ভিয়েনা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণ-অভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তির পুনরুত্থান যেন না ঘটে: তারেক রহমান

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:০৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৬ সময় দেখুন

ইবিটাইমস ডেস্ক: গণতান্ত্রিক শক্তিকে সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তির পুনরুত্থান যেন না ঘটে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান। ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতিটি দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

ছাত্র-জনতা অপশক্তিকে প্রতিহত করেছে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদের দল আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সঙ্গে দীর্ঘ ষোল বছর একত্রিত হয়ে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক মানবাধিকারকে ক্রমাগতভাবে হরণ করেছিল। তারা নিরপেক্ষ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে মুছে দিয়েছিল। ৫ আগস্ট এই অপশক্তিকে প্রতিহত করে ছাত্র-জনতার বিপুল তরঙ্গ। এই পরাজিত শক্তির যাতে পুণরুত্থান না ঘটে সেজন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

৬ ডিসেম্বর জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯০ সালের এ দিনে দীর্ঘ ৯ বছরের রক্তস্নাত আন্দোলনের পর পতন ঘটেছিল স্বৈরশাসনের। এরশাদ ‘৮২’র ২৪ মার্চ পেশাগত বিশ্বস্ততা ও শপথ ভেঙে অস্ত্রের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্র নস্যাৎ ও সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজনীতির পথচলা স্তব্ধ করেছিলেন। যে সাংবিধানিক রাজনীতি ছিল বহুদলীয় ও বহুমাত্রিক, যার সূচনা করেছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

স্বৈরাচারী হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করে তারেক রহমান বলেন, দীর্ঘ নয় বছর আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণআন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ‘৯০ এর ৬ ডিসেম্বর এই দিনে ছাত্র-জনতার মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিল গণতন্ত্র। সেই অর্জিত গণতন্ত্রের চেতনায় আবারও ছাত্র-জনতা ২৪ সালের ৫ আগস্ট এক হিংস্র ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করে।

ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ ছিল গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুঃশাসনের অবসানের পর আবারও গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ পুনরুজ্জীবন এবং রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের নিরলস সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। শেখ হাসিনার দুঃশাসনে ‘গণতন্ত্রের মা” দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর জেল-জুলুমসহ নানামাত্রিক নিপীড়ন নামিয়ে আনা হয়েছিল। দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে অত্যাচার-নির্যাতনের অক্টোপাশে আঁকড়িয়ে রাখা হয়েছিল। সারাদেশকে শ্বাসরুদ্ধকর কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

ডেস্ক/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

গণ-অভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তির পুনরুত্থান যেন না ঘটে: তারেক রহমান

আপডেটের সময় ০৮:০৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ইবিটাইমস ডেস্ক: গণতান্ত্রিক শক্তিকে সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তির পুনরুত্থান যেন না ঘটে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান। ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতিটি দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

ছাত্র-জনতা অপশক্তিকে প্রতিহত করেছে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদের দল আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সঙ্গে দীর্ঘ ষোল বছর একত্রিত হয়ে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক মানবাধিকারকে ক্রমাগতভাবে হরণ করেছিল। তারা নিরপেক্ষ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে মুছে দিয়েছিল। ৫ আগস্ট এই অপশক্তিকে প্রতিহত করে ছাত্র-জনতার বিপুল তরঙ্গ। এই পরাজিত শক্তির যাতে পুণরুত্থান না ঘটে সেজন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

৬ ডিসেম্বর জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯০ সালের এ দিনে দীর্ঘ ৯ বছরের রক্তস্নাত আন্দোলনের পর পতন ঘটেছিল স্বৈরশাসনের। এরশাদ ‘৮২’র ২৪ মার্চ পেশাগত বিশ্বস্ততা ও শপথ ভেঙে অস্ত্রের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্র নস্যাৎ ও সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজনীতির পথচলা স্তব্ধ করেছিলেন। যে সাংবিধানিক রাজনীতি ছিল বহুদলীয় ও বহুমাত্রিক, যার সূচনা করেছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

স্বৈরাচারী হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করে তারেক রহমান বলেন, দীর্ঘ নয় বছর আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণআন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ‘৯০ এর ৬ ডিসেম্বর এই দিনে ছাত্র-জনতার মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিল গণতন্ত্র। সেই অর্জিত গণতন্ত্রের চেতনায় আবারও ছাত্র-জনতা ২৪ সালের ৫ আগস্ট এক হিংস্র ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করে।

ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ ছিল গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুঃশাসনের অবসানের পর আবারও গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ পুনরুজ্জীবন এবং রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের নিরলস সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। শেখ হাসিনার দুঃশাসনে ‘গণতন্ত্রের মা” দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর জেল-জুলুমসহ নানামাত্রিক নিপীড়ন নামিয়ে আনা হয়েছিল। দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে অত্যাচার-নির্যাতনের অক্টোপাশে আঁকড়িয়ে রাখা হয়েছিল। সারাদেশকে শ্বাসরুদ্ধকর কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

ডেস্ক/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন