ভিয়েনা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:২৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ৬ সময় দেখুন

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : ভোলার লালমোহন উপজেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন বিস্তীর্ণ মাঠে দৃষ্টি পড়লেই মনে হচ্ছে এ যেন ভুট্টার সাম্রাজ্য। জমিতে ফলন ভালো দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখেও। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়
এবং গত বছরের তুলনায় এবার এই উপজেলায় বেড়েছে ভুট্টার আবাদ। প্রতি বছর ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন নতুন নতুন চাষিরা। ভুট্টা চাষে খরচ কম, অথচ ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেশি দেখা দিয়েছে। বর্তমানে জমি থেকে ভুট্টা সংগ্রহের জন্য প্রহর গুণছেন এই উপজেলার চাষিরা।
লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি বছর এই উপজেলায় ৭০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। গত বছর যার পরিমাণ ছিল সাড়ে পাঁচশত হেক্টরের মতো। উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের চাষিরা এ বছর সবচেয়ে বেশি ভুট্টার আবাদ করেছেন। চাষিদের আবাদকৃত জমিতে কহিনূর, হাইব্রিড ডন-১১১, লাকি-৭, হাইব্রিড উত্তরণসহ আরও কয়েকটি উন্নত জাতের ভুট্টা রয়েছে। বীজ রোপণের ১৪৫ দিনের মধ্যে চাষিরা তাদের জমি থেকে ভুট্টার ফলন সংগ্রহ করতে পারেন। আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের ভেতর লালমোহন উপজেলার চাষিরা তাদের ক্ষেত থেকে ভুট্টা সংগ্রহ শেষ করবেন। প্রতি মণ ভুট্টা বাজারে পাইকারি ৯০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।
উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝগ্রাম এলাকার চাষি মো. কামাল হোসেন বলেন, এ বছর ৩৩ শতাংশ জমিতে কৃষি অফিসের প্রর্দশনীর আওতায় ভুট্টা চাষ করেছি। এ জন্য কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জমিতে আশানুরূপ ফলন রয়েছে। আগামী ২০ দিনের মধ্যেই জমি থেকে ভুট্টা সংগ্রহ করতে পারবো। এই ভুট্টা চাষে এবার প্রায় ১৫ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। আশা করছি ফলন সংগ্রহ শেষে অন্তত ৩৫ হাজার টাকার ভুট্টা বিক্রি করতে পারবো।
একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়া এলাকার ভুট্টা চাষি মো. মনজু জানান, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই আমি ভুট্টা চাষ করছি। এ বছর ৩০০ শতাংশ জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। পানির জন্য কিছুটা ব্যাঘ পেতে হলেও বর্তমানে ক্ষেতে ভালো ফলন রয়েছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়াও ঠিক রয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সব জমির ভুট্টা সংগ্রহ করতে পারবো। এই ভুট্টা চাষে এবার জমি লিজ, বীজ-সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ বাবৎ প্রায় ১ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। তবে আশা করছি জমির সব ফলন সংগ্রহ শেষে অন্তত আড়াই লাখ টাকার ভুট্টা বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবু হাসনাইন বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে ভুট্টা চাষিদের বিনামূল্যে সার ও বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া কৃষকদের অনুকূলে থাকায় এবার এই উপজেলার চাষিরা ভুট্টার ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারাও মাঠ পর্যায়ে গিয়ে নিয়মিত এসব ভুট্টা চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। তাই আশা করছি এ বছর ভুট্টা চাষিরা ফলন সংগ্রহ করে আশানুরূপ লাভবান হবেন।

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

আপডেটের সময় ০২:২৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : ভোলার লালমোহন উপজেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন বিস্তীর্ণ মাঠে দৃষ্টি পড়লেই মনে হচ্ছে এ যেন ভুট্টার সাম্রাজ্য। জমিতে ফলন ভালো দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখেও। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়
এবং গত বছরের তুলনায় এবার এই উপজেলায় বেড়েছে ভুট্টার আবাদ। প্রতি বছর ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন নতুন নতুন চাষিরা। ভুট্টা চাষে খরচ কম, অথচ ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেশি দেখা দিয়েছে। বর্তমানে জমি থেকে ভুট্টা সংগ্রহের জন্য প্রহর গুণছেন এই উপজেলার চাষিরা।
লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি বছর এই উপজেলায় ৭০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। গত বছর যার পরিমাণ ছিল সাড়ে পাঁচশত হেক্টরের মতো। উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের চাষিরা এ বছর সবচেয়ে বেশি ভুট্টার আবাদ করেছেন। চাষিদের আবাদকৃত জমিতে কহিনূর, হাইব্রিড ডন-১১১, লাকি-৭, হাইব্রিড উত্তরণসহ আরও কয়েকটি উন্নত জাতের ভুট্টা রয়েছে। বীজ রোপণের ১৪৫ দিনের মধ্যে চাষিরা তাদের জমি থেকে ভুট্টার ফলন সংগ্রহ করতে পারেন। আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের ভেতর লালমোহন উপজেলার চাষিরা তাদের ক্ষেত থেকে ভুট্টা সংগ্রহ শেষ করবেন। প্রতি মণ ভুট্টা বাজারে পাইকারি ৯০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।
উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝগ্রাম এলাকার চাষি মো. কামাল হোসেন বলেন, এ বছর ৩৩ শতাংশ জমিতে কৃষি অফিসের প্রর্দশনীর আওতায় ভুট্টা চাষ করেছি। এ জন্য কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জমিতে আশানুরূপ ফলন রয়েছে। আগামী ২০ দিনের মধ্যেই জমি থেকে ভুট্টা সংগ্রহ করতে পারবো। এই ভুট্টা চাষে এবার প্রায় ১৫ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। আশা করছি ফলন সংগ্রহ শেষে অন্তত ৩৫ হাজার টাকার ভুট্টা বিক্রি করতে পারবো।
একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়া এলাকার ভুট্টা চাষি মো. মনজু জানান, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই আমি ভুট্টা চাষ করছি। এ বছর ৩০০ শতাংশ জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। পানির জন্য কিছুটা ব্যাঘ পেতে হলেও বর্তমানে ক্ষেতে ভালো ফলন রয়েছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়াও ঠিক রয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সব জমির ভুট্টা সংগ্রহ করতে পারবো। এই ভুট্টা চাষে এবার জমি লিজ, বীজ-সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ বাবৎ প্রায় ১ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। তবে আশা করছি জমির সব ফলন সংগ্রহ শেষে অন্তত আড়াই লাখ টাকার ভুট্টা বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবু হাসনাইন বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে ভুট্টা চাষিদের বিনামূল্যে সার ও বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া কৃষকদের অনুকূলে থাকায় এবার এই উপজেলার চাষিরা ভুট্টার ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারাও মাঠ পর্যায়ে গিয়ে নিয়মিত এসব ভুট্টা চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। তাই আশা করছি এ বছর ভুট্টা চাষিরা ফলন সংগ্রহ করে আশানুরূপ লাভবান হবেন।