ভিয়েনা ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযান

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৪ সময় দেখুন

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

দুদকের একটি বিশেষ দল প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানায়, টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন এবং সমাপ্ত প্রকল্পে একাধিক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। এসব অনিয়মের মধ্যে রয়েছে, প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না করেই বিল উত্তোলন, নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, নির্মাণমান বজায় না রাখা, কাজের সময়সূচি উপেক্ষা করে বিল উত্তোলন, এবং বিল-ভাউচারে জালিয়াতির মতো গুরুতর অভিযোগ।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একাধিক সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্ট প্রকল্পের কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে কাজের অনেকটাই অসম্পূর্ণ বা অত্যন্ত নিম্নমানের। এমনকি কিছু স্থানে কাজের কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি, অথচ বিল উত্তোলন করা হয়েছে পুরোপুরি।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম জানান, “আমরা প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু প্রকল্পের নথি যাচাই করে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি। মাঠ পর্যায়ে সরেজমিন তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে টাঙ্গাইলের কালিহাতী, মধুপুর, ভূঞাপুর ও সখীপুর উপজেলায় এলজিইডি’র প্রকল্পগুলোতেও একই ধরনের অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব দুর্নীতির কারণে প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জনগণ প্রত্যাশিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এলজিইডির একাধিক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় দুর্নীতি দিন দিন বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।

এ বিষয়ে এলজিইডির টাঙ্গাইল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

দুদক জানায়, প্রকল্পে আর্থিক অনিয়মের পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যর্থতাও অনুসন্ধানের আওতায় আনা হবে। অভিযানের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযান

আপডেটের সময় ০৫:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

দুদকের একটি বিশেষ দল প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানায়, টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন এবং সমাপ্ত প্রকল্পে একাধিক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। এসব অনিয়মের মধ্যে রয়েছে, প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না করেই বিল উত্তোলন, নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, নির্মাণমান বজায় না রাখা, কাজের সময়সূচি উপেক্ষা করে বিল উত্তোলন, এবং বিল-ভাউচারে জালিয়াতির মতো গুরুতর অভিযোগ।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একাধিক সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্ট প্রকল্পের কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে কাজের অনেকটাই অসম্পূর্ণ বা অত্যন্ত নিম্নমানের। এমনকি কিছু স্থানে কাজের কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি, অথচ বিল উত্তোলন করা হয়েছে পুরোপুরি।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম জানান, “আমরা প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু প্রকল্পের নথি যাচাই করে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি। মাঠ পর্যায়ে সরেজমিন তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে টাঙ্গাইলের কালিহাতী, মধুপুর, ভূঞাপুর ও সখীপুর উপজেলায় এলজিইডি’র প্রকল্পগুলোতেও একই ধরনের অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব দুর্নীতির কারণে প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জনগণ প্রত্যাশিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এলজিইডির একাধিক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় দুর্নীতি দিন দিন বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।

এ বিষয়ে এলজিইডির টাঙ্গাইল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

দুদক জানায়, প্রকল্পে আর্থিক অনিয়মের পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যর্থতাও অনুসন্ধানের আওতায় আনা হবে। অভিযানের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস