ভিয়েনা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমোহনে ঠিকাদারের গাফিলতিতে জনভোগান্তি চরমে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:২৮:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • ৭ সময় দেখুন

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : ভোলার  লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ডা. আজাহার উদ্দিন রোড থেকে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা বাজার সড়ক। বিশেষ কারণে দীর্ঘদিন ধরে সড়কটিতে লাগেনি কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া। বছরের পর বছর ধরে খানাখন্দে বেহাল হয়ে পড়েছিল সড়কটি। তবে দেশের পটপরিবর্তনের পর সে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। যার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। তবে বরাদ্দ পেয়ে সড়কের পুরনো ইট-পিচ তুলে রেখে চলে যায় ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এতে আরো দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দাসহ পথচারীরা।
লালমোহন উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জিওবি মেইনটেন্যান্সের আওতায় রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ডা. আজাহার উদ্দিন রোড থেকে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা বাজার সড়কের ৮৫০ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ৫১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সড়কটি সংস্কারের জন্য কাজ পান ভোলার এমএস মামুন ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। চলতি বছরের জুনের মধ্যে তাদের সড়কটির কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
এদিকে, কাজ পাওয়ার পর সড়কের পুরনো ইট-পিচ তুলে রেখে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। তারপর থেকে প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও আর কাজ শুরু করা হয়নি। এ কারণে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সড়কটির ইট-পিচ উঠানোর কারণে বৃষ্টির সময় যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। এমনকি সড়কটি দিয়ে মানুষের পায়ে হাঁটাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। যার ফলে বিপাকে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, যানবাহন চালক, পথচারীরা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিরাজ, শাহাদাত হোসেন ও মো. পারভেজ বলেন, এই সড়কটি বছরের পর বছর বেহাল অবস্থায় ছিল। তবে কয়েক মাস আগে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে আমাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছিল। তবে ঠিকাদারের খামখেয়ালি আর গড়িমসির কারণে আমারা এখন চরম বিপাকে পড়েছি। আগে তো কোনো রকমে চলা যেতো। ঠিকাদার সড়কটির বর্তমানে এমন অবস্থা করে ফেলে রেখেছে যে, এখন বৃষ্টি হলে এই সড়কটি পানিতে ভরে থাকে। তখন আমাদের চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এখান দিয়ে শত শত মানুষ প্রতিনিয়ত চলাচল করছেন। তাই আমরা চাই জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির সংস্কার দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন শেষ করা হয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএস মামুন ট্রেডার্সের কর্ণধার মো. মাকসুদুর রহমান জানান, খুব শিগগিরই সড়কটির কাজ শুরু করবো এবং যথা সময়ের মধ্যেই শেষ করবো।
এ বিষয়ে এলজিইডির লালমোহন  উপজেলা প্রকৌশলী রাজীব সাহা বলেন, সড়কটির সংস্কার কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি তারা দ্রুতই সংস্কার কাজ শেষ করবেন।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে ঠিকাদারের গাফিলতিতে জনভোগান্তি চরমে

আপডেটের সময় ০৭:২৮:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : ভোলার  লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ডা. আজাহার উদ্দিন রোড থেকে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা বাজার সড়ক। বিশেষ কারণে দীর্ঘদিন ধরে সড়কটিতে লাগেনি কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া। বছরের পর বছর ধরে খানাখন্দে বেহাল হয়ে পড়েছিল সড়কটি। তবে দেশের পটপরিবর্তনের পর সে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। যার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। তবে বরাদ্দ পেয়ে সড়কের পুরনো ইট-পিচ তুলে রেখে চলে যায় ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এতে আরো দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দাসহ পথচারীরা।
লালমোহন উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জিওবি মেইনটেন্যান্সের আওতায় রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ডা. আজাহার উদ্দিন রোড থেকে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা বাজার সড়কের ৮৫০ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ৫১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সড়কটি সংস্কারের জন্য কাজ পান ভোলার এমএস মামুন ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। চলতি বছরের জুনের মধ্যে তাদের সড়কটির কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
এদিকে, কাজ পাওয়ার পর সড়কের পুরনো ইট-পিচ তুলে রেখে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। তারপর থেকে প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও আর কাজ শুরু করা হয়নি। এ কারণে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সড়কটির ইট-পিচ উঠানোর কারণে বৃষ্টির সময় যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। এমনকি সড়কটি দিয়ে মানুষের পায়ে হাঁটাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। যার ফলে বিপাকে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, যানবাহন চালক, পথচারীরা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিরাজ, শাহাদাত হোসেন ও মো. পারভেজ বলেন, এই সড়কটি বছরের পর বছর বেহাল অবস্থায় ছিল। তবে কয়েক মাস আগে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে আমাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছিল। তবে ঠিকাদারের খামখেয়ালি আর গড়িমসির কারণে আমারা এখন চরম বিপাকে পড়েছি। আগে তো কোনো রকমে চলা যেতো। ঠিকাদার সড়কটির বর্তমানে এমন অবস্থা করে ফেলে রেখেছে যে, এখন বৃষ্টি হলে এই সড়কটি পানিতে ভরে থাকে। তখন আমাদের চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এখান দিয়ে শত শত মানুষ প্রতিনিয়ত চলাচল করছেন। তাই আমরা চাই জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির সংস্কার দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন শেষ করা হয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএস মামুন ট্রেডার্সের কর্ণধার মো. মাকসুদুর রহমান জানান, খুব শিগগিরই সড়কটির কাজ শুরু করবো এবং যথা সময়ের মধ্যেই শেষ করবো।
এ বিষয়ে এলজিইডির লালমোহন  উপজেলা প্রকৌশলী রাজীব সাহা বলেন, সড়কটির সংস্কার কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি তারা দ্রুতই সংস্কার কাজ শেষ করবেন।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস