ভিয়েনা ০২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপিতাকে বাতিল করতে গেলে জন্ম পরিচয় থাকবে না : বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:২৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ২৩ সময় দেখুন
টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, শেখ হাসিনা আর বঙ্গবন্ধু এক নয়, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পিতা। সংসদ বাতিল হয়েছে, আজকে উপজেলা ও পৌরসভা বাতিল হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে বাতিল করবেন? তার নাম পিতা; রাষ্ট্রপিতা, রাষ্ট্রপিতাকে বাতিল করতে গেলে সন্তানের কিন্তু জন্ম পরিচয় থাকবে না। এইজন্যে একটু ভেবেচিন্তে যাবেন।
সোমবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার তালতলা চত্বরে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, দেশের অবস্থা মোটেই ভালো না। আমি অধ্যাপক ইউনূসকে খুবই পছন্দ করি। তার গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে যখন বিপদ হয়েছিল, আমি বারবার তাঁর কাছে গিয়েছি, তাকে সাহস দিয়েছি।
শেখ হাসিনাকেও বলেছি, এ রকম একটা মানুষের লেজ কাটতে যেয়ে আপনি ভালো কাজ করছেন না। তাকে আপনি সহযোগিতা করেন, সারা পৃথিবীতে তাকে ঘোরার ব্যবস্থা করে দেন, এতে আপনার লাভ হবে। কিন্তু না, উনি তার লেজ কাটতে কাটতে এখন শেখ হাসিনার লেজই কাটা হয়ে গেছে। আমার কি করার আছে?
কাদের সিদ্দিকী বলেন, সেদিন (১৫ আগস্ট) আমার গাড়ি ভেঙেছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রেখেছিল। আমাকে কেউ কেউ বলছে, জামায়াত-শিবিরের লোকেরা গাড়ি ভেঙেছে। আমি বলেছি, ওদেরকে আমি চিনি, অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন আমাকে ছায়ার মতো রাখে, আমারতো মনে হয় না জামায়াত-শিবিরের লোকেরা আমার গাড়ি ভেঙেছে। কেউ কেউ বলেছে, আপনিতো তারেক রহমানের সমালোচনা করেন, বিএনপির লোকেরা আপনার গাড়ি ভেঙেছে। আমি তাদের বলেছি, বিএনপির লোকেরা আমাকে গুরু মানে, ওস্তাদ মনে করে। আমি কি করে ভাববো তারা আমার গাড়ি ভেঙেছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, যারা আন্দোলন করেছে, তারা পৃথিবীতে একটি ইতিহাস তৈরি করেছে। কিন্তু তারা যদি এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, আজকে হাসিনার দশা যা হয়েছে, তাদের দশাও এর চাইতে কিন্তু ভালো হবে না। আমি ছাত্র বন্ধুদের যে সরলতা-সততা দেখেছি, গত ৩০ বছরে এই চোরের শাসনে তা দেখা যায় নাই। প্রতিদিন গাড়ি খুললেই টাকার বস্তা পাওয়া যায়, সব মন্ত্রীরা চোর, চুরি করার জন্য মানুষ তাদের নেতা বানায়নি।
তিনি আরও বলেন, সব সময় কেলিয়ে কেলিয়ে বলতেন-আমি মানুষের ভাতের অধিকার কায়েম করেছি, ভোটের অধিকার কায়েম করেছি। সব মানুষের ভোট চুরি করে, আর তারা ভোটের অধিকার কায়েম করেছিল। তিনবার মানুষ একটা ভোটও দিতে পারে নাই।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ভাগনে জয়, বাবা তুমি যা বল, এখানে যে মানুষগুলো আছে তাদের কষ্ট হয়। তোমার মায়ের পায়ের জুতা হয়ে যারা ছিল, তাদের এখন জীবন বাঁচে না। তুমি সকালে এক রকম আর বিকেলে আরেক রকম কথা বলে মানুষগুলোর কষ্ট আর বাড়াইয়ো না। আদব-কায়দা শেখো, বড় হও। আমেরিকায় বসে কথা বললেই তাকে বড় বলা হয় না।
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী  বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা জয়ী হয়েছে বলে বিএনপি ক্ষমতায় বসে গেছেন-এ রকম ভাববেন না। জনগণ যদি সমর্থন না করে আজকে শেখ হাসিনার যে দশা হয়েছে, আপনাদেরও সেই একই দশা হবে। দেশটা আওয়ামী লীগের না, বিএনপির না, জামায়াতের না, ১৪ দলের না, এটি ১৮ কোটি মানুষের দেশ। সেই ১৮ কোটি মানুষকে সম্মান করতে শেখেন। মানুষকে যারা সম্মান করে না, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নাই।
জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাসাইল পৌরসভা মেয়র রাহাত হাসান টিপু, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিটলু, সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীবসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা/ইবিটাইমস 
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

রাষ্ট্রপিতাকে বাতিল করতে গেলে জন্ম পরিচয় থাকবে না : বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

আপডেটের সময় ০৮:২৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, শেখ হাসিনা আর বঙ্গবন্ধু এক নয়, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পিতা। সংসদ বাতিল হয়েছে, আজকে উপজেলা ও পৌরসভা বাতিল হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে বাতিল করবেন? তার নাম পিতা; রাষ্ট্রপিতা, রাষ্ট্রপিতাকে বাতিল করতে গেলে সন্তানের কিন্তু জন্ম পরিচয় থাকবে না। এইজন্যে একটু ভেবেচিন্তে যাবেন।
সোমবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার তালতলা চত্বরে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, দেশের অবস্থা মোটেই ভালো না। আমি অধ্যাপক ইউনূসকে খুবই পছন্দ করি। তার গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে যখন বিপদ হয়েছিল, আমি বারবার তাঁর কাছে গিয়েছি, তাকে সাহস দিয়েছি।
শেখ হাসিনাকেও বলেছি, এ রকম একটা মানুষের লেজ কাটতে যেয়ে আপনি ভালো কাজ করছেন না। তাকে আপনি সহযোগিতা করেন, সারা পৃথিবীতে তাকে ঘোরার ব্যবস্থা করে দেন, এতে আপনার লাভ হবে। কিন্তু না, উনি তার লেজ কাটতে কাটতে এখন শেখ হাসিনার লেজই কাটা হয়ে গেছে। আমার কি করার আছে?
কাদের সিদ্দিকী বলেন, সেদিন (১৫ আগস্ট) আমার গাড়ি ভেঙেছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রেখেছিল। আমাকে কেউ কেউ বলছে, জামায়াত-শিবিরের লোকেরা গাড়ি ভেঙেছে। আমি বলেছি, ওদেরকে আমি চিনি, অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন আমাকে ছায়ার মতো রাখে, আমারতো মনে হয় না জামায়াত-শিবিরের লোকেরা আমার গাড়ি ভেঙেছে। কেউ কেউ বলেছে, আপনিতো তারেক রহমানের সমালোচনা করেন, বিএনপির লোকেরা আপনার গাড়ি ভেঙেছে। আমি তাদের বলেছি, বিএনপির লোকেরা আমাকে গুরু মানে, ওস্তাদ মনে করে। আমি কি করে ভাববো তারা আমার গাড়ি ভেঙেছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, যারা আন্দোলন করেছে, তারা পৃথিবীতে একটি ইতিহাস তৈরি করেছে। কিন্তু তারা যদি এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, আজকে হাসিনার দশা যা হয়েছে, তাদের দশাও এর চাইতে কিন্তু ভালো হবে না। আমি ছাত্র বন্ধুদের যে সরলতা-সততা দেখেছি, গত ৩০ বছরে এই চোরের শাসনে তা দেখা যায় নাই। প্রতিদিন গাড়ি খুললেই টাকার বস্তা পাওয়া যায়, সব মন্ত্রীরা চোর, চুরি করার জন্য মানুষ তাদের নেতা বানায়নি।
তিনি আরও বলেন, সব সময় কেলিয়ে কেলিয়ে বলতেন-আমি মানুষের ভাতের অধিকার কায়েম করেছি, ভোটের অধিকার কায়েম করেছি। সব মানুষের ভোট চুরি করে, আর তারা ভোটের অধিকার কায়েম করেছিল। তিনবার মানুষ একটা ভোটও দিতে পারে নাই।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ভাগনে জয়, বাবা তুমি যা বল, এখানে যে মানুষগুলো আছে তাদের কষ্ট হয়। তোমার মায়ের পায়ের জুতা হয়ে যারা ছিল, তাদের এখন জীবন বাঁচে না। তুমি সকালে এক রকম আর বিকেলে আরেক রকম কথা বলে মানুষগুলোর কষ্ট আর বাড়াইয়ো না। আদব-কায়দা শেখো, বড় হও। আমেরিকায় বসে কথা বললেই তাকে বড় বলা হয় না।
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী  বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা জয়ী হয়েছে বলে বিএনপি ক্ষমতায় বসে গেছেন-এ রকম ভাববেন না। জনগণ যদি সমর্থন না করে আজকে শেখ হাসিনার যে দশা হয়েছে, আপনাদেরও সেই একই দশা হবে। দেশটা আওয়ামী লীগের না, বিএনপির না, জামায়াতের না, ১৪ দলের না, এটি ১৮ কোটি মানুষের দেশ। সেই ১৮ কোটি মানুষকে সম্মান করতে শেখেন। মানুষকে যারা সম্মান করে না, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নাই।
জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাসাইল পৌরসভা মেয়র রাহাত হাসান টিপু, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিটলু, সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীবসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা/ইবিটাইমস