লালমোহনে ২১ বছর পর ইউপি নির্বাচনের তফসিল, বন্ধে নানা ষড়যন্ত্র

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনের ৭নং পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নে দীর্ঘ প্রায় ২১বছর পর নির্বচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গত ২৩ জানুয়ারি এই ইউনিয়নে নিবাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
এতে দেখা যায় রিটার্নিং অফিসারের নিকট মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ সময় ১৩ ফেব্রুয়ারি। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি। আপিল দায়ের ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ মার্চ ২০২৪ ইং। বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৭০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী পদে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর পর পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের নির্বাচন করার জন্য মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট এপিলেট ডিভিশন সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং ৩৫৭৭/২০২২ এর আলোকে গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন করার জন্য আদেশ প্রদান করেন। নির্বাচন না হওয়ার জন্য এই আদেশের বিরুদ্ধে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ওই ইউনিয়নের  গজারিয়া এলাকার মো. অলিউল্যাহ মাতাব্বরের ছেলে মো.শাহিন আকতার হাইকোর্ট ডিভিশনে পিটিশন দাখিল করেন, যার নং-১০৭০/২০২৪। হাইকোর্ট ডিভিশন উক্ত পিটিশন খারিজ করে দেন। কেন নির্বাচন বন্ধ করতে পিটিশন দাখিল করেছেন এ প্রশ্নের জবাবে মো.শাহিন আকতার  বলেন ২০১৯ সালে পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে এবং ২০২৩ সালের ৩০ নভেন্বর মাসে  ওয়ার্ড পূনবিণ্যাস করা হয়েছে সে অনুযায়ী নির্বাচন দাবী করে হাইকোর্ট ডিভিশনে পিটিশন দাখিল করেছি ।
এরপর গত ১৩ ফেব্রয়ারি ওই ইউনিয়নের একেএম শহিদুল্যাহ নামের একজন হাইকোর্ট ডিভিশনে নির্বাচন বন্ধের জন্য পিটিশন দাখিল করেন। যা এখনো চলমান। একদিকে নির্বাচন বন্ধের জন্য পিটিশন দাখিল করেছেন একেএম শহিদুল্যাহ অন্যদিকে তিনি নিজেই নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নির্বাচন বন্ধের পিটিশন দাখিলের ব্যাপারে তার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর পর নির্বাচনের তফসিল ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুনার পর থেকেই ওই ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে গুজব ছড়াচ্ছেন নির্বাচন হবে না। আসলেই কি নির্বাচন হবে? না আবার বন্ধ হয়ে যাবে। তবে সাধারণ ভোটারেরা সুষ্ঠ নির্বাচনের পক্ষে। তারা ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে চাচ্ছে। এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডেও  ভোটার মোঃ মহসিন কবির বলেন গেজেট অনুযায়ী আমরা দুই ইউনিয়নের ভোট চাই।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাচন কমিশনার মো. ইউসুফ হারুন বলেন, নির্বাচন কমিশন যখন যে সিদ্ধান্ত নিবেন সে সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন করা হবে।
জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »