ভিয়েনা ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালে নেই তত্বাবধায়ক, ভঙ্গুর প্রশাসনিক ব্যবস্থা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:১৮:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৭ সময় দেখুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মদদ,হাসপাতালের খাবার ও কেনাকাটায় দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি,টেন্ডারবাণিজ্য- এমন কোনো দুষ্কর্ম নেই যা করেননি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম। নিয়মনীতির ‘থোড়াই কেয়ার’ করতেন তিনি। তবে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর তার এসব অপকর্মে জল ঢেলে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।

দুষ্কর্মের ফিরিস্তি নিয়ে তার দপ্তরে হাজির হন তারা। তোপের মুখে উপায়ন্ত না পেয়ে ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম। গত ১৯ আগষ্ট তার ছুটি শেষ হয়েছে। তবে ছুটি শেষ হলেও ছাত্রদের বাধার মুখে তত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ও নতুন করে তত্বাবধায়কের পদে কাউকে পদায়ন করেনি। ফলে হাসপাতালটির প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। আটকে যাচ্ছে গুরুত্বপুর্ণ দাপ্তরিক কাজ।

জানা গেছে, তত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম কর্মস্থল ত্যাগ করার পর সাময়িক দায়িত্বে রয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম। প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি তাকে সামলাতে হচ্ছে শিশু ওয়ার্ড, আবার পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেকভাল ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতেও খাচ্ছেন হিমশিম। তত্বাবধায়কের মতো প্রশাসনিক পদে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন আইন বহির্ভুত হলেও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা আনোয়ারুল ইসলাম অনেকটা ‘অনুরোধে ঢেঁকি গেলা’র মতো দশা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,প্রতিদিন হাসপাতালে ইনডোর ও আউটডোরে রোগী বাড়ছে। আড়াই’শ বেডের হাসপাতালটিতে ১৩২ জন শিশু,১০২ জন পুরুষ ও ৩৩৭ জন নারী রোগী ভর্তি রয়েছে। রোগীর চাপে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তত্বাবধায়ক না থাকায় কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে।
ঝিনাইদহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু হুরায়রা বলেন,‘ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক পদে খুব শীঘ্রই নতুন কাউকে দিতে পারে বলে জানতে পেরেছি। হয়তো দুই একদিন সময় লাগতে পারে।’

বিষয়টি নিয়ে তত্বাবধায়কের পদে সাময়িক দায়িত্বে থাকা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান,‘তিনি শিশু ওয়ার্ড সামলাবেন নাকি প্রশাসনিক কাজ করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। দ্রুত তত্বাবধায়ক পদে নিয়োগ না দিলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে।’

এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ জানান,‘বিষয়টি স্বাস্থ্য সচিবকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। হয়তো দ্রুতই তত্বাবধায়ক পদে নতুন কাউকে পদায়ন করা হবে।’

শেখ ইমন/ইবিটাইমস 
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

হাসপাতালে নেই তত্বাবধায়ক, ভঙ্গুর প্রশাসনিক ব্যবস্থা

আপডেটের সময় ০৬:১৮:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মদদ,হাসপাতালের খাবার ও কেনাকাটায় দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি,টেন্ডারবাণিজ্য- এমন কোনো দুষ্কর্ম নেই যা করেননি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম। নিয়মনীতির ‘থোড়াই কেয়ার’ করতেন তিনি। তবে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর তার এসব অপকর্মে জল ঢেলে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।

দুষ্কর্মের ফিরিস্তি নিয়ে তার দপ্তরে হাজির হন তারা। তোপের মুখে উপায়ন্ত না পেয়ে ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম। গত ১৯ আগষ্ট তার ছুটি শেষ হয়েছে। তবে ছুটি শেষ হলেও ছাত্রদের বাধার মুখে তত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ও নতুন করে তত্বাবধায়কের পদে কাউকে পদায়ন করেনি। ফলে হাসপাতালটির প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। আটকে যাচ্ছে গুরুত্বপুর্ণ দাপ্তরিক কাজ।

জানা গেছে, তত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম কর্মস্থল ত্যাগ করার পর সাময়িক দায়িত্বে রয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম। প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি তাকে সামলাতে হচ্ছে শিশু ওয়ার্ড, আবার পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেকভাল ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতেও খাচ্ছেন হিমশিম। তত্বাবধায়কের মতো প্রশাসনিক পদে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন আইন বহির্ভুত হলেও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা আনোয়ারুল ইসলাম অনেকটা ‘অনুরোধে ঢেঁকি গেলা’র মতো দশা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,প্রতিদিন হাসপাতালে ইনডোর ও আউটডোরে রোগী বাড়ছে। আড়াই’শ বেডের হাসপাতালটিতে ১৩২ জন শিশু,১০২ জন পুরুষ ও ৩৩৭ জন নারী রোগী ভর্তি রয়েছে। রোগীর চাপে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তত্বাবধায়ক না থাকায় কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে।
ঝিনাইদহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু হুরায়রা বলেন,‘ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক পদে খুব শীঘ্রই নতুন কাউকে দিতে পারে বলে জানতে পেরেছি। হয়তো দুই একদিন সময় লাগতে পারে।’

বিষয়টি নিয়ে তত্বাবধায়কের পদে সাময়িক দায়িত্বে থাকা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান,‘তিনি শিশু ওয়ার্ড সামলাবেন নাকি প্রশাসনিক কাজ করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। দ্রুত তত্বাবধায়ক পদে নিয়োগ না দিলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে।’

এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ জানান,‘বিষয়টি স্বাস্থ্য সচিবকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। হয়তো দ্রুতই তত্বাবধায়ক পদে নতুন কাউকে পদায়ন করা হবে।’

শেখ ইমন/ইবিটাইমস