ভিয়েনা ০৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিরাপদ দেশের সব আশ্রয়প্রার্থীর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই – ম্যাগনাস ব্রুনার

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:৫১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২১২ সময় দেখুন

ইউরোপ ডেস্কঃ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) স্বরাষ্ট্র এবং অভিবাসন বিষয়ক কমিশনার অস্ট্রিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী ম্যাগনাস ব্রুনার বলেছেন, ইইউর নিরাপদ দেশের তালিকায় থাকলেও তৃতীয় দেশের আশ্রয়প্রার্থীরা সবসময় যে নিজ দেশে নিরাপদ থাকবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।

তিনি বলেন, বিষয়টি হলো এমন, প্রস্তাবিত (ইইউর) নিরাপদ দেশের তালিকায় একটি দেশকে যুক্ত করার মানে এই নয় যে, সেই দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সম্পূর্ণ নিশ্চিত। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য স্পেনের রাজনীতিবিদ পেরনান্দো বারেনা আরজের এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন
মাগনুস।

সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়াকে নিরাপদ তৃতীয় দেশের অর্থাৎ ইউরোপের বাইরের দেশের তালিকায় যুক্ত করেছে ইইউ।

স্পেনের রাজনীতিবিদ পেরনান্দো বারেনা আরজের মতে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়াকে নিরাপদ দেশ বিবেচনা করার কোনও পরিস্থিতি নেই। তিনি বলেন, কমিশন এমন সব তৃতীয় দেশকে তালিকার জন্য বিবেচনা করে, যে দেশগুলোতে নির্যাতন ও ক্ষতির সাধারণত কোনও সম্ভাবনা নেই।

তার মতে, ইইউর কর্তাব্যক্তিরা স্বীকার করছেন, সংশ্লিষ্ট তৃতীয় দেশে কোনও কোনও সম্প্রদায়ের ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এই কমিশনারের মতে, কলম্বিয়াকে সম্পূর্ণ নিরাপদ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। সেখানে কিছু ঝুঁকি রয়েছে আর তাই আশ্রয়প্রার্থীদেরকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি সমর্থনযোগ্য নয়। যদিও বিষয়টি ইইউর সদস্য দেশগুলোর ওপর নির্ভর করে।

এ বিষয়ে ম্যাগনাসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ব্রাসেলসের প্রতিবেদনে কলম্বিয়ার মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সাদা-কালোতে দেখা হয়েছে। তার মতে, এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ইইউর সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে ওই সব দেশের বিশেষ পরিস্থিতিতে থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের সময় দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

উল্লেখ্য যে, নিরাপদ দেশের তালিকার ওপর ভিত্তি করে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে ইইউ। তবে এই তালিকায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। নিরাপদ তৃতীয় দেশের কোনও ব্যক্তি নিজ দেশে ঝুঁকিতে পড়তে পারেন, এমনটি বিবেচনায় নিয়ে সদস্য রাষ্টগুলো আশ্রয়প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

নিরাপদ দেশের সব আশ্রয়প্রার্থীর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই – ম্যাগনাস ব্রুনার

আপডেটের সময় ০৫:৫১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইউরোপ ডেস্কঃ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) স্বরাষ্ট্র এবং অভিবাসন বিষয়ক কমিশনার অস্ট্রিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী ম্যাগনাস ব্রুনার বলেছেন, ইইউর নিরাপদ দেশের তালিকায় থাকলেও তৃতীয় দেশের আশ্রয়প্রার্থীরা সবসময় যে নিজ দেশে নিরাপদ থাকবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।

তিনি বলেন, বিষয়টি হলো এমন, প্রস্তাবিত (ইইউর) নিরাপদ দেশের তালিকায় একটি দেশকে যুক্ত করার মানে এই নয় যে, সেই দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সম্পূর্ণ নিশ্চিত। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য স্পেনের রাজনীতিবিদ পেরনান্দো বারেনা আরজের এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন
মাগনুস।

সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়াকে নিরাপদ তৃতীয় দেশের অর্থাৎ ইউরোপের বাইরের দেশের তালিকায় যুক্ত করেছে ইইউ।

স্পেনের রাজনীতিবিদ পেরনান্দো বারেনা আরজের মতে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়াকে নিরাপদ দেশ বিবেচনা করার কোনও পরিস্থিতি নেই। তিনি বলেন, কমিশন এমন সব তৃতীয় দেশকে তালিকার জন্য বিবেচনা করে, যে দেশগুলোতে নির্যাতন ও ক্ষতির সাধারণত কোনও সম্ভাবনা নেই।

তার মতে, ইইউর কর্তাব্যক্তিরা স্বীকার করছেন, সংশ্লিষ্ট তৃতীয় দেশে কোনও কোনও সম্প্রদায়ের ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এই কমিশনারের মতে, কলম্বিয়াকে সম্পূর্ণ নিরাপদ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। সেখানে কিছু ঝুঁকি রয়েছে আর তাই আশ্রয়প্রার্থীদেরকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি সমর্থনযোগ্য নয়। যদিও বিষয়টি ইইউর সদস্য দেশগুলোর ওপর নির্ভর করে।

এ বিষয়ে ম্যাগনাসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ব্রাসেলসের প্রতিবেদনে কলম্বিয়ার মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সাদা-কালোতে দেখা হয়েছে। তার মতে, এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ইইউর সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে ওই সব দেশের বিশেষ পরিস্থিতিতে থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের সময় দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

উল্লেখ্য যে, নিরাপদ দেশের তালিকার ওপর ভিত্তি করে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে ইইউ। তবে এই তালিকায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। নিরাপদ তৃতীয় দেশের কোনও ব্যক্তি নিজ দেশে ঝুঁকিতে পড়তে পারেন, এমনটি বিবেচনায় নিয়ে সদস্য রাষ্টগুলো আশ্রয়প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস