ভিয়েনা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউক্রেন ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান চুরির চেষ্টার অভিযোগ কালিহাতীতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সিএনজিতে আগুন, এক যাত্রীর মৃত্যু টাঙ্গাইলে হাসপাতাল থেকে ১৩ দালাল আটক মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল শহর পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বােধন রাহেলা জাকির টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সভাপতি নির্বাচিত ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর আইএস বিরোধী জোটে যোগ দিচ্ছে সিরিয়া দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের তদন্ত করছে ফরেনসিক দল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী ইতালি নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার নিষিদ্ধ

নাগরপুরে বিএনপি নেতাদের নামে নীরব চাঁদাবাজি সিন্ডিটেক সক্রিয়

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১১:৪৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৩৬ সময় দেখুন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ভাঙিয়ে একটি সিন্ডিকেট নীরব চাঁদাবাজিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতারা ওই সিন্ডিকেটের মূল টার্গেট।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবির নাম ভাঙিয়ে কতিপয় নেতাকর্মী নীরব চাঁদাবাজিতে মেতে ওঠেছে। তারা আত্মগোপণে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে নানা কৌশলে চাঁদা আদায় করছে। ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার বিষয় জানাজানি হলে চাঁদার টাকা ফেরত দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

স্থানীয় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা জানায়, নাগরপুর উপজেলা যুব দলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান লাভলু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জেহাদ হোসেন ডিপটি, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন সহ আরও কয়েকজন নেতার নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। মূলত উল্লেখিত ব্যক্তিদের নেতৃত্বেই ওই সিন্ডিকেট নানা রকম অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডের জেরে উপজেলা বিএনপি বিতর্কিত হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা যায়, ভাদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী আত্মগোপণে গেলে উত্তেজিত জনতা ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে দরকষাকষির মাধ্যমে ওই সিন্ডিকেট গোপণে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে গত ১২ আগস্ট ভাদ্রা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আরশেদ আলী মাস্টার ও সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ চঞ্চল রীতিমতো সভা করে বক্তব্য রেখে পরিষদের তালা খুলে ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলীকে চেয়ারে বসিয়ে দেন। একই ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের কর্মী মো. ফালু মিয়ার কাছে ওই সিন্ডিকেট ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে তাকে গণপিটুনী দেওয়ার ভয় দেখায়। পরে দরকষাকষির মাধ্যমে দুই লাখ টাকায় রফা করা হয়। দুই লাখ টাকার মধ্যে ২৭ হাজারা টাকা নগদ পরিশোধ করে মো. ফালু মিয়া এক লাখ ৭৩ হাজার টাকার ব্যাংক চেক দেন।

ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবি বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ভাদ্রা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ চঞ্চলকে দায়িত্ব দেন।

ভাদ্রা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ চঞ্চল জানান, কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মো. ফালু মিয়ার কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা নগদ এবং এক লাখ ৭৩ হাজার টাকার ব্যাংক চেক নেওয়ার অভিযোগ জানতে পেরে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উপজেলা বিএনপি থেকে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ২৭ হাজার টাকার মধ্যে ৭ হাজার টাকা মো. ফালু মিয়ার বাড়ির লোক মো. মনিরকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি মো. ফালু মিয়ার উপস্থিতিতে সমাধান করা হয়েছে।

ভারড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ফলে তিনি আত্মগোপণ না করে নিয়মিত পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ভাঙিয়ে ওই সিন্ডিকেট মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় গত ২৯ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে দরকষাকষির মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকায় রফা হলে ১ সেপ্টেম্বর তালা খুলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিককে তার চেয়ারে বসিয়ে দেওয়া হয়।

একইভাবে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে দপ্তিয়র ইউপি চেয়ারম্যান এম. ফিরোজ সিদ্দিকী, ধুবড়িয়ায় মো. শফিকুর রহমান খান, গয়হাটায় শেখ শামছুল হক, মামুদনগরে মো.  জজ কামাল, মোকনা ইউনিয়নে মো. শরিফুল ইসলাম, বেকড়া আটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে মো.  শওকত হোসেন, নাগরপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কুদরত আলীকেও পরিষদে বসিয়ে দেওয়া হয়। সহবতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. তোফায়েল মোল্লা, পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছিদ্দিকুর রহমানও ওই সিন্ডিকেটের নীরব চাঁদাবাজির শিকার। তবে নাম উল্লেখ করে মামলা হওয়ায় সলিমাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীদুল ইসলাম অপু এখনও আত্মগোপণে রয়েছেন। এ ইউনিয়নে ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান খানকে দায়িত্ব না দিয়ে ওই সিন্ডিকেটের নির্দেশে ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা মো. মনির হোসেন ভূঁইয়াকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবি জানান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং ৫ আগস্টে তাদের পতন মেনে নিতে পারছেনা। তারাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করছে এবং এর দায় বিএনপির ওপর দেওয়ার চেষ্টা করছে। এসব অপকর্ম করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী কোনো প্রকার চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নয়।

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা/ইবিটাইমস  
জনপ্রিয়

ইউক্রেন ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান চুরির চেষ্টার অভিযোগ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

নাগরপুরে বিএনপি নেতাদের নামে নীরব চাঁদাবাজি সিন্ডিটেক সক্রিয়

আপডেটের সময় ১১:৪৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ভাঙিয়ে একটি সিন্ডিকেট নীরব চাঁদাবাজিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতারা ওই সিন্ডিকেটের মূল টার্গেট।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবির নাম ভাঙিয়ে কতিপয় নেতাকর্মী নীরব চাঁদাবাজিতে মেতে ওঠেছে। তারা আত্মগোপণে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে নানা কৌশলে চাঁদা আদায় করছে। ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার বিষয় জানাজানি হলে চাঁদার টাকা ফেরত দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

স্থানীয় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা জানায়, নাগরপুর উপজেলা যুব দলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান লাভলু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জেহাদ হোসেন ডিপটি, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন সহ আরও কয়েকজন নেতার নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। মূলত উল্লেখিত ব্যক্তিদের নেতৃত্বেই ওই সিন্ডিকেট নানা রকম অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডের জেরে উপজেলা বিএনপি বিতর্কিত হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা যায়, ভাদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী আত্মগোপণে গেলে উত্তেজিত জনতা ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে দরকষাকষির মাধ্যমে ওই সিন্ডিকেট গোপণে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে গত ১২ আগস্ট ভাদ্রা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আরশেদ আলী মাস্টার ও সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ চঞ্চল রীতিমতো সভা করে বক্তব্য রেখে পরিষদের তালা খুলে ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলীকে চেয়ারে বসিয়ে দেন। একই ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের কর্মী মো. ফালু মিয়ার কাছে ওই সিন্ডিকেট ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে তাকে গণপিটুনী দেওয়ার ভয় দেখায়। পরে দরকষাকষির মাধ্যমে দুই লাখ টাকায় রফা করা হয়। দুই লাখ টাকার মধ্যে ২৭ হাজারা টাকা নগদ পরিশোধ করে মো. ফালু মিয়া এক লাখ ৭৩ হাজার টাকার ব্যাংক চেক দেন।

ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবি বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ভাদ্রা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ চঞ্চলকে দায়িত্ব দেন।

ভাদ্রা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ চঞ্চল জানান, কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মো. ফালু মিয়ার কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা নগদ এবং এক লাখ ৭৩ হাজার টাকার ব্যাংক চেক নেওয়ার অভিযোগ জানতে পেরে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উপজেলা বিএনপি থেকে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ২৭ হাজার টাকার মধ্যে ৭ হাজার টাকা মো. ফালু মিয়ার বাড়ির লোক মো. মনিরকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি মো. ফালু মিয়ার উপস্থিতিতে সমাধান করা হয়েছে।

ভারড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ফলে তিনি আত্মগোপণ না করে নিয়মিত পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ভাঙিয়ে ওই সিন্ডিকেট মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় গত ২৯ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে দরকষাকষির মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকায় রফা হলে ১ সেপ্টেম্বর তালা খুলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিককে তার চেয়ারে বসিয়ে দেওয়া হয়।

একইভাবে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে দপ্তিয়র ইউপি চেয়ারম্যান এম. ফিরোজ সিদ্দিকী, ধুবড়িয়ায় মো. শফিকুর রহমান খান, গয়হাটায় শেখ শামছুল হক, মামুদনগরে মো.  জজ কামাল, মোকনা ইউনিয়নে মো. শরিফুল ইসলাম, বেকড়া আটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে মো.  শওকত হোসেন, নাগরপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কুদরত আলীকেও পরিষদে বসিয়ে দেওয়া হয়। সহবতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. তোফায়েল মোল্লা, পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছিদ্দিকুর রহমানও ওই সিন্ডিকেটের নীরব চাঁদাবাজির শিকার। তবে নাম উল্লেখ করে মামলা হওয়ায় সলিমাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীদুল ইসলাম অপু এখনও আত্মগোপণে রয়েছেন। এ ইউনিয়নে ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান খানকে দায়িত্ব না দিয়ে ওই সিন্ডিকেটের নির্দেশে ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা মো. মনির হোসেন ভূঁইয়াকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবি জানান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং ৫ আগস্টে তাদের পতন মেনে নিতে পারছেনা। তারাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করছে এবং এর দায় বিএনপির ওপর দেওয়ার চেষ্টা করছে। এসব অপকর্ম করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী কোনো প্রকার চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নয়।

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা/ইবিটাইমস