ভিয়েনা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে তরুণীকে গ্রেফতার করে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ হবিগঞ্জে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে তরুণীকে গ্রেফতার টাঙ্গাইল আদালতে বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ের পানি শোধনাগার চার বছর ধরে বন্ধ রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে সামনে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে : ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল শুরু আরও ১৬ দেশের পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইসির ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা গণহত্যার জন্য নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি তিন দফা দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান

ভৌতিক বিল করতে গিয়ে তোপের মুখে পল্লী বিদ্যুতের কর্মী

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • ১৮ সময় দেখুন

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : ভোলার লালমোহনে ১১ দিনের মাথায় নতুন বিল নিয়ে গ্রাহকের কাছে গেলে জনতার তোপের মুখে পড়েছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার। শুক্রবার জুমার আগে উপজেলার সদর লালমোহন ইউনিয়নের মক্তব বাজার এলাকায় তোপের মুখে পড়া মিটার রিডার মাহবুবকে লালমোহন থানা পুলিশ গিয়ে নিয়ে আসে। ওই এলাকার বাসিন্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক বিল্লাল হোসেন জানান, মক্তব বাজার এলাকার সকল গ্রাহকের পল্লী বিদ্যুতের মাসিক বিল গত মে মাসের ৩১ তারিখে ইস্যু করা হয়েছে। ওই বিল পরিশোধের শেষ তারিখ ছিল ১৯ জুন। যথারীতি গ্রাহকরা ১৯ জুনের মধ্যে বিল পরিশোধও করে। কিন্তু শুক্রবার জুন মাসের আরেকটি বিলের কাগজ নিয়ে আসে পল্লী বিদুতের স্টাফ। তাতে বিল ইস্যুর তারিখ লেখা আছে ১১ জুন। তা পরিশোধ করতে হবে ৩০ জুনের মধ্যে। গ্রাহকরা বিলের কাগজ যাচাই করে ৩১ মে ইস্যু করা বিলের পর আবার ১১ জুন নতুন বিল ইস্যু করার সময় নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। ১১ দিনের মাথায় নতুন মাসের বিল কিভাবে হয় এর কারণ জানতে চেয়ে বিল দিতে যাওয়া স্টাফকে অবরুদ্ধ করে জনতা। পরে লালমোহন থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই স্টাফকে নিয়ে আসেন। 
বাজারের দোকানদার গ্রাহক মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, মে মাসের বিলে প্রত্যেক গ্রাহকের যেই টাকা ধরা হয়েছে, ১১ দিন পর জুন মাসের বিল করে আবার একই পরিমাণ বিল করে নতুন কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিলের টাকায় কারো কোন পরিবর্তন হয়নি। ১১ জুনের পর থেকে তাহলে আরেকটি বিলের কাগজ দেওয়া হতো কি না গ্রাহকদের প্রশ্ন রাখেন স্থানীয়রা। 
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একই এলাকার মোতাহার নামে আরেক গ্রাহককে ৮৩১ টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। ওই গ্রাহক বিলের ইউনিট ও মিটারের সাথে মিলিয়ে অসামঞ্জস্য পাওয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলে তারা ভুল স্বীকার করে ৬২১ টাকা করে দেন। 
লালমোহন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মোতালেব খান জানান, এভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয় পল্লী বিদ্যুৎ। যারা বুঝতে পারে তারা হয়তো অফিসে গিয়ে ঠিক করাতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই তাদের ইচ্ছামতো বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। এর প্রতিকার হওয়া উচিৎ।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. মাহমুদুল হাসান জানান, গত মাসে স্টাফরা ঢাকায় আন্দোলনে ছিল। যার কারণে ঠিকমতো বিল করা সম্ভব হয়নি। তখনকার বিল সমন্বয় করতে এভাবে বিল করা হয়েছে।   

Tag :
জনপ্রিয়

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে তরুণীকে গ্রেফতার করে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ভৌতিক বিল করতে গিয়ে তোপের মুখে পল্লী বিদ্যুতের কর্মী

আপডেটের সময় ০৬:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : ভোলার লালমোহনে ১১ দিনের মাথায় নতুন বিল নিয়ে গ্রাহকের কাছে গেলে জনতার তোপের মুখে পড়েছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার। শুক্রবার জুমার আগে উপজেলার সদর লালমোহন ইউনিয়নের মক্তব বাজার এলাকায় তোপের মুখে পড়া মিটার রিডার মাহবুবকে লালমোহন থানা পুলিশ গিয়ে নিয়ে আসে। ওই এলাকার বাসিন্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক বিল্লাল হোসেন জানান, মক্তব বাজার এলাকার সকল গ্রাহকের পল্লী বিদ্যুতের মাসিক বিল গত মে মাসের ৩১ তারিখে ইস্যু করা হয়েছে। ওই বিল পরিশোধের শেষ তারিখ ছিল ১৯ জুন। যথারীতি গ্রাহকরা ১৯ জুনের মধ্যে বিল পরিশোধও করে। কিন্তু শুক্রবার জুন মাসের আরেকটি বিলের কাগজ নিয়ে আসে পল্লী বিদুতের স্টাফ। তাতে বিল ইস্যুর তারিখ লেখা আছে ১১ জুন। তা পরিশোধ করতে হবে ৩০ জুনের মধ্যে। গ্রাহকরা বিলের কাগজ যাচাই করে ৩১ মে ইস্যু করা বিলের পর আবার ১১ জুন নতুন বিল ইস্যু করার সময় নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। ১১ দিনের মাথায় নতুন মাসের বিল কিভাবে হয় এর কারণ জানতে চেয়ে বিল দিতে যাওয়া স্টাফকে অবরুদ্ধ করে জনতা। পরে লালমোহন থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই স্টাফকে নিয়ে আসেন। 
বাজারের দোকানদার গ্রাহক মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, মে মাসের বিলে প্রত্যেক গ্রাহকের যেই টাকা ধরা হয়েছে, ১১ দিন পর জুন মাসের বিল করে আবার একই পরিমাণ বিল করে নতুন কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিলের টাকায় কারো কোন পরিবর্তন হয়নি। ১১ জুনের পর থেকে তাহলে আরেকটি বিলের কাগজ দেওয়া হতো কি না গ্রাহকদের প্রশ্ন রাখেন স্থানীয়রা। 
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একই এলাকার মোতাহার নামে আরেক গ্রাহককে ৮৩১ টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। ওই গ্রাহক বিলের ইউনিট ও মিটারের সাথে মিলিয়ে অসামঞ্জস্য পাওয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলে তারা ভুল স্বীকার করে ৬২১ টাকা করে দেন। 
লালমোহন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মোতালেব খান জানান, এভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয় পল্লী বিদ্যুৎ। যারা বুঝতে পারে তারা হয়তো অফিসে গিয়ে ঠিক করাতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই তাদের ইচ্ছামতো বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। এর প্রতিকার হওয়া উচিৎ।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. মাহমুদুল হাসান জানান, গত মাসে স্টাফরা ঢাকায় আন্দোলনে ছিল। যার কারণে ঠিকমতো বিল করা সম্ভব হয়নি। তখনকার বিল সমন্বয় করতে এভাবে বিল করা হয়েছে।