বাক্ষরিত সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার মূখ্য সচিব, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানসহ আরো কয়েকটি দপ্তরেও পৃথক চিঠিতে এ আহবান জানানো হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে ও এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে জাপান দূতাবাস। চিঠিতে জাপান দূতাবাস বলেছে, বিভিন্ন জটিলতায় প্রকল্প দুটির বাস্তবায়ন পর্যায়ে বিলম্ব হচ্ছে। প্রকল্পের ঋণের অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আলাদা করে রাখা আছে। এ অর্থ ব্যবহার না হলে তাদের ঋণ শৃঙ্খলায় সমস্যা হচ্ছে। চিঠিতে জরুরী ভিত্তিতে কাজের গতি বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়। প্রকল্প দুটির জন্য জাপানি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্প দুটি নগর যোগাযোগ সহজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় প্রকল্প দুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা প্রয়োজন।

মেট্রোরেল-১ প্রকল্পের রুট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত। ২০৩০ সালে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা।

এমআরটি লাইন-১ এর প্যাকেজ-১ ডিপো উন্নয়ন কাজ শেষ। অন্যদিকে মেট্রোরেল-৫ (উত্তর লাইন) এর রুট হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত। প্রকল্পটি কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৮ সালে। এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর) এর প্যাকেজ-১ ডিডো উন্নয়ন কাজ চলমান। ২০১৯ সালের অক্টোবর এবং ডিসেম্বর একনেক বৈঠকে প্রকল্প দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এমআরটি -১ এর দৈর্ঘ্য ৩১.৫৪২ কিলোমিটার যা দুটি অংশে বিভক্ত। বিমানবন্দর রুট (বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর) এবং পূর্বাচল রুট (নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো)। বিমানবন্দর রুটেই বাংলাদেশের প্রথম পাতাল বা আন্ডারগ্রাইন্ড মেট্রোরেল নির্মিত হতে যাচ্ছে। বিমানবন্দর রুটের দৈর্ঘ্য ১৫.৫২৬ কিলোমিটার ও পাতাল স্টেশন সংখ্যা ১২টি। পূর্বাচল রুটের দৈর্ঘ্য ১৬.০১৬ কিলোমিটার এবং ৭টি উড়াল ও ২টি পাতাল স্টেশন। এই রুটের নদ্দা ও নতুন বাজার স্টেশনন্বয় বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে পাতালে নির্মিত হবে। এমআরটি-১ এর সর্বমোট পাতাল অংশের দৈর্ঘ্য ১৭.৪৫০ কিলোমিটার এবং উড়াল অংশের দৈর্ঘ্য ১২.৩১৪ কিলোমিটার। নদ্দা ও নতুন বাজার স্টেশনের আন্ত:রুট সংযোগ ব্যবহার করে বিমানবন্দর রুট থেকে পূর্বাচল রুটে এবং পূর্বাচল রুট থেকে বিমানবন্দর রুটে যাওয়া যাবে। এমআরটি-১ চালু হলে এবং উভয় রুটে দৈনিক ৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর) এর আওতায় হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন নির্মাণের কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করা কথা। এই পথে পাতাল রেলের দৈঘ্য হওয়ার কথা সাড়ে ১৩ কিলোমিটার। বাকিটা উড়াল অংশ। মোট ১৪টি স্টেশনের মধ্যে পাতালে থাকবে ৯টি এবং ৫টি থাকবে উড়াল পথে। ২০২২ সালের জুনে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা এমআরটি-৫ উত্তর লাইন নির্মাণে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিশ্চিত করে। এমটিআর-১ প্রকল্পে জাইকার প্রতিশ্রুত ঋণের পরিমাণ ৫৪ কোটি ডলার। জানা গেছে, এমআরটি -১ এবং এমআরটি-৫ উত্তর লাইন নির্মাণ কাজ বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বিলম্ব হচ্ছে।

এমআরটি লাইন -১ (এয়ারপোর্ট টু কমলাপুর) স্টেশন: এয়ারপোর্ট, এয়ারপোর্ট ট্রার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ, কমলাপুর, বসুন্ধরা, পূর্বাচাল পশ্চিম, পূর্বাচাল সেন্ট্রাল, পূর্বাচাল সেক্টর-৭ এবং পূর্বাচল ট্রার্মিনাল।
এমআরটি লাইন -৫ (হেমায়েতপুর টু ভাটারা) স্টেশন: হেমায়েতপুর, বালিয়াপুর, আমিনবাজার, গাবতলী, দারুসসালাম, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২, নতুন বাজার ও ভাটারা।

ডিএমটিসিএল এর অযোগ্য এমডি ফারুক আহমেদ কার্যকরী উক্ত বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে অন্যের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য চতুর ফারুক আহমেদ সময় ক্ষেপন করে যাচ্ছে। বিষয়টির সাথে জাতীয় স্বার্থ জড়িত থাকায় ডিএমটিসিএল অযোগ্য এমডি ফারুক আহমেদ কে অব্যাহতি দিয়ে মেট্রোরেলের মতো সার্ভিস- অরিয়েন্টেড ও সুচারু (Sophisticated)প্রতিষ্ঠানে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কাঠামো ও সরকারি আইন কানুন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল একজন অভিজ্ঞ সরকারি কর্মকর্তা-ই প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে।

বর্তমান এমডি প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র অফিসারদের সাথে পরামর্শ না নিয়ে শুধু তার পিএস এবং হাতে গোনা কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি (যেমন জিএম সিগন্যালিং, কোম্পানীর সচিব) এর মতামতের ভিত্তিতে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

তাদের পরামর্শে এমডি সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজন (জিএম-অ্যাডমিন নাসির উদ্দিন তরফদার, জিএম-ফাইন্যান্স কামাল আনোয়ার, জিএম-পিও রমজান আলী, জিএম অপারেশন ইফতেখার আহমেদ এবং ডাইরেক্টর অপারেশন নাসির উদ্দিন আহমেদ) এর বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ও অন্যায্যভাবে পদ শূন্য ঘোষণা করে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন, যুক্তি হিসাবে দেখিয়েছেন তাদের কর্মদক্ষতা ভালো নয়। কিন্তু তিনি কোন ভিত্তিতে তাদের কর্মদক্ষতা পরিমাপ করেছেন, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। তার হঠকারী এই সিদ্ধান্তে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি, একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কেবল এই কারণেই বরখাস্ত করা হয়েছে যে তিনি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়ার প্রচলিত সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে এই অপকর্মের সাথে যুক্ত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, যা আইনত এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরখাস্তের জন্য বাধ্যতামূলক।

একটি টানেল নির্মাণ প্যাকেজ সহ ৩টি প্যাকেজের জন্য ঠিকাদাররা গত ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করার জন্য অপেক্ষা করছে। তবে, বর্তমান ব্যবস্থাপনা ইচ্ছাকৃতভাবে সেই চুক্তিগুলি বাতিল করার চেষ্টা করছে।

এই এমডি এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের অফিস আগারগাঁও হতে দিয়াবাড়ীতে স্থানান্তর এবং এমআরটি লাইন-১ পরামর্শকের অফিস চলতি মাসের শেষে দিয়াবারীতে স্থানান্তর করে ও পরামর্শকের জনবল ছাঁটাই করে প্রকল্পের অগ্রগতিতে স্থবিরতা আণয়ন করে যাতে প্রকল্পদ্বয় সরকার বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দেয়।
সরকারি দাপ্তরিক কাজে অনভিজ্ঞ এই ব্যক্তি ডিএমটিসিএল এর এমডি পদে নিয়োগ পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করেছেন। তাঁর মত অনভিজ্ঞ ব্যক্তিকে এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠাটিকে ধ্বংশের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দাখিলকৃত আবেদনে যে ভুল, মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর তথ্য প্রদানের মাধ্যমে হলেও চাকুরি হতে অপাসারণযোগ্য।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার ক্ষেত্রে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) হইতে সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আইনের দৃষ্টিতে বৈধ নয় এবং সরকারি চাকুরি আইন ২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন অনুযায়ী অবৈধ।

কার খুঁটির জোরে এবং স্বার্থে অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্টধারী (পাসপোর্ট নাম্বার RA6237296) নাগরিক এবং ভারতীয় আধার কার্ডধারী (কার্ড নাম্বার ২৬৬৬২০৯১৯১৬২) অনভিজ্ঞ ফারুক আহমেদ (বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র নং ৭৩০৬০২৪২২০) কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে নিয়োগ পেল তা খতিয়ে দেখা দরকার।

ঢাকা/ইবিটাইমস/এম আর