ভিয়েনা ০১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমোহনে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ, অধিক ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:৫৭:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৮ সময় দেখুন

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় ধানের চারা উৎপাদনে কৃষকদের রয়েছে নানা সুবিধা। এ জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে ভোলার লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসরে পক্ষ থেকে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় চারা উৎপাদনের জন্য প্রদশর্নী দেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ প্রদশর্নী দেওয়া হয়। যেখানে তিন হাজার ট্রেতে তিনশত কেজি ব্যাবিলন-৩ জাতের বীজ বপণ করা হয়েছে।

লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চর ছকিনা ব্লকে ৩২ শতাংশ জমিতে ৮৫ জন কৃষকের জন্য বিনামূল্যে সমলয় পদ্ধতির এই বীজতলা তৈরি করা হয়। যেখানে ব্যাবিলন-৩ জাতের বীজ বপণ করা হয়েছে। বপণ করা এসব বীজ ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে পরিপূর্ণ বয়স্ক চারায় পরিণত হয়। এসব চারা যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করা যায়। জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে উৎপাদন করা চারা সারিবদ্ধভাবে রোপণ করা যায়। রক্ষা মেলে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে। সমলয় পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারা লাগালে খুব সহজেই পরিচর্যা করাও সম্ভব। এ ছাড়া কৃষকরা কম খরচে অধিক লাভবান হতে পারেন।

স্থানীয় কৃষক মো. সেলিম মাল ও গাজী পন্ডিত বলেন, সাধারণভাবে আমরা বীজ বপণ করে চারা উৎপাদন করলে অনেক দিন সময় লাগে। ওই চারা আবার শ্রমিকদের দিয়ে ক্ষেতে লাগাতে হয়। এতে করে অনেক খরচ হয়। তবে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে দেওয়া সমলয় পদ্ধতির বীজতলায় চারা উৎপাদন করলে সময়ও কম লাগে। আবার এসব চারা শ্রমিক ছাড়া যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে লাগানো যায়। যার ফলে শ্রমিক খরচ অনেক কমে যাবে। আমরা দুইজন এ বছর তিন একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে উৎপাদিত এ চারা যন্ত্রের মাধ্যমে লাগাবো।

ওই এলাকার আরেক কৃষক মো. তামিম বিশ্বাস জানান, আমরা আগে কখনো সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় চারা উৎপাদন করিনি। এ বছর প্রথম কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিনামূল্যে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় চারা উৎপাদন দেখানো হয়েছে। এমনকি ওই চারা যন্ত্রের মাধ্যমে আমাদের জমিতে আবার বিনামূল্যে লাগিয়েও দেওয়া হবে। আমি এবার দুই একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে উৎপাদন করা চারা দিয়ে বোরো ধান আবাদ করবো। আশা করছি ভালো ফলন পাবো। এ বছর ভালো ফলন পেলে সামনের দিকে নিজেরাই সমলয় পদ্ধতির বীজতলায় চারা উৎপাদন করবো।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র দাস বলেন, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় বোরো ধানের চারা উৎপাদনের জন্য প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে বিনামূল্যে ৮৫ জন কৃষক-কৃষাণীকে  চারা দিয়ে তাদের জমিতে কোনো প্রকার খরচ ছাড়াই যন্ত্রের মাধ্যমে লাগিয়ে দেওয়া হবে। এই পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ করলে কৃষকরা লাভবান হবেন। আশা করছি- এবার কৃষকরা আমাদের এই প্রদর্শনীর চারা লাগিয়ে ভালো ফলন পেলে আগামীতে তারা নিজেরাই এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করবেন। এভাবে কৃষকরা চাষাবাদ করলে তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে বলেও মনে করছি।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ, অধিক ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা

আপডেটের সময় ০৫:৫৭:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় ধানের চারা উৎপাদনে কৃষকদের রয়েছে নানা সুবিধা। এ জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে ভোলার লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসরে পক্ষ থেকে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় চারা উৎপাদনের জন্য প্রদশর্নী দেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ প্রদশর্নী দেওয়া হয়। যেখানে তিন হাজার ট্রেতে তিনশত কেজি ব্যাবিলন-৩ জাতের বীজ বপণ করা হয়েছে।

লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চর ছকিনা ব্লকে ৩২ শতাংশ জমিতে ৮৫ জন কৃষকের জন্য বিনামূল্যে সমলয় পদ্ধতির এই বীজতলা তৈরি করা হয়। যেখানে ব্যাবিলন-৩ জাতের বীজ বপণ করা হয়েছে। বপণ করা এসব বীজ ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে পরিপূর্ণ বয়স্ক চারায় পরিণত হয়। এসব চারা যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করা যায়। জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে উৎপাদন করা চারা সারিবদ্ধভাবে রোপণ করা যায়। রক্ষা মেলে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে। সমলয় পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারা লাগালে খুব সহজেই পরিচর্যা করাও সম্ভব। এ ছাড়া কৃষকরা কম খরচে অধিক লাভবান হতে পারেন।

স্থানীয় কৃষক মো. সেলিম মাল ও গাজী পন্ডিত বলেন, সাধারণভাবে আমরা বীজ বপণ করে চারা উৎপাদন করলে অনেক দিন সময় লাগে। ওই চারা আবার শ্রমিকদের দিয়ে ক্ষেতে লাগাতে হয়। এতে করে অনেক খরচ হয়। তবে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে দেওয়া সমলয় পদ্ধতির বীজতলায় চারা উৎপাদন করলে সময়ও কম লাগে। আবার এসব চারা শ্রমিক ছাড়া যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে লাগানো যায়। যার ফলে শ্রমিক খরচ অনেক কমে যাবে। আমরা দুইজন এ বছর তিন একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে উৎপাদিত এ চারা যন্ত্রের মাধ্যমে লাগাবো।

ওই এলাকার আরেক কৃষক মো. তামিম বিশ্বাস জানান, আমরা আগে কখনো সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় চারা উৎপাদন করিনি। এ বছর প্রথম কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিনামূল্যে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় চারা উৎপাদন দেখানো হয়েছে। এমনকি ওই চারা যন্ত্রের মাধ্যমে আমাদের জমিতে আবার বিনামূল্যে লাগিয়েও দেওয়া হবে। আমি এবার দুই একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে উৎপাদন করা চারা দিয়ে বোরো ধান আবাদ করবো। আশা করছি ভালো ফলন পাবো। এ বছর ভালো ফলন পেলে সামনের দিকে নিজেরাই সমলয় পদ্ধতির বীজতলায় চারা উৎপাদন করবো।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র দাস বলেন, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় বোরো ধানের চারা উৎপাদনের জন্য প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে বিনামূল্যে ৮৫ জন কৃষক-কৃষাণীকে  চারা দিয়ে তাদের জমিতে কোনো প্রকার খরচ ছাড়াই যন্ত্রের মাধ্যমে লাগিয়ে দেওয়া হবে। এই পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ করলে কৃষকরা লাভবান হবেন। আশা করছি- এবার কৃষকরা আমাদের এই প্রদর্শনীর চারা লাগিয়ে ভালো ফলন পেলে আগামীতে তারা নিজেরাই এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করবেন। এভাবে কৃষকরা চাষাবাদ করলে তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে বলেও মনে করছি।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস