ভিয়েনা ০৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে ‘নবরবি’ সমিতি গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও !

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:১৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩২ সময় দেখুন

সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ‘নব রবি সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিঃ’ নামে একটি সমিতি গ্রাহকদের সঞ্চয়ের কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সমিতির ম্যানেজার, মালিকপক্ষের খোঁজ মিলছে না। বন্ধ রয়েছে সমিতির সকল কার্যক্রম। ফলে টাকা ফেরত না পাওয়ার হতাশায় ভুগছেন শতাধিক ভুক্তভোগী গ্রাহক।
সম্প্রতি সঞ্চয়ের অর্থ ফেরত দেওয়ার দাবিতে ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এবং একইদিন উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ভূঞাপুর কাঁচা বাজারে অবস্থিত ‘নব রবি সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিঃ’ নামে সমিতির অংশীদার মজনু মন্ডল, মোফাজ্জেল হোসেন মিঞ্জু, আমিনুল ইসলাম ও নবরবি ম্যানেজার হায়দার আলী কয়েকশ ব্যক্তির নিকট থেকে বিভিন্ন অংকে অর্থ হাতিয়ে নেন। পরে হঠাৎ করে এনজিও সংশ্লিষ্টরা সাইনবোড খুলে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
পশ্চিম ভূঞাপুরের ভুক্তভোগী গ্রাহক জাকিয়া বলেন, কয়েক লাখ টাকা নবরবিতে সঞ্চয় রেখেছি। সেই টাকা নবরবি ম্যানেজার হায়দার আলীর কাছে চাইলে তিনি জানান- আমি চাকরি ছেড়ে দিয়েছি, মালিকদের নিকট নেন। সমিতির অংশীদারের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও মোফাজ্জেল হোসেন মিঞ্জু কাছে নিকট গেলে তারা বলেন, ম্যানেজারের কাছে টাকা দিয়েছেন, তার নিকট থেকে নেন বলে জানিয়ে হুমকি দেয়।
ভূঞাপুর পৌর এলাকার বিরামন্দী গ্রামের ভুক্তভোগী গ্রাহক ফাতেমা বেগমের ছেলে ফারুক জানান, নবরবিতে আমার মা ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা রেখেছিল। মুনাফা বা জমাকৃত আসল টাকা চাইতে গেলে সমিতির একাধিক অংশীদার থাকায় একে অপরকে দেখিয়ে দেয় এবং তারা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়-ভীতি দেখায়’।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুরের ‘নব রবি সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিঃ’র ম্যানেজার হায়দার আলী ও অংশীদারের মধ্যে একজনকে মোবাইল করা হলে কল রিসিভ করেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান,  একটি অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুতই এ ব্যাপারে এনজিও’র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ডেকে টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা/ইবিটাইমস 
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

টাঙ্গাইলে ‘নবরবি’ সমিতি গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও !

আপডেটের সময় ০৫:১৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ‘নব রবি সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিঃ’ নামে একটি সমিতি গ্রাহকদের সঞ্চয়ের কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সমিতির ম্যানেজার, মালিকপক্ষের খোঁজ মিলছে না। বন্ধ রয়েছে সমিতির সকল কার্যক্রম। ফলে টাকা ফেরত না পাওয়ার হতাশায় ভুগছেন শতাধিক ভুক্তভোগী গ্রাহক।
সম্প্রতি সঞ্চয়ের অর্থ ফেরত দেওয়ার দাবিতে ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এবং একইদিন উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ভূঞাপুর কাঁচা বাজারে অবস্থিত ‘নব রবি সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিঃ’ নামে সমিতির অংশীদার মজনু মন্ডল, মোফাজ্জেল হোসেন মিঞ্জু, আমিনুল ইসলাম ও নবরবি ম্যানেজার হায়দার আলী কয়েকশ ব্যক্তির নিকট থেকে বিভিন্ন অংকে অর্থ হাতিয়ে নেন। পরে হঠাৎ করে এনজিও সংশ্লিষ্টরা সাইনবোড খুলে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
পশ্চিম ভূঞাপুরের ভুক্তভোগী গ্রাহক জাকিয়া বলেন, কয়েক লাখ টাকা নবরবিতে সঞ্চয় রেখেছি। সেই টাকা নবরবি ম্যানেজার হায়দার আলীর কাছে চাইলে তিনি জানান- আমি চাকরি ছেড়ে দিয়েছি, মালিকদের নিকট নেন। সমিতির অংশীদারের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও মোফাজ্জেল হোসেন মিঞ্জু কাছে নিকট গেলে তারা বলেন, ম্যানেজারের কাছে টাকা দিয়েছেন, তার নিকট থেকে নেন বলে জানিয়ে হুমকি দেয়।
ভূঞাপুর পৌর এলাকার বিরামন্দী গ্রামের ভুক্তভোগী গ্রাহক ফাতেমা বেগমের ছেলে ফারুক জানান, নবরবিতে আমার মা ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা রেখেছিল। মুনাফা বা জমাকৃত আসল টাকা চাইতে গেলে সমিতির একাধিক অংশীদার থাকায় একে অপরকে দেখিয়ে দেয় এবং তারা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়-ভীতি দেখায়’।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুরের ‘নব রবি সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিঃ’র ম্যানেজার হায়দার আলী ও অংশীদারের মধ্যে একজনকে মোবাইল করা হলে কল রিসিভ করেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান,  একটি অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুতই এ ব্যাপারে এনজিও’র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ডেকে টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা/ইবিটাইমস