ইউরোপ ডেস্কঃ পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে একটি ক্যাবল রেল বা ফানিকুলার দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং আরও ২১ জন আহত হয়েছেন আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ভয়াবহ ঘটনার পর পর্তুগালে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ‘এলিভাদোর গ্লোরিয়া’ নামের ফানিকুলারটি দ্রুতগতিতে নিচে নামার সময় পাশের একটি ভবনে ধাক্কা খায় এবং সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। দুর্ঘটনার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ ও দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
আহতদের লিসবনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী ও তার শিশু সন্তানও রয়েছে। নিহত ও আহতদের মধ্যে পর্তুগালের নাগরিকের পাশাপাশি বিদেশিও রয়েছেন, তবে তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পর্তুগালে বিপুলসংখ্যক
প্রবাসী বাংলাদেশীদেরও বসবাস।
লিসবনের মেয়র কার্লোস মোয়েদা এই ঘটনাকে অত্যন্ত মর্মান্তিক উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের শহরে এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।’ তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে শহর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহায়তার জন্য তাদের পাশে থাকবে।
এই দুর্ঘটনার পর পর্তুগালে বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে এবং লিসবনে তিন দিনের শোক পালনের কথা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘এলিভাদোর গ্লোরিয়া’ নামের এই ফানিকুলার রেলটি ১৮৮৫ সাল থেকে রেস্তোরাদোরেস থেকে বাইরো আলতো এলাকায় যাত্রী পরিবহন করে আসছে। লিসবন শহরে উপরে-নিচে যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই ধরনের একাধিক ফানিকুলার সেবা চালু আছে। দুর্ঘটনার পর শহরের সব ফানিকুলার সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস