ভিয়েনা ১১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চরফ্যাশনে অপহৃত পর্যটক উদ্ধার

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:৩৯:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • ৪ সময় দেখুন

শহিদুল ইসলাম জামাল, চরফ্যাশন : ভোলার চরফ্যাশনে  অপহরণের ৩দিন পর অপহৃত পর্যটক মো. রাশেদ (১৮)কে একটি আবাসিক হোটেল থেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেছে চরফ্যাশন থানা পুুলিশ।

শনিবার (১৫ জুন) রাতে চরফ্যাশন সদর রোডের হোটেল বকসির ৪০১নম্বর কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় দুই অপহরণকারী  মিরাজ (৩০) ও জুয়েল (৩০) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। রোববার গ্রেফতারকৃত দুই অপহরণকারীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভোলা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার সাকিনের ওহাব আলীর ছেলে রাশেদ ঢাকার মীরপুরের আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড ট্যাকনোলজী’র ছাত্র। মেয়ে বন্ধুর সাথে দেখা করা এবং চরফ্যাশনের পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখতে গত ১৩ মার্চ সকালে ঢাকা থেকে চরফ্যাশন আসেন। এখানে এসেই ফ্যাসন স্কয়ার থেকে তিনি অপহৃত হন। দুপুরের আগেই ইভান, মিরাজ বকসী এবং জুয়েলসহ অজ্ঞাত ২/৩ যুবক ফ্যাসন স্কয়ার থেকে রাশেদকে তুলে সদর রোডের গ্রীণ প্যালেস হোটেলের ২০৯ নম্বর কক্ষে নিয়ে আটক রাখে। ওই দিন বিকেলে অপহরণকারীরা রাশেদকে  গ্রীণ প্যালেস থেকে সরিয়ে হোটেল বকসীর ৪০১ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায় এবং সেখানে দুইদিন অবরুদ্ধ করে রাখেন। এবং অপহৃত রাশেদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
অপহরণের সংবাদ পেয়ে রাশেদের চাচাতো ভাই রাসেল (১৫ মার্চ) সকালে  টাঙ্গাইল থেকে চরফ্যাশন আসেন এবং চরফ্যাশন থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

পরে সহকারী পুলিশ সুপার (চরফ্যাশন সার্কেল) মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হোটেল বকসীতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অপহৃত যুবক মো. রাশেদকে উদ্ধার করেন।

রাশেদ ও হোটেল কর্মচারীদের ভাষ্যমতে, অপহরণে জড়িত মিরাজ ও জুয়েলকে অভিযান চালিয়ে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিরাজ কুলসুমবাগ সাকিনের আবুল কাশেমের ছেলে এবং জুয়েল হাজারীগঞ্জের ৭নম্বর ওয়ার্ডের  মফিজুল ইসলামের ছেলে। অপহরণকারী চক্রের অপর সদস্য ইভানসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন চরফ্যাশন থানার অফিসার ইন চার্জ মিজানুর রহামান হাওলাদার।

ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

চরফ্যাশনে অপহৃত পর্যটক উদ্ধার

আপডেটের সময় ০২:৩৯:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

শহিদুল ইসলাম জামাল, চরফ্যাশন : ভোলার চরফ্যাশনে  অপহরণের ৩দিন পর অপহৃত পর্যটক মো. রাশেদ (১৮)কে একটি আবাসিক হোটেল থেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেছে চরফ্যাশন থানা পুুলিশ।

শনিবার (১৫ জুন) রাতে চরফ্যাশন সদর রোডের হোটেল বকসির ৪০১নম্বর কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় দুই অপহরণকারী  মিরাজ (৩০) ও জুয়েল (৩০) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। রোববার গ্রেফতারকৃত দুই অপহরণকারীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভোলা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার সাকিনের ওহাব আলীর ছেলে রাশেদ ঢাকার মীরপুরের আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড ট্যাকনোলজী’র ছাত্র। মেয়ে বন্ধুর সাথে দেখা করা এবং চরফ্যাশনের পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখতে গত ১৩ মার্চ সকালে ঢাকা থেকে চরফ্যাশন আসেন। এখানে এসেই ফ্যাসন স্কয়ার থেকে তিনি অপহৃত হন। দুপুরের আগেই ইভান, মিরাজ বকসী এবং জুয়েলসহ অজ্ঞাত ২/৩ যুবক ফ্যাসন স্কয়ার থেকে রাশেদকে তুলে সদর রোডের গ্রীণ প্যালেস হোটেলের ২০৯ নম্বর কক্ষে নিয়ে আটক রাখে। ওই দিন বিকেলে অপহরণকারীরা রাশেদকে  গ্রীণ প্যালেস থেকে সরিয়ে হোটেল বকসীর ৪০১ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায় এবং সেখানে দুইদিন অবরুদ্ধ করে রাখেন। এবং অপহৃত রাশেদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
অপহরণের সংবাদ পেয়ে রাশেদের চাচাতো ভাই রাসেল (১৫ মার্চ) সকালে  টাঙ্গাইল থেকে চরফ্যাশন আসেন এবং চরফ্যাশন থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

পরে সহকারী পুলিশ সুপার (চরফ্যাশন সার্কেল) মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হোটেল বকসীতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অপহৃত যুবক মো. রাশেদকে উদ্ধার করেন।

রাশেদ ও হোটেল কর্মচারীদের ভাষ্যমতে, অপহরণে জড়িত মিরাজ ও জুয়েলকে অভিযান চালিয়ে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিরাজ কুলসুমবাগ সাকিনের আবুল কাশেমের ছেলে এবং জুয়েল হাজারীগঞ্জের ৭নম্বর ওয়ার্ডের  মফিজুল ইসলামের ছেলে। অপহরণকারী চক্রের অপর সদস্য ইভানসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন চরফ্যাশন থানার অফিসার ইন চার্জ মিজানুর রহামান হাওলাদার।

ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস