ভিয়েনা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লঞ্চঘাটে সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নিল টোল উত্তোলনকারীরা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • ৬ সময় দেখুন

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : ভোলার লালমোহনে নির্ধারিতের চেয়ে অতিরিক্ত টোল উত্তোলনকালে ভিডিও করায় সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে টোল উত্তোলনকারীরা।

রোববার (১৫ জুন) বিকেলে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মঙ্গল শিকদার লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মঙ্গল শিকদার লঞ্চঘাটে যাত্রী টোল জনপ্রতি ৫টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন অধিদপ্তর (বিআইডব্লিউটিএ)।

তবে যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০টাকা করে টোল উত্তোলন করছিল টোল উত্তোলনকারীরা। এমন অনিয়ম দেখে তা মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার লালমোহন প্রতিনিধি এমআর পারভেজ।

বিষয়টি টের পেয়ে পারভেজকে গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি দিয়ে তার মুঠোফোন কেড়ে নেন ঘাটের টোল উত্তোলনের দায়িত্বরত আকতার ও ফিরোজ নামের দুই ব্যাক্তি।

সাংবাদিক এমআর পারভেজ জানান, মঙ্গল শিকদার লঞ্চঘাটে যাত্রী টোল ৫ টাকার স্থলে ১০ টাকা নিচ্ছিল ইজারাদার। এ বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতেই খারাপ আচরণ করে তারা। একপর্যায়ে তারা কয়েকজন একত্রিত হয়ে গালিগালাজ শুরু করে এবং আকতার ও ফিরোজ নামে দুইজন এসে আমার মোবাইল কেড়ে নেয়।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি লালমোহন থানার ওসিকে জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান তিনি।

পরে পুলিশ ও স্থানীয় যুবদল নেতা সোহাগ এবং ইমাম হোসেনের সহায়তায় মোবাইল ফেরত পাই। তবে মোবাইলে থাকা অতিরিক্ত টোল উত্তোলনের ভিডিও ও ছবিগুলো ডিলেট করে দিয়েছে তারা।

লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলসিকদার ফাড়ির ইনচার্জসহ পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মোবাইল ফেরত দিয়েছে ইজারাদারের লোকজন। ওই সাংবাদিক লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ বলেন, এর আগে এ অনিয়মের ব্যাপারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। ঈদের পর আমি সেখানে গিয়েছিলাম, তখন কোন অনিয়ম পাইনি। তারা আমাদের আগোচরে অনিয়ম করে থাকে। আজকের ব্যাপারটা বিআইডব্লিউটিএ’কে জানানো হবে, যাতে তারা আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালমোহনের মঙ্গল শিকদার ও নাজিরপুর লঞ্চঘাটের ইজারাদার ছিল ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগের নেতা। ৫ আগস্টের পরে তারা পলাতক থাকার সুযোগ নিয়েছে আকতার ও ফিরোজরা। পূর্বের ইজারাদারদের কাছ থেকে ইজারা হাতবদলের কথা বললেও বাস্তবে দখলবাজির অভিযোগ আকতার-ফিরোজদের বিরুদ্ধে। তাই এ টোলের নামে যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি করেছেন লালমোহনের সচেতন মহল।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লঞ্চঘাটে সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নিল টোল উত্তোলনকারীরা

আপডেটের সময় ০৮:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : ভোলার লালমোহনে নির্ধারিতের চেয়ে অতিরিক্ত টোল উত্তোলনকালে ভিডিও করায় সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে টোল উত্তোলনকারীরা।

রোববার (১৫ জুন) বিকেলে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মঙ্গল শিকদার লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মঙ্গল শিকদার লঞ্চঘাটে যাত্রী টোল জনপ্রতি ৫টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন অধিদপ্তর (বিআইডব্লিউটিএ)।

তবে যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০টাকা করে টোল উত্তোলন করছিল টোল উত্তোলনকারীরা। এমন অনিয়ম দেখে তা মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার লালমোহন প্রতিনিধি এমআর পারভেজ।

বিষয়টি টের পেয়ে পারভেজকে গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি দিয়ে তার মুঠোফোন কেড়ে নেন ঘাটের টোল উত্তোলনের দায়িত্বরত আকতার ও ফিরোজ নামের দুই ব্যাক্তি।

সাংবাদিক এমআর পারভেজ জানান, মঙ্গল শিকদার লঞ্চঘাটে যাত্রী টোল ৫ টাকার স্থলে ১০ টাকা নিচ্ছিল ইজারাদার। এ বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতেই খারাপ আচরণ করে তারা। একপর্যায়ে তারা কয়েকজন একত্রিত হয়ে গালিগালাজ শুরু করে এবং আকতার ও ফিরোজ নামে দুইজন এসে আমার মোবাইল কেড়ে নেয়।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি লালমোহন থানার ওসিকে জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান তিনি।

পরে পুলিশ ও স্থানীয় যুবদল নেতা সোহাগ এবং ইমাম হোসেনের সহায়তায় মোবাইল ফেরত পাই। তবে মোবাইলে থাকা অতিরিক্ত টোল উত্তোলনের ভিডিও ও ছবিগুলো ডিলেট করে দিয়েছে তারা।

লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলসিকদার ফাড়ির ইনচার্জসহ পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মোবাইল ফেরত দিয়েছে ইজারাদারের লোকজন। ওই সাংবাদিক লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ বলেন, এর আগে এ অনিয়মের ব্যাপারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। ঈদের পর আমি সেখানে গিয়েছিলাম, তখন কোন অনিয়ম পাইনি। তারা আমাদের আগোচরে অনিয়ম করে থাকে। আজকের ব্যাপারটা বিআইডব্লিউটিএ’কে জানানো হবে, যাতে তারা আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালমোহনের মঙ্গল শিকদার ও নাজিরপুর লঞ্চঘাটের ইজারাদার ছিল ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগের নেতা। ৫ আগস্টের পরে তারা পলাতক থাকার সুযোগ নিয়েছে আকতার ও ফিরোজরা। পূর্বের ইজারাদারদের কাছ থেকে ইজারা হাতবদলের কথা বললেও বাস্তবে দখলবাজির অভিযোগ আকতার-ফিরোজদের বিরুদ্ধে। তাই এ টোলের নামে যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি করেছেন লালমোহনের সচেতন মহল।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস