ভিয়েনা ১২:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
টাঙ্গাইলে ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল নাগরপুরে অপহরণের ৫ মাসেও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী সখীপুরের ফাইলা পাগলার মেলা বন্ধ ঘোষণা সংবাদ প্রকাশের পর লালমোহনের সেই সড়কের পুনঃসংস্কার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি ঝালকাঠিতে ১২৩ কোটি টাকার সেতু নির্মাণে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা ওসমান হাদির স্মরণে ঝালকাঠিতে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের দোয়া অনাবাদি ও বসতবাড়ির আঙিনায় সবজি উৎপাদনের জন্য বিনামূল্যে উপকরণ বিতরণ সরকারের ব্যর্থতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি হয়েছে: মির্জা ফখরুল নির্বাচন আয়োজনে গুরুদায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অবকাশ নেই : সিইসি

ছাত্রসমাজ রাস্তায় নেমে ফ্যাসিজমের দু:শাসন মোকাবেলা করেছে- মেজর হাফিজ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ২৪ সময় দেখুন

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, ১৯৭১ সালে যে ছাত্ররা দেশের স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে, বীরদর্পে লড়াই করেছে। আবারো এত বছর পর ছাত্রসমাজ রাস্তায় নেমে এসে ফ্যাসিজমের দু:শাসন মোকাবেলা করেছে এবং গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশকে উম্মুক্ত করেছে। ১৯৭১ সালে আমার অধিনে ৫শত ছাত্র ছিলো। তাদেরকে ট্রেনিং দিয়েছি, তারপর তারা বীরদর্পে কামানের গোলা ফেরিয়ে শত্রুর সাথে হাতাহাতি যুদ্ধ করেছে, জীবন দিয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর ভেবে ছিলাম এদেশে আর গণজাগরণ হবে না। দু:শাসনের কারণে এদেশের সাধারণ মানুষ ও ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমেছে। এবারের ছাত্রদের হাতে কোনা অস্ত্র ছিলোনা, তাদের উপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। আরমার পার্সোনাল ক্যারিয়ার থেকে গুলি করে প্রায় দুহাজার মানুষ হত্যা করেছে। তাদের অধিকাংশই ছাত্র।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের হাজার হাজার নিরিহ মানুষ যার মধ্যে অনেক ছাত্র ছাত্রীকে হত্যা করেছিলো। এই হত্যা যজ্ঞের প্রতিবাদে অস্ত্রধারণ করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা ছাড়া আমাদের আর কোনা বিকল্প কোনো পথ ছিলো না। তখন আমরা গড়েছিলাম মুক্তি বাহিনী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এক বীরপুরুষ। যার নাম মেজর জিয়াউর রহমান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি হয়ে গেছে। কারা দেশটাকে স্বাধীন করেছে জনগনকে জানতে দেয়া হয়নি। এটি রাজনীতিবিদরা সুকৌশলে আড়াল করে রাখেন। জাতিকে ধারণা দেয়া হয়েছে কয়েকটা বক্তিতাতে এই দেশ স্বাধীন হয়ে গিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে কেবলমাত্র আতœদানের বিনিময়ে জীবন উৎসর্ঘ করার বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। অনেক উচ্চমূল্যে আমাদেরকে স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ভোলার লালমোহন করিমুন্নেছা হাফিজ মহিলা কলেজে সংবর্ধণা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

করিমুন্নেছা হাফিজ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্বাছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে, মেজর হাফিজ আরো বলেন, একটি জাতিকে উন্নত করতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন একান্তই অপরিহার্য। এদেশে শিক্ষিত মানুষ সৃষ্টি করতে পারি তাহলে তারাই এ দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাবে। এক সময় লালমোহন একটি অবহেলিত জনপদ ছিলো। শিক্ষার দিক দিয়েও পিছিয়ে ছিলো। এই চিন্তা করেই এখানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছি। ছাত্রছাত্রীরা দেশের ভবিষ্যৎ।
আলোচনা সভার পূর্বে কলেজের শিক্ষমন্ডলী প্রধান অতিথি, অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও এডহক কমিটির সভাপতি মেজর হাফিজকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। এরপর নতুন শিক্ষার্থীদেরকে ফুলদিয়ে বরণ করেন শিক্ষকমন্ডলী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক মো. ফরিদ উদ্দিন, সোহেল আজিজ শাহীন, শফিউল্যাহ হাওলাদার, লালমোহন পৌর বিএনপির আহবায়ক সাদেক ঝান্টু, কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীবৃন্দ।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

টাঙ্গাইলে ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ছাত্রসমাজ রাস্তায় নেমে ফ্যাসিজমের দু:শাসন মোকাবেলা করেছে- মেজর হাফিজ

আপডেটের সময় ০১:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, ১৯৭১ সালে যে ছাত্ররা দেশের স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে, বীরদর্পে লড়াই করেছে। আবারো এত বছর পর ছাত্রসমাজ রাস্তায় নেমে এসে ফ্যাসিজমের দু:শাসন মোকাবেলা করেছে এবং গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশকে উম্মুক্ত করেছে। ১৯৭১ সালে আমার অধিনে ৫শত ছাত্র ছিলো। তাদেরকে ট্রেনিং দিয়েছি, তারপর তারা বীরদর্পে কামানের গোলা ফেরিয়ে শত্রুর সাথে হাতাহাতি যুদ্ধ করেছে, জীবন দিয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর ভেবে ছিলাম এদেশে আর গণজাগরণ হবে না। দু:শাসনের কারণে এদেশের সাধারণ মানুষ ও ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমেছে। এবারের ছাত্রদের হাতে কোনা অস্ত্র ছিলোনা, তাদের উপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। আরমার পার্সোনাল ক্যারিয়ার থেকে গুলি করে প্রায় দুহাজার মানুষ হত্যা করেছে। তাদের অধিকাংশই ছাত্র।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের হাজার হাজার নিরিহ মানুষ যার মধ্যে অনেক ছাত্র ছাত্রীকে হত্যা করেছিলো। এই হত্যা যজ্ঞের প্রতিবাদে অস্ত্রধারণ করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা ছাড়া আমাদের আর কোনা বিকল্প কোনো পথ ছিলো না। তখন আমরা গড়েছিলাম মুক্তি বাহিনী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এক বীরপুরুষ। যার নাম মেজর জিয়াউর রহমান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি হয়ে গেছে। কারা দেশটাকে স্বাধীন করেছে জনগনকে জানতে দেয়া হয়নি। এটি রাজনীতিবিদরা সুকৌশলে আড়াল করে রাখেন। জাতিকে ধারণা দেয়া হয়েছে কয়েকটা বক্তিতাতে এই দেশ স্বাধীন হয়ে গিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে কেবলমাত্র আতœদানের বিনিময়ে জীবন উৎসর্ঘ করার বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। অনেক উচ্চমূল্যে আমাদেরকে স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ভোলার লালমোহন করিমুন্নেছা হাফিজ মহিলা কলেজে সংবর্ধণা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

করিমুন্নেছা হাফিজ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্বাছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে, মেজর হাফিজ আরো বলেন, একটি জাতিকে উন্নত করতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন একান্তই অপরিহার্য। এদেশে শিক্ষিত মানুষ সৃষ্টি করতে পারি তাহলে তারাই এ দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাবে। এক সময় লালমোহন একটি অবহেলিত জনপদ ছিলো। শিক্ষার দিক দিয়েও পিছিয়ে ছিলো। এই চিন্তা করেই এখানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছি। ছাত্রছাত্রীরা দেশের ভবিষ্যৎ।
আলোচনা সভার পূর্বে কলেজের শিক্ষমন্ডলী প্রধান অতিথি, অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও এডহক কমিটির সভাপতি মেজর হাফিজকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। এরপর নতুন শিক্ষার্থীদেরকে ফুলদিয়ে বরণ করেন শিক্ষকমন্ডলী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক মো. ফরিদ উদ্দিন, সোহেল আজিজ শাহীন, শফিউল্যাহ হাওলাদার, লালমোহন পৌর বিএনপির আহবায়ক সাদেক ঝান্টু, কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীবৃন্দ।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস