ভিয়েনা ১০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের রোমানিয়া-বুলগেরিয়ার যৌথ অভিযানে ৮ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার মাধবপুরে ইঞ্জিন বিকল, ৩ ঘন্টা পর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় যাত্রা বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় সেতুসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ভোলাবাসীর অবস্থান পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ৭০,৬৬০ প্রবাসীর নিবন্ধন বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে লালমোহনে বিক্ষোভ লালমোহনে এসটিএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জয়লাভ খাল–বিলহীন খিলগাতীতে সাড়ে ৯ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ, প্রশ্ন স্থানীয়দের

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় আজ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:৩৮:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৩১ সময় দেখুন

মো. সোয়েব মেজবাহউদ্দিন. স্টাফ রিপোর্টার : ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের রায় আজ (বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করবে আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করবেন। ২০০৪ সালের ওই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। লক্ষ্য ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা।
হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।  হামলার পর মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। প্রথমদিকে তদন্ত নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয় এবং ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ ওঠে। ২০০৭ সালের এক-এগারো সরকারের সময় সিআইডি নতুন করে তদন্ত শুরু করে এবং ২০০৮ সালে ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অধিকতর তদন্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায় ঘোষণা করে। এতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে হাইকোর্ট ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করে সব আসামিকে খালাস দেয়। আদালত মন্তব্য করে, হামলাটি ভয়াবহ হলেও তদন্তে অসঙ্গতি ও দুর্বলতা ছিল। রায়ে নতুন করে স্বাধীন ও পেশাদার সংস্থার মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের এই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। তাদের দাবি, বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজাই যথাযথ। অন্যদিকে আসামিপক্ষ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি দেয়। আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয় ১৭ জুলাই এবং ধারাবাহিকভাবে পাঁচ দিন ধরে চলে। এরপর আজ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবু সাদাত মো. সায়েম ভূঞা ও সাদিয়া আফরিন। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

জনপ্রিয়

ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় আজ

আপডেটের সময় ০৭:৩৮:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মো. সোয়েব মেজবাহউদ্দিন. স্টাফ রিপোর্টার : ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের রায় আজ (বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করবে আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করবেন। ২০০৪ সালের ওই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। লক্ষ্য ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা।
হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।  হামলার পর মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। প্রথমদিকে তদন্ত নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয় এবং ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ ওঠে। ২০০৭ সালের এক-এগারো সরকারের সময় সিআইডি নতুন করে তদন্ত শুরু করে এবং ২০০৮ সালে ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অধিকতর তদন্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায় ঘোষণা করে। এতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে হাইকোর্ট ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করে সব আসামিকে খালাস দেয়। আদালত মন্তব্য করে, হামলাটি ভয়াবহ হলেও তদন্তে অসঙ্গতি ও দুর্বলতা ছিল। রায়ে নতুন করে স্বাধীন ও পেশাদার সংস্থার মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের এই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। তাদের দাবি, বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজাই যথাযথ। অন্যদিকে আসামিপক্ষ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি দেয়। আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয় ১৭ জুলাই এবং ধারাবাহিকভাবে পাঁচ দিন ধরে চলে। এরপর আজ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবু সাদাত মো. সায়েম ভূঞা ও সাদিয়া আফরিন। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস