ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি পৌরসভায় নিজস্ব অর্থায়নে ১ কোটি ৩৩ লাখ ১২ হাজার ৩৭৭ টাকা ব্যয়ে নদীর উৎস ধারা থেকে শহরের মধ্যে প্রবাহিত মরে যাওয়া ও বেদখল হওয়া ৭টি খাল খনন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
খালগুলি হচ্ছে হালিমা থানা রোড হতে সুগন্ধা নদী (টিনপট্টি খাল) খনন ১৭ লক্ষ ৮২ হাজার ৬১২ টাকা, কোর্ট রোড হতে সুগন্ধা নদী (থানা) খাল ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৮০৬ টাকা, রুপনগর হতে সুগন্ধা নদী হয়ে চঁাদকাঠী জেলেপাড়া পর্যন্ত ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯৮ টাকা, ফকিরবাড়ির কালবার্ট হতে টাউন মসজিদ পর্যন্ত খাল খনন ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা, উপজেলা পরিষদ হতে টাউন মসজিদ ডাক্তারপট্টি খাল খনন ৩৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৭১ টাকা, ঝালকাঠি ঈদগাহ হতে সুগন্ধা নদী (মসজিদ বাড়ী খাল) খনন ১১ লাখ ২৫ হাজার ১৭২ টাকা, গুরুধাম নদী হতে মৎস্য খামারের পিছন পর্যন্ত (কবিরাজবাড়ী খাল) খনন ২০ লাখ ৫২ হাজার ৪২৭ টাকা ব্যয়ে খননের কাজ শুরু হয়েছে।
এই খালগুলির মধ্যে কোর্ট হইতে সুগন্ধা নদী পর্যন্ত থানা খালের কিছু অংশ ইতিপূর্বে ডিপ ড্রেন আকারে নির্মাণ করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের পিছন থেকে নদী পর্যন্ত খাল খননের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে যে অংশে ডিপ ড্রেন করা হয়েছে তা অপসারন না করে খাল খনন করা হলে খননের সুফল পাওয়া যাবে না। অন্যদিকে রুপনগর হতে সুগন্ধা নদী হয়ে চঁাদকাঠি জেলাপাড়া পর্যন্ত খাল খনন শনিবার হঠাৎ করে জেলেপাড়া এলাকা থেকে মাঝখান থেকে খাল খনন শুরু করা হলে এলাকার লোকজন আপত্তি তোলে তাদের বক্তব্য চঁাদকাঠীর চৌমাথা থেকে অথবা নদীর অংশ থেকে যেকোন একদিক থেকে খাল খনন করার প্রয়োজন ছিল তা না করে মাঝখান থেকে খাল খনন এলাকার মানুষের কাছে বিতর্কিত মনে হয়েছে। তবে আপত্তির প্রেক্ষিতে রবিবার থেকে সুগন্ধা নদীর এই খালের উৎস মুখ থেকে খননের কাজ শুরু হবে।
অন্যদিকে চাদকাঠী চৌমাথা থেকে জেলেপাড়া লাভলু সরদারের অংশের অাগ পর্যন্ত জোড়াপোলের উত্তরাংশে এই খালের অর্ধেক পরিমাণ অংশ ১০ ফুট প্রশস্ত করা হচ্ছে তারপর সেই জোড়াপোল থেকে জেলেপাড়া হয়ে নদী পর্যন্ত ২৫ফুট থেকে ৩০ ফুট কাটার মার্কিং দেওয়া হয়েছে। খাল কাটতে আসা পৌরকর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে চঁাদকাঠি চৌমাথা থেকে দক্ষিন দিকে জোড়াপোল পর্যন্ত খালের উভয় দিকের বসবাসকারী নাগরিকরা কৌশল করে নতুন বিএসে এই খালকে ১০ ফুট প্রশস্ত রেখে নকশা অনুমোদন করিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ বিগত সরকারের আমলে এই এলাকার কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদের ছত্রছায়ায় ফলে এই দুই খালের উভয় পারে বসবাসকারী এই নাগরিকরা কৌশল করে এই সুবিধা নেওয়ার জন্য ২০ থেকে ২৫ ফুটের খাল এই অংশে ১০ ফুট করেছে। এই ক্ষেত্রে পৌরসভার এই সংক্রান্ত সারভেয়ার ও কর্মকর্তারা কাউন্সিলর দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন। এখন এই বৈষম্য দাপ্তরিক হলেও মেনে নিতে পারছে না জেলেপাড়া থেকে অবশিষ্ট অংশের নাগরিকরা। তাদের দাবী ভূমিদস্যূদের কৌশল করে খালকে ১০ ফুট করে সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি বাদ দিতে হবে এবং প্রয়োজনে পুরোনো বিএসের নকশা অনুযায়ী খাল পরিমাপ করে খাল খননের উদ্যোগ নিলে সকলের কাছে বিষয়টি গ্রহণযোগ্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে।
বাধন রায়/ইবিটাইমস